মুদ্রাস্ফিতির মারপ্যাঁচে ব্যাংক ঋণ সুদমুক্ত বলার জবাব
মুদ্রাস্ফিতির মারপ্যাঁচে ব্যাংক ঋণ সুদমুক্ত বলার জবাব
মুদ্রাস্ফিতির মারপ্যাঁচে ব্যাংক ঋণ সুদমুক্ত বলার জবাব________
“সুদ্ব”.. ক) আমাদের কুরআন শরিফ এর সুরা- আল বাকারাহ, ২-২৭৫, অনুসারে সুদ্ব খাওয়া হারাম।
খ) আমার কথা হলো আমারা যখন টাকা জমা রাখি ব্যাংকে তখন অনেক লম্বা সময়ই এর
জন্য রাখি, ১/২ বছর এর উপরে। Time Value of Money (TVM) নিয়ম অনুসার এ
আজকের ১ টাকার মান পরের বছর এর ১ টাকার সমান নই। আজকে যদি আমি ব্যাংক এ
১০,০০০ টাকা রাখি এবং ৮% হারে সুদ্ব নেই তাহলে বছর শেষ এ আমার মোট টাকার
পরিমাণ হবে ১০,৮০০ টাকা। যেখানে আমাদের দেশ এর আসল মুদ্রাস্ফীতি হার হল
৯.১৪%, সরকারি হিসেবে ৭.৩৫%। তার মানে আমি যদি মুদ্রাস্ফীতির হার ৯.১৪%
করে ধরি তাহলে ১ বছর শেষ এ আমার ১০,০০০ টাকার মূল্য হবে ৯,০৮৬ টাকা এবং
যদি ৮% করে সুদ্ব নেই ব্যাংক থেকে তাহলে তার আসল মূল্য ১ বছর পরে হবে
৯,৮৬০** টাকা। আমি ১০,০০০ টাকার পরিবর্তে পাইতেসি ৯,৮৮৬ টাকা।
**১০,০০০x(৯.১৪-৮)%= ১৪০
১০,০০০-১৪০= ৯,৮৬০.
*তাহলে আমাকে বলেন ব্যাংক থেকে সুদ্ব খাওয়া হারাম কেমন করে হই? (বেশ
উত্তর—
_________
মুদ্রাস্ফিতির এ উদ্ভট ছক একে তিনি বলতে চাচ্ছেন যে, ব্যাংকে টাকা রাখার পর প্রতি মাসে যে অতিরিক্ত টাকা প্রদান করা হয়, সেটি সুদ থাকে না?
আজীব কথা, আপনার ঐ লোকটি যে হিসেব দিয়েছে, সে হিসেব মতেও তা সুদ হয়ে যাচ্ছে। কারণ, দেখুন মুদ্রাস্ফিতি ধরে বছর শেষে দশ হাজার টাকার মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৯,০৮৬,। তাই যুক্তির বিচারে উক্ত ৯,০৮৬ টাকাই মূলত গ্রাহক ব্যক্তি ব্যাংকে রেখেছে। যদিও সংখ্যায় দশ হাজার ছিল বছরের শুরুতে।
কিন্তু এখন তা আর দশ হাজারের মূল্যে নেই। হয়ে গেছে ৯,০৮৬, তাই এ হিসেবে গ্রাহক ব্যক্তির প্রাপ্য এ মূল্যমানের টাকা। কিন্তু সে পাচ্ছে ৯,৮৬০। অর্থাৎ ৭৭৪ টাকা বেশি।
Comments
Post a Comment