ইসমাঈল দেহলভীর মর্মান্তিক মৃত্যু
ইসমাঈল দেহলভীর মর্মান্তিক মৃত্যু
____________________
ইসমাঈল দেহলভীর মর্মান্তিক মৃত্যু
আল্লামা মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী (আলাইহির রহমত) তদীয় সুপ্রসিদ্ধ ‘জাআল হক্ব’ নামক কিতাবের ভূমিকায় লিখেন-
‘দিল্লী শহরে মৌলভী ইসমাইল দেহলভী নামে একজন লোক জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদী প্রণীত ‘কিতাবুত তাওহীদ’ এর উর্দু ভাষায় খোলাসা করে অনুবাদ করেন ও ‘তাকভীয়াতুল ঈমান’ নামে প্রকাশ করে হিন্দুস্থানে এক ব্যাপক প্রচারের আয়োজন করেন। ‘এই তাকভীয়াতুল ঈমান’ কিতাবখানা প্রকাশ করার কারণে তিনি সীমান্তের পাঠান মুসলমানদের হাতে নিহত হন। শিখদের হাতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে প্রচারণা চালিয়ে ওহাবীরা তাকে শহীদ বলে গণ্য করে থাকে। (আনোয়ারে আফতাবে ছাদাকাত) চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আলা হযরত ইমাম আহমদ রেজা খাঁন বেরেলী কত সুন্দর উপমা দিয়ে বলেছেন-
وہ وھابیہ نے جیسے دیاھے لقب شھید و ذبیح کا
وہ شھید لیلے نجد تھا وذبیح تیغ خیار ھے
অর্থাৎ ‘ওহাবীরা যাকে শহীদ ও জবীহ বলে আখ্যায়িত করেছে আসলে তিনি নজদের লায়লার প্রেমে বিভোর হয়ে নবীপ্রেমিক মুসলমান ধার্মিকের হাতেই প্রাণ হারিয়েছেন। (আল কাওকাবাতু শিহাবীয়া)
যদি তাদের কথা মতো শিখরাই নিহত করতো তাহলে অমৃতসর বা পূর্ব পাঞ্জাবের কোন শহরে তিনি মারা যেতেন। কেননা পূর্ব পাঞ্জাবই হল শিখদের কেন্দ্র। সীমান্ত হলো পাঠানদের এলাকা এবং সেখানেই তিনি নিহত হয়েছেন।
অতএব স্পষ্টভাবে বুঝা গেল তিনি মুসলমানদের হাতে নিহত হয়েছিলেন। তার মৃতদেহও উধাও করে ফেলা হয়েছিল। এজন্য কোথাও তার কোন কবর নেই।
('ইজহারে হক্ব' কৃত মাওলানা আব্দুল করিম সিরাজনগরী)
______
Comments
Post a Comment