রাসুলুল্লাহ(ﷺ) এর উসীলায় জগৎ সৃষ্টি
রাসুলুল্লাহ(ﷺ) এর উসীলায় জগৎ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি না হলে আরশ ও ফরশ, লওহও কলম, বেহেশত ও দোযখ, গাছ ও পাথর এবং অন্যান্য সকল সৃষ্টি অস্তিত্ব পেতো না। এর সমর্থনে অনেক হাদীস বিরাজমান।
হাদিস নং-০১
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে বর্নিত,
عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قالقال رسول الله صلى الله عليه وسلملما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوبلا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين منذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك
অনুবাদ-
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, হযরত আদম আঃ থেকে যখন অপ্রত্যাশিত ভাবে ভুল সংঘটিত হয়, [যার দরূন তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি সর্বদা কাঁদতে ছিলেন। আর দোয়া ও ইস্তেগফার পড়তে ছিলেন।] তখন তিনি আল্লাহর দরবারে আরজ করলেন,
হে আল্লাহ! মুহাম্মদ (ﷺ) এর উসীলায় আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন অহী নাজীল হয়- মুহাম্মদ(ﷺ) কে (তুমি কিভাবে জানলে তুমি তো তাকে কখনো দেখ নি)?
তখন তিনি বলেন-যখন আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমার অভ্যন্তরে রুহ প্রবেশের পর মাথা তুলে আমি আরশে লেখা দেখলাম-
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, মুহাম্মদ (ﷺ) এর চেয়ে সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তিত্ব আর কেউ নেই যার নাম আপনি স্বীয় নামের সাথে রেখেছেন।
তখন অহী নাজীল হল-তিনি সর্বশেষ নবী। তোমার সন্তানদের অন্তর্ভূক্ত হবে। যদি তিনি না হতেন, তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করা হতো না।
_________________________
Reference :-
★ ইমাম বায়হাকী রহঃ: দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ : ৫/৪৮৯ পৃ
★ ইমাম হাকেম নিশাপুরী রহঃ মুসতাদরাকে হাকেম : ২/৪৮৬ পৃ : হাদিস : ৪২২৮
★ ইমাম হাকেম নিশাপুরী রহঃ আল মাদখাল : ১/১৫৪
★ তাবরানী : আল মুজামুল আওসাত : ৬/৩১৩ : হাদীস নং-৬৫০২
★ তাবরানী : আল মুজামুস সগীর : ২/১৮২: হাদীস নং-৯৯২,
★ তাবরানী : মুজমায়েকবীর
★ ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২২৭
★ ইমাম আজলুনী : কাশফুল কাফা : ১/৪৬ ও ২/২১৪
★ আবূ নুয়াইম : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া,
★ আল্লামা সুবকী রহঃ শেফাউস সিকাম
★ ইবনে আসাকির : নিজ ‘তারিখে দিমাশক’: ৭/৪৩৭ পৃ
★ ইবনুল জাওজী : আল ওয়াফা বি আহওয়ালিল মোস্তফা : ৩৩
★ ইবনুল জাওজী : বয়ানুল মীলাদুন্নবী (সা) : ১৫৮
★ ইবনে কাসীর : আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া : ১/১৮ পৃ
★ ইবনে হাজর হায়সামী : মাযমাউজ যাওয়ায়েদ : ৮/২৫৩
★ শিহাবউদ্দীন খাফাজী : ‘নাসীম আর-রিয়াদ’
★ ইমাম সুয়ুতী : কাসায়েসুল কুবরা : ১/১২ : হাদিস ১২
★ ইমাম সুয়ুতী : আদ দুররে মানসুর : ১/১৪২
★ আল্লামা কাসতাল্লানী রহঃ আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ : ১/ ৮২ ও ২/৫২৫
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১৭২
★ ইমাম হালাবী : সীরাতে হালাবিয়্যাহ : ১/৩৫৫
★ মুহাদ্দিসে শাহ আব্দুল আজিজ দেহলভী :তফসীরে আজিযী : ১/১৮৩
★ ইমাম নাবহানী : শাওয়াহিদুল হক : ১৩৭
★ ইমাম নাবহানী : আনোয়ার-ই-মোহাম্মাদীয়া : ৯-১০
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪
★ ইমাম নাবহানী : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন : ৩১ পৃ ও৭৯৫ পৃ(মাকতুবাত এ তাওফিক হিয়্যাহ, কাহেরা,মিশর)
★ আল্লামা শফী উকারবী : যিকরে হাসীন: ৩৭
★ আশরাফ আলী থানবী : নুশরাত্বীব : ২৮
★ফাযায়েলে আমাল, ৪৯৭, উর্দু এডিশন
হাদিসের মান পর্যালোচনা
যে সকল মুহাদ্দিসগন এ হাদিস সহিহ বলেছেনঃ
★ইমাম হাকিম বলেছেনহাদিসটি সহীহ।আল মুস্তাদরাক-২/৬১৫২)
★ইমাম তকি উদ্দীন সুবকী বলেন, হাদিসটি হাসান।
শিফাউস সিকাম, পেইজ-১২০৩) ইমাম তকী উদ্দীন দামেশকী বলেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ।
দাফউ শুবহাহঃ ১/৭২৪)
★ইমাম কস্তল্লানী বলেন, হাদিসটি বিশুদ্ধ।মাওয়াহিবুল লাদুনিয়াহঃ১/১৬৫৫)
★ইমাম সামহুদী বলেন, হাদিসটি সহীহ। ওয়াফাউল ওয়াফাঃ২/৪১৯৬)
★ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী বলেন, বিভিন্ন সনদে বর্ণিত এ হাদিসটি বিশুদ্ধ।
আল খাসাইসঃ১/৮৭)
★ইবনু তাইমিয়্যাহ এ হাদীসটি দলীল হিসাবে তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন।
মাজমাউল ফাতাওয়াঃ২/১৫৯
★‘যদি মুহাম্মাদ না হতেন, তবে আমি তোমাকেসৃষ্টি করতাম না’-এ হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেন,এ হাদীসটি পূর্বের কথাকে কথাকে শক্তিশালী করেছে।রেফারেন্সঃমাজমু উল ফাতাওয়া- ২/১৫৯৮)
★বাতিল দের জবাবে ইমামইবনু কাসীর পরিস্কার বলেছেন, এই হাদীসটি বানোয়াট নয়। এটা দ্বারা নির্দ্বিধায় দলীল প্রদান করা যাবে।
রেফারেন্সঃ
★আস সীরাতুন নাবাওইয়্যাহ- ১/১৯৫৯)
বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস মুল্লা আলী কারী বলেন,
একথাটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ।
রেফারেন্সঃ
★আল আসরারুল মারফুআহ-১/২৯৫
হাদিস নং-০২
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন:
“আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ:)-কে বলেছেন, ওহে ঈসা! মহানবী (দ:)-এর প্রতি ঈমান আনো এবং তোমার উম্মতকেও তা করতে বলো। রাসূলুল্লাহ (দ:) না হলে আমি আদমকে সৃষ্টি করতাম না, বেহেশত বা দোযখও সৃষ্টি করতাম না।”
_________________________
Reference :
★ ইমাম হাকিম নিশাপুরী : আল মোসতাদরেক’ : ২/৬৭১ : হাদিস ৪২২৭
★ ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২
★ ইমাম ইবনে সাদ : তানাকাতুল কোবরা
★ ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী : ‘শিফাউস্ সিকাম ৪৫
★ শায়খুল ইসলাম আল-বুলকিনী : ফতোওয়ায়ে সিরাজিয়া ১/১৪০
★ ইবনে হাজর রচিত ‘আফদালুল কোরা
★ আবূ নুয়াইম : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া,
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪ ও ৪/১৬০
★ ইবনে কাসীর : কাসাসুল আম্বিয়া : ১/২৯ পৃ
★ ইবনে কাসীর : সিরাতে নববিয়্যাহ : ১/৩২০
★ ইবনে কাসীর : মুজিজাতুন্নবী (সা) : ১/৪৪১
★ ইবনে হাজর আসকালানি : লিসানুল মিযান : ৪/৩৫৪
★ ইমাম যাহাবী : মিজানুল ইতিদাল : ৫/২৯৯, রাবী নং ৬৩৩৬
★ ইবনে হাজর হায়সামী : শরহে শামায়েল : ১/৪২
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১২/২২০
★ আবু সাদ ইব্রাহীম নিশাপুরী : শরহে মোস্তফা : ১/১৬৫
★ ইমাম সুয়ুতী : কাসায়েসুল কুবরা : ১/১৪ : হাদিস ২১
★ ইমাম ইবনে হাইয়্যান : ‘তাবকাত আল-ইসফাহানী : ৩/২৮৭
★ কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২
★ মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১
★ মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১/২৯৫, হাদিস : ৩৮৫
★ ইবনে শামী সালেহ : সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ : ১২/৪০৩
হাদিসের মান পর্যালোচনা
★ ইমাম দায়লামী : হাদিসটির মান সনদের দিক থেকে হাসান। আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২
হাদিস নং-০৩
হযরত সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্নিত, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন,
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেন,“আমি যদিও ইব্রাহীম (আঃ) কে খলিল বানিয়েছি কিন্তু আপনাকে বানিয়েছি হাবীব।
আমি যদিও মুসা (আঃ) এর সাথে দুনিয়াতে কথা বলেছি, আপনার সাথে কথা বলেছি আসমানে। আমি ঈসা (আঃ) কে রুহুল কুদ্দু্স থেকে সৃজন করলেও আপনাকে করেছি সমগ্র সৃষ্টি জগত সৃষ্টির দু'হাজার বছর পূর্বে। আপনার কদম আসমানের এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে আপনার পূর্বে কারাে কদম পৌঁছেনি এবং ভবিষ্যতেও পৌঁছবে না।
আমি আদম (আঃ) কে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করলেও। আপনার মাধ্যমে ঘটিয়েছি নবুয়তের ধারার পরিসমাপ্তি। আপনার চেয়ে অধিক সম্মানী আর কাউকে আমি সৃষ্টি করেনি।
কিয়ামত দিবসে আমার আরশের ছায়া আপনার উপর প্রসারিত হবে। প্রশংসার জয়মুকুট আপনার নূরানী মস্তকে শােভা পাবে।
আমি আপনার নাম আমার নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছি। যেখানে আমার যিকির চর্চা হবে সেখানে আপনার যিকিরও চর্চা হবে।
আমি পৃথিবী এবং পৃথিবীবাসীকে সৃষ্টি করেছি,আমার নিকট আপনার মর্যাদা ও সম্মান কতটুকু তা দেখানাের জন্য জেনে রাখুন, "আপনাকে সৃষ্টি না করলে আমি দুনিয়া সৃষ্টি করতাম না।”
_________________________
রেফারেন্সঃ
১. ইমাম ইবনে আসাকীর ও তারীখে দামেস্ক ৩/৫১৭ পৃষ্ঠা।
২. আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী হানাফী : মওদুআতুল কবীর : ১০১ পৃষ্ঠা
৩. আল্লামা ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহেব : ১/১৮২ পৃ
৪. শায়খ ইউসূফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ১/২৮৯ পৃষ্ঠা
৫. ইমাম কাজী আয়াজ : শিফা শরীফঃ ১০৫ পৃ.
হাদিস নং-০৪
হযরত আলী ইবনে আবী তালেব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি নবি করীম (ﷺ) হতে বর্ননা করেন,
আল্লাহ বললেন, হে মুহাম্মদ (ﷺ)! আমার ইজ্জত ও জালালিয়াতের শপথ! যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে আমি না যমিন সৃষ্টি করতাম, না আসমান সৃষ্টি করতাম, না কিছুই সৃষ্টি করতাম না আর আমি উঁচু করতামনা উর্ধ্বের ঐ নীল বর্ণের ছাদ এবং নিন্মের এ ধূসর বর্ণের পৃথিবী।"
_________________________
রেফারেন্সঃ-
১. ইমাম বুরহানুদ্দীন হালবীও সিরাতে হালবিয়াঃ ১/৩৭৫ পৃ.
২. আল্লামা ফকীহ খতিবআবু রবীঈ : আল মুখতাসার : ১/১১৫
৩. আল্লামা ইবনে হাজরহায়সামী : শরহে শামায়েল : ১/১১৫
য়৪. আল্লামা শায়খ ইউসূফ বিন ইসমাঈল নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৫ পৃ:
৫.আল্লামা বুরহান উদ্দিন হালবী : ইনসানুল উয়ূন : ১/৩৭৫ পৃ:৬. শিফাউস সুদূর
হাদিস নং-০৫
তাবেয়ী হযরত কাবুল আহবার (রা) থেকে বর্নিত,(বিশাল বর্ননার পর).... যদি তিনি [রাসুল (সা)] না হতেন তাহলে আমি নাতোমাকে [আদম (আ)] সৃষ্টি করতাম, না আসমান, জমীন সৃষ্টি করতাম।
_________________________
Reference :
★ ইমাম কুস্তালানী : আল মাওয়াহেব : ১/৩৩
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৫২
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/৭৮
★ আল্লামা শফী উকারবী : যিকরে হাসীন: ৩১
★ ইমাম তুগরিব : আল মাওলুদ শরীফ : ১৪২
হাদিস নং-০৬
এই হাদিসের ২টা সনদ সহকারে উল্লেখ্য করলাম :
১ম সনদ :
হযরত ইমাম হাকিম নিসাপুরী
↓
হযরত আলী বিন হামশাদ আদল ইমলা রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
↓
হারূন বিন আব্বাস হাশেমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি।
↓
জানদাল বিল ওয়াকিল রহমাতুল্লাহি আলাইহি
↓
হযরত আমর বিন আউস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,
২য় সনদ :
ইমাম হাকিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি
↓
হযরত সাঈদ বিন আবু উরূবাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি ,
তিনি
↓
হযরত ক্বাতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে। তিনি,
↓
সাঈদ বিন মুসাঈয়িব রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে,
তিনি
↓
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত,-
حدثنا علي بن حمشاد العدل املاء هرون بن العباس الهاشمي ثنا جندل بن والق ثنا عمرو بن أوس الانصاريحدثنا سعيد بن ابي عروبة عن قتادة عن سعيد بن المسيب عن ابن عباس رضي الله عنه قال اوحي الله الي عيسي عليه السلام يا عيسي امن بمحمد صلي الله عليه و سلم وامر من ادركه من امتك ان يؤمنوا به فلو لامحمد صلي الله عليه و سلم ما خلقت ادم عليه السلام ولولا محمد صلي الله عليه و سلم ما خلقتالجنة و النار ولقد خلقت العرش علي الماء فضطرب فكتبت عليه “لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه وسلم فسكن. هذا حديث صحيح الاسناد”
অনুবাদঃ- মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে ওহী করলেন। হে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ! আপনি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনুন এবং আপনার উম্মতের মধ্যে উনাকে যারা পেতে চায় তাঁদের নির্দেশ করুন, তাঁরা যেন উনার প্রতি ঈমান আনে। যদি মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম না হতেন হতেন তবে আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করতাম না,
যদি মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম সৃষ্টি না হতেন তবে জান্নাত এবং জাহান্নাম সৃষ্টি করতাম না।
আর যখন আমি পানির উপর আরশ সৃষ্টি করলাম তখন তা টলমল করছিলো, যখনই আরশের মধ্যে
لا الهالا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم
লিখে দেই তৎক্ষণাৎ আরশ স্থির হয়ে
যায়।”
এই হাদীস শরীফের সনদ সহীহ।
_________________________
Reference :
★ মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাঈন লিল হাকীম নিশাপুরী (রহ), কিতাব : তাওয়ারীখিল মুতাক্বাদ্দিমীন- যিকরু আখবারী সাইয়্যিদুল মুরসালীন ওয়া খাতামুন নাব্যিয়িনমুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব মুছতাফা ছলাওয়াতুল্লাহিআলাইহি ওয়া আলিহীত ত্বহীরিনখন্ড : ৪র্থ খন্ড ১৫৮৩ পৃষ্ঠা
★ মুখতাছারুল মুসতাদরাক ২য় খন্ড ১০৬৭ পৃষ্ঠা
এই বিষয়ে আরও অনেক হাদীস আছে যা ইমাম আহমদ রেযা খান সাহেব তাঁর ‘তাজাল্লী আল-এয়াকীন বি আন্না নাবিই-ইয়ানা সাইয়্যেদিল মুরসালীন’ শিরোনামের চমৎকার গ্রন্থে সংকলন করেছেন; আর নিঃসন্দেহে সত্যপন্থী বুযূর্গানে দ্বীন ও উলামাবৃন্দ মহানবী (দ:)-কে ’হযরত আদম (আ:) ও বিশ্বজগত সৃষ্টির কারণ’ হিসেবে সম্বোধন করেছেন।
Comments
Post a Comment