বাংলা ভাষায় (মিলাদ মাহফিল)
বাংলা ভাষায়
মিলাদ মাহফিল
সংকলনেঃ
মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির
ছাত্র, কামিল হাদীস জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া, চট্টগ্রাম
টেক্সট রেডীঃ মুহাম্মদ আব্দুল খালেক
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ভূমিকা
মহান আল্লাহর অশেষ রহমত দয়াল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আউলিয়াদের নেক নজরে 'বাংলা ভাষায় মিলাদ শরীফ' পুস্তিকাটি সংকলন প্রকাশ করতে পেরেছি। আবহমান কাল হতে নবী-অলী প্রেমিকদের অন্তরের খোরাক 'মিলাদ মাহফিল' একটি গুরুত্বপূর্ণ মুস্তাহাব এবাদত হিসেবে প্রচলিত হয়ে আসছে। কুরআন, হাদিস ও প্রখ্যাত ইসলামী দার্শনিকদের উদ্ধৃতি এ পুস্তিকায় সংকলন করা হয়েছে। জ্ঞানী-সাথে সাথে সত্যান্বেষীদের জন্য এটি নিশ্চয় সুপাঠ্য হবে ইনশাআল্লাহ।
মিলাদ মাহফিল ফযীলতপূর্ণ এক বরকতময় অনুষ্ঠান। বিশ্বের মুসলমানরা নানাভাবে এ বরকতময় মাহফিল উদযাপন করে থাকেন।বিশেষঃ রবিউল আউয়াল মাসে এ মাহফিলের আয়োজন লক্ষ্যনীয়। ইসলামী সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান অঙ্গ মিলাদ মাহফিল। এর চর্চা মুসলিম জাতির জন্য নিঃসন্দেহে কল্যাণকর।
স্নেহস্পদ মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির এটি সংকলন করেছে। তাকে ধন্যবাদ জানাই। আর উৎসর্গ করা হল- সংকলকের মুহতারম পিতা, আমার প্রাণ প্রিয় চাচা মরহুম হাজী আজিজুল হককে। যিনি নবী-অলীর প্রেমিক হয়ে ইসলামী জীবন যাপন করেছেন সহজ-সরলভাবে। তাঁর মায়া-মমতারবিশালত্ব উপমা দেয়ার মত। তাঁর ইন্তেকালে হারিয়েছি অনেক।
এ আয়োজন আল্লাহর দরবারে কবুল করুন। আর পাঠক সমাজ উপকৃত হলেই আমাদের এ শ্রম সার্থক হবে। ভুল সংশোধনের অঙ্গীকার রইল।
- মুহাম্মদ আলমগীর
সূচীপত্র
____________________________
মিলাদ......
মাহফিলে মিলাদের গুরুত্ব.....
মিলাদ শরীফে কিয়ামের বর্ণনা....
মাহফিলে মিলাদ মর্যাদার বাহক....
মিলাদ বিপদ মুক্তি......
মিলাদ শরীফে করণীয়......
মিলাদ শরীফ প্রচলন ও কারণ.....
সংক্ষেপে মিলাদ......
মিলাদ শরীফ.......
দরূদে জেহাদী......
সালাতুন ইয়া......
মারহাবা ইয়া মারহাবা......
ইয়া নবী......
মোস্তফা জানে রহমত......
বালাগাল উলা......
মিলাদ
মিলাদ শব্দটি আরবী বিলাদত শব্দ থেকে নির্গত। যার অর্থ জন্ম বৃত্তান্ত বা আগমন। সাধারণতঃ আমরা মিলাদ বলতে নবী করিম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম বৃত্তান্ত আলোচনা বা এ জাতীয় মোবারক অনুষ্ঠানকে বুঝায়।
সর্বপ্রথম আমাদের জানা দরকার যে, মিলাদ শরীফের হাকীকত কি? এবং এর হুকুমই বা কি? এরপর জানা দরকার এর প্রমাণ সমূহ কি কি? মীলাদ শরীফের হাকীকত হচ্ছে নূরে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাকিকত বর্ণনা করা, নূরে মুহাম্মদী পৃথিবীতে আগমনের বর্ণনা, নূরে মুহাম্মদীর মোজেযা, নূরে মুহাম্মদীর অন্যান্য ঘটনার বর্ণনা করাও এর অন্তর্ভূক্ত। সুতরাং এ সব একাকী বর্ণনা করুন বা মাহফিলের মাধ্যমে বর্ণনা করুন, একেই মিলাদ শরীফ বলা হয়। মিলাদ শরীফের আয়োজন করা, মিলাদের সময় আতর লাগানো, মিষ্টি বিতরণ করা, বৈধ উপায়ে আনন্দ প্রকাশ করা সবই মুস্তাহাব এবং বিশেষ বরকত ও আল্লাহর রহমত অবতীর্ণ হওয়ার একটি অনন্য মাধ্যম। কুরআনে বলা হয়েছেঃ
(১) واذكروا نعمت الله عليكم
"এবং নিজেদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহে স্মরণ করো। (আলে-ইমরান: আয়াত-১০৪)
অর্থাৎ তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের শোকর আদায় কর। হুজুর আলাইহিস সালামের আগমন আল্লাহর বড় নিয়ামত। মিলাদ শরীফে এরই আলোচনা করা হয়। সুতরাং মিলাদ মাহফিল হচ্ছে এ আয়াতের পূর্ণ অনুসরণ।
(২) واما بنعمة ربك فحدث
"এবং আপনার প্রতিপালকের নি'মতের খুবচর্চা করুন।" (সূরা দোহা আয়াত-১১)
অর্থাৎ নিজ প্রভুর নিয়ামতের গুণ কীর্তন কর। পৃথিবীতে হুজুর আলাইহিস সালামের শুভ আগমন সকল নিয়ামতের মধ্যে সবচেয়ে বড় নিয়ামত। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজে এর জন্য গর্ববোধ করেছেন। সুতরাং এ সম্পর্কে আলোচনা করাটা এ আয়াতের বাস্তবায়ন।
(৩) لقد من الله على المؤمنين اذ بعث فيهم رسول
আল্লাহ মোমেনদের উপর বড়ই ইহসান করেছেন যে, তাদের কাছে স্বীয় নবী আলাইহিস সালামকে পাঠিয়েছেন। মোটকথা এ রকম বহু আয়াত আছে যেখানে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র আগমনের কথা বর্ণিত হয়েছে। এতে বুঝা যায় মিলাদের বর্ণনা করা আল্লাহরই সুন্নত। জামাত সহকারে নামাযের মধ্যে ইমাম সাহেব যদি এ সব আয়াতে-বেলাদত পাঠ করেন, তাহলে নামাযের মধ্যেই আমাদের আকা মাওলা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মিলাদ পালিত হয়।
(৪) قل بفضل الله و برحمته فبذالك فليفرحوا
"আপনি বলুন! আল্লাহরই অনুগ্রহ ও তাঁরই দয়া এবং সেটারই উপর তাদের আনন্দ প্রকাশ করা উচিত।" (সূরা ইউনুছঃ আয়াত-৫৮)
আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতের ব্যাপারে বেশী করে আনন্দ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। এতে পরিষ্কার বুঝা গেল যে, আল্লাহর অনুগ্রহে আনন্দ প্রকাশ করা আল্লাহরই হুকুম। তাহলে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর অনুগ্রহও আবার রহমতও। সুতরাং হুজুর আলাইহিস সালাম এর বেলাদতের উপর আনন্দ প্রকাশ করা এ আয়াতেরই আমল।
এখানে আনন্দ উল্লাস বলতে সর্ব প্রকার বৈধ আনন্দ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সুতরাং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা সওয়াবের কাজ।
(৬) স্বয়ং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরের উপর দাঁড়িয়ে সাহাবায়ে কিরামের সমাবেশে স্বীয় বেলাদতে পাক এবং স্বীয় গুণাবলী বয়ান করেছেন। তা হতে বুঝা যায়, মিলাদ পাঠ স্বয়ং হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরও সুন্নত। (মেশকাত শরীফ ২য় খন্ড ফাজায়েলে সাইয়েদুল মুরসালিন অধ্যায়।)
(৭) সাহাবায়ে কিরাম একে অপরের কাছে গিয়ে বলতেন, আমাকে হুজুর আলাইহিস সালামের নাত শরীফ শোনান। বুঝা গেল মিলাদ সাহাবায়ে কিরামেরও সুন্নাত। যেমন মেশকাত শরীফের ফাজায়েলে সাইয়্যদিল মুরসালিন অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদ উল্লেখিত আছে, হযরত আতা ইবনে ইয়াসার বলেন যে, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ইবনে আমের রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর কাছে গিয়ে আরয করালাম। আমাদেরকে হুজুর আলাইহিস সালামের ঐ নাতটি শোনান যেটা তাওরাত শরীফে উল্লেখ আছে। তিনি তা পড়ে শোনালেন। এ রকম আরও অনেক বর্ণনা আছে।
(৮) কাফিরগণও হুজুরের পবিত্র বেলাদতে আনন্দ উল্লাস করেছে। যেমন- বুখারী শরীফের দ্বিতীয় খন্ড কিতাবুন নিকাহতে উল্লেখ আছে, যখন আবু লাহাব মারা গেল, তখন তার পরিবারের কোন একজন স্বপ্নে তাকে শোচনীয় অবস্থায় দেখলেন। তাকে জিজ্ঞাস করা হলো যে, কি অবস্থায় আছেন? আবু লাহাব বললো- তোমাদের থেকে পৃথক হওয়ার পর আমি কোন শান্তি পেলাম না। তবে হ্যাঁ তর্জনী আঙ্গুল থেকে পানি পেয়ে থাকি। কেননা আমি সুয়াইবা নামক বাঁদীকে আযাদ করেছিলাম এ আঙুলের ইশারায়। ঘটনা হলো আবু লাহাব হযরত আব্দুল্লাহর ভাই। তার বাঁদী সুয়াইবা এসে যখন তাকে সংবাদ দিল যে আজ আপনার ভাই আব্দুল্লাহর ঘরে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করেছেন, তখন তিনি খুশিতে সেই বাঁদীকে আঙুলের ইশারায় বলেছিলেন, যাও আজ থেকে তুমি স্বাধীন। সে ছিল কট্টর কাফির, যার পাপাচারের কাহিনী পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সেই খুশীর বরকতে আল্লাহ তার প্রতি এ করুণাটুকু করলেন যে, সে দোযখে যখন তৃষ্ণাবোধ করে তখন নিজের সেই আঙুলী চুষতে থাকে। এতে তৃষ্ণা লাঘব হয়ে যায়।
আবু লাহাব একজন কাফির হয়ে যদি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের খুশিতে বাঁদিকে আজাদ করে দিয়ে দোযখে পানি পান করে তৃষ্ণা মিটাতে পারে, তাহলে যে ব্যক্তি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মত হয়ে তাঁর আগমনের খুশিতে মিলাদ শরীফ উদযাপন করে, দান খয়রাত করে, তাহলে তার কি মর্যাদা হবে আল্লাহর কাছে, একবার ভেবে দেখা প্রয়োজন।
তাই আমাদের খুব বেশী বেশী করে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমন উপলক্ষে আনন্দ প্রকাশ করা, খুব বেশি করে মিলাদ শরীফ আয়োজন করা, দান খয়রাত করা ইত্যাদি আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের অন্যতম উপায়।
এতে আল্লাহর রহমত আমাদের প্রতি খুব বেশী বর্ষিত হবে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও আমাদের প্রতি খুব খুশী হবেন। মাদারেজুন নবুয়্যাত শরীফের দ্বিতীয় খন্ডে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দুগ্ধপান অবস্থার আলোচনায় আবু লাহাবের সেই ঘটনাটি বর্ণনা করার পর বলেন, এ ঘটনার মধ্যে মিলাদ পাঠের পক্ষে বিরাট দলীল রয়েছে।
তফসীরে রূহুল বয়ানে ২৬ পারায় সূরা ফাতাহের আয়াত 'মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ' প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মিলাদ শরীফ করাটা হচ্ছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন, যদি এটা মন্দ কথাবার্তা থেকে মুক্ত হয়। ইমাম সুয়ুতী (রা.) বলেন- হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বেলাদতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা আমাদের জন্য মুস্তাহাব।
হাজী ইমদাদুল্লাহ মোহাজেরে মক্কী সাহেব তার ফয়সালা-এ-হাপ্তে মাসায়েল নামক পুস্তিকায় মিলাদ শরীফকে জায়েয ও বরকতময় বলেছে। যেমন- তিনি ঐ পুস্তিকার ৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন।
کہ مشرب فقیر کا یہ ہے کہ محفل مولود شریف میں شریک ہوتا ہوں، بلکہ ذریعے برکات سمجھ کر ہر سال منعقد کرتا ہوں اور قیام میں لطف ولزت پاتاہوں–
অর্থাৎ- অধমের নীতি হচ্ছে যে, আমি মাহফিলে মিলাদ শরীফে যোগদান করি। বরং বরকত লাভের উপায় মনে করে প্রতি বছর এর আয়োজন করি এবং কিয়ামে তৃপ্তি ও আনন্দ পাই।
হাজী ইমদাদুল্লাহ মোহাজেরে মক্কী সাহেব তার ফয়সালায়ে হাফতে মাসায়েল নামক কিতাবের ৭ পৃষ্ঠায় বলেন-
یہ عقیدہ کہ مجلس مولود میں حضور پر نور صلی اللہ علیہ وسلم رونق افروز ہوتے ہیں تو اس عقیدہ کو کفر و شرک کہنا حد سے بڑھنا ہے،یہ بات عقلا و نقلا ممکن ہے، بلکہ بعض مقامات پر واقع بھی ہو جاتی ہے-
এই আক্বিদা যে মাহফিলে মিলাদে হুজুর পূর নূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশরিফ আনয়ন করেন। এ ধরনের আক্বীদাকে কুফর ও শিরক বলাটা বাড়াবাড়ি মাত্র। এটা কুরআন-হাদীস ও যুক্তি উভয় মতে সম্ভব এবং অনেক জায়গায় এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার প্রমাণও রয়েছে।
এখানে একটি কথা বলা আবশ্যক যে, যেহেতু হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্টি, সেহেতু এটা অবশ্যই সম্ভব। আর যারা বিজ্ঞান বুঝেন তাদের কাছে-তো এটা একটা সাধারণ ব্যাপার। শুধু দুনিয়া কেন খোদার সমস্ত সৃষ্টিতে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিরাজমান। কেননা তাঁর নূর থেকে সমস্ত সৃষ্টি, যাহা আমি পূর্বে আলোচনা করে এসেছি। এখানে সামান্য আলোচনা করব। দেখুন আমাদের পৃথিবীর ব্যাস ৮০০০ হাজার মাইল, পৃথিবীর পরিধি ২৫০০০ হাজার মাইল। সাধারণ গতি প্রতি সেকেন্ডে ১৮৬০০০ হাজার মাইল। পৃথিবীর ব্যাস ৮০০০ মাইল অতিক্রম করতে আলোর সময় লাগবে ২৩.২৫ সেকেন্ড। অর্থাৎ১ সেকেন্ডের থেকেও ২৩.২৫ সেকেন্ড কম সময়। অর্থাৎ ১ সেকেন্ডে ২৩ বার পৃথিবীকে পরিভ্রমণ করতে পারে। আর পৃথিবীর পরিধি ২৫০০০ মাইল অতিক্রম করতে আলোর সময় লাগে ৭.৪৪ সেকেন্ড। অর্থাৎ ১ সেকেন্ড থেকেও ৭.৪৪ কম। অর্থাৎ ১ সেকেন্ডে ৭ বার পৃথিবীর পরিধি পরিভ্রমণ করা যায়। দেখুন সাধারণ আলোর এই গতি। এবার জিব্রাইল এর গতি দেখুন যখন ইউসুফ আলাইহিস সালামকে তাঁর ভাইয়েরা কূপে নিক্ষেপ করলেন, তখন জিব্রাইল আলাইহিস সালাম ৭ম আকাশের উপর সিদরাতুল মুনতাহার নিকট বসা ছিলেন। আল্লাহ বললেন, হে জিব্রাইল! ইউসুফ আলাইহিস সালামকে নিরাপদে কূপের নিচে বসিয়ে দাও। তখন জিব্রাইল আলাইহিস সালাম এক মুহুর্তে ৭ম আকাশ থেকে পৃথিবীতে চলে এসে সেই কূপের মধ্যে হাত দিয়ে সুস্থ অবস্থায় হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে ধরে নিরাপদে কূপের নিচে বসিয়ে দিলেন।
তাহলে আল্লাহর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নূরের গতি কেমন হবে আপনারাই ভেবে দেখুন। আল্লাহর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহুর্তের মধ্যে খোদার দরবারে যান আবার মুহুর্তের মধ্যে ফিরে আসেন। সুবহানাল্লাহ, আমি আগেই হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুরতে হাক্কীর বর্ণনা আপনাদের সামনে পেশ করেছি যাহা জ্ঞানী মাত্রই অনুধাবন করতে পারবেন।
মাহফিলে মীলাদের গুরুত্ব
সারওয়ারে কায়েনাত, ফখরে মাওজুদাত, তাজেদারে মদীনা, আহমাদে মুজতাবা, মুহাম্মাদে মুস্তাফা (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিঃসন্দেহে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মহামানব। যাঁকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ পাক আসমান-জমীন, গ্রহ-নক্ষত্র, চাঁদ-সুরুজ কিছুই সৃষ্টি করতেন না, যাঁর পুরো জীবনটাই ছিল আদর্শ-নমুনা ও উত্তম চরিত্রে ভরপুর। কুরআনে পাকে বলা হয়েছে-
لقد كان لكم فى رسول الله اسوة حسنة.
"নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে সুন্দর আদর্শ।" (সূরা আহজাবঃ আয়াত ২১) যাঁকে মহান রাব্বুল আলামীন মর্যাদার শিখরে সমাসীন করেছেন, যাঁর তু্ল্য কেহ হতে পারে না; শুধুমাত্র তাঁরই মর্যাদা প্রদর্শন কল্পে মাহফিলে মীলাদের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
মহান রাব্বুল আলামীন নামাজ, আজান-একামত, আজানের দোয়া,তাশাহ্হুদ তাঁর ইবাদতের প্রতিটি অঙ্গে রাসূলে মকবুলে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্মরণকে শামিল করতঃ তাঁর মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন তাই কুরআন মজীদে বলা হয়েছে-
ورفعنا لك ذكرك
"হে আমার রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আপনার গৌরব ও মহিমার পরিচয় দেয়ার জন্য আপনার স্মরণকে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন করেছি।" (সুরা ইনশারাঃ আয়াত-৪) তাই আসুন, রাসূলে করীমের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্মানের শীর্ষ চুড়ান্ত কোথায়, তা এইখানে উপলব্ধি করি। কুরআনে হয়েছে-
ان الله وملائكته يصلون على النبي ياايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما.
"নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর ফিরিশতাগণ দরূদ প্রেরণ করেন ঐ অদৃশ্যবক্তা (নবী)'র প্রতি, হে ঈমানদারগণ! তাঁর প্রতি দরূদ ও খুব সালাম প্রেরণ কর।" (সূরা আহজাবঃ আয়াত ৫৬)
অর্থাৎ, আল্লাহ তায়ালা এবং তাঁর ফেরেশতাগণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উচ্চতার বিকাশ এবং মহিমা বৃদ্ধির জন্য তথা তাজীমীর জন্য যত্নবান।
অতএব, হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর উচ্চতার বিকাশ এবং তাজীমের জন্য যত্নবান হও। এই কর্তব্য তোমাদেরই অধিক হওয়া উচিৎ। অতএব, তোমরা বল "আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মুহাম্মাদিন" এবং তাঁকে সালাম দিও অর্থাৎ বল আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবীয়্যো। কেহ কেহ বলেন যে, সালাম দেয়ার অর্থ তাঁর আদেশ পালন করা।
অন্যত্র কুরআনে রয়েছে -
فالذين امنوا به و عزروه و نصروه و تبعوا النور الذى انزل معه أولئك هم المفلحون
অর্থাৎ, যার তাঁর উপর ঈমান আনবে, তাঁর তা'জীম করবে, তাঁর সাহায্য করবে এবং তাঁর উপর অবতীর্ণ পবিত্র কুরআনের অনুসরণ করবে তারাই হবে সফলকাম। আবার বলেন,
انا ارسلناك شاهدا و مبشرا و نذيرا لتؤمنوا بالله و رسوله و تعذروه و توئقروه.
অর্থাৎ, আমি আপনাকে (ইয়া রাসূলুল্লাহ) সাক্ষী, সংবাদদাতা ও ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি যেন তোমরা (হে ঈমানদারগণ) আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপর ঈমান আনতে পার এবং তাঁর রাসূলের সম্মান ও তা'জীম করতে পার। (সূরা ফাতাহ: আয়াত-৮-৯)
এ জন্য কাজী আয়াজ তাঁর কিতাব "শেফা" এর ২য় খন্ডের ৩২ পৃষ্ঠায় বলেছেন-
اعلم ان حرمة النبي صلى الله عليه وسلم بعد موته و توقيره و تعظيمه لازم كما كان حال حياته وذلك عند ذكره صلى الله عليه وسلم.
অর্থাৎ, জেনে রাখ যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)- এর তা'জীম ও সম্মান করা তাঁর জীবদ্দশায় যেরূপ প্রত্যেক ঈমানদারের উপর ওয়াজিব সেরূপ তাঁর ইন্তিকালের পরও তাঁর নাম শ্রবণে তাঁর তা'জীম ও সম্মান প্রদর্শন করা ওয়াজিব।
ইমাম হালিমী তাঁর কিতাব شعب الامان এর মধ্যে বলেছেন- নবী করীমের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈমানের অংশ। তাঁর তা'জীমের দরজা তাঁকে মহব্বতের উপর। অতএব প্রত্যেক পুত্র তার পিতাকে ও প্রত্যেক দাস তার প্রভুকে যে পরিমাণ তা'জীম করে থাকে তদপেক্ষা অনেক বেশী নবী করীম সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তা'জীম করা আমাদের উপর অনিবার্য কর্তব্য।
হুজুরে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং বলেছেন-
عن انس رض قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا يؤمن احدكم حتى اكون احب اليه من والده و ولده و الناس اجمعين. متفق عليه
অর্থাৎ, হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- তোমাদের কেহই ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার নিকট তার পিতামাতা, সন্তান-সন্ততি এক কথায় সমগ্র মানুষ হতে অধিকতর প্রিয় ভাজন না হবো। (বুখারী, মুসলিম)
এতক্ষণ আমরা যে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে যৎকিঞ্চিৎ আলোকপাত করলাম; শুধুমাত্র তাঁরই সম্মানের খাতিরে মীলাদ মাহফিলের আয়োজন করার তাৎপর্য ও গুরুত্ব যে কতটুকু তা সহজে বুঝা যায়। সাহাবায়ে কেরাম, সালফে সালেহীন, মুজতাহেদীন ও মুতাছাওয়েফীনগণ (সুফী) এ ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন সাথে সাথে তাঁদের এ আমল বরকতময় জীবনে বহুবার করেছেন।
মিলাদ শরীফে কিয়ামের বর্ণনা
কিয়াম অর্থ দাঁড়ানো বা দন্ডয়মান হওয়া। এই কিয়াম ছয় প্রকার।
(১) জায়েযঃ দুনিয়াতে বিভিন্ন প্রয়োজনে দাঁড়ানো জায়েয।
যেমন- বাড়ি-ঘর তৈয়ার করার জন্য এবং অন্যান্য কাজকর্ম করার জন্য।
(২) ফরজঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে দাঁড়ানো ফরয।
(৩) মুস্তাহাবঃ নফল নামাযে দাঁড়ানো মুস্তাহাব।
(৪) সুন্নাতঃ কয়েকটি বিশেষ সময়ে দাঁড়ানো সুন্নাত। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা পাকে উপস্থিত হয়ে নামাযের মত হাত বেঁধে দাঁড়ানো সুন্নাত।
কোন ধর্মীয় নেতা সামনে দাঁড়ালে তাঁর জন্য দাঁড়িয়ে থাকা সুন্নত কিন্তু বসে থাকাটা বেয়াদবী। মিশকাত শরীফ কিতাবুল জিহাদে রয়েছে, যখন হযরত সাআদ ইবনে মুআয রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মসজিদে নববীতে উপস্থিত হন তখন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের হুকুম দিলেন "আপনাদের নেতার জন্য দাঁড়িয়ে যান" তখন সবাই দাঁড়িয়ে সম্মান করলেন।
(৫) মাকরূহঃ কয়েক জায়গায় দাঁড়ানো হারাম যেমন- মূর্তির সম্মানে দাঁড়ানো। মিশকাত শরীফ কিতাবুল আদব অধ্যায়ে বর্ণিত আছে যে হযরত যায়েদ ইবনে হারেছ রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র দরজার সামনে আসলেন এবং দরজার কড়া নাড়লেন, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাদর বিহীন অবস্থায় তার প্রতি দাঁড়িয়ে গেলেন। তারপর কোলাকুলি করলেন এবং চুমু খেলেন। মেশকাত শরীফের একই অধ্যায়ে বর্ণিত আছে যে, যখনই হযরত খাতুনে জান্নাত ফাতেমাতুয্ যোহরা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমীপে হাজির হতেন তখন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য দাঁড়িয়ে যেতেন, হাত ধরে হাতে চুমু খেতেন এবং নিজের জায়গায় তাঁকে বসাতেন। অনুরূপ হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হযরত ফাতিমাতুয্ যোহরা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা এর কাছে তাশরীফ নিতেন, তখন তিনি দাঁড়িয়ে যেতেন, হস্ত মুবারকে চুমু খেতেন এবং স্বীয় জায়গায় হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বসাতেন।
যে সব হাদীসে দাঁড়ানো নিষেধ করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা হল, শুধুমাত্র যারা নিজের জন্য অন্যদের দন্ডায়মান হওয়া কামনা করে, জনগণ বিনীতভাবে দাঁড়িয়ে রইল আর নেতাজী মাঝখানে বসে রইলেন, এ ধরনের দাঁড়ানো নিষেধ। তা না হলে পূর্বে আমি যে হাদীস সমূহ পেশ করলাম এর বিপরীত হবে। প্রিয় পাঠক লক্ষ্য করুন, পূর্বে আমি যে সমস্ত সহি হাদীস সমূহ পেশ করলাম, যেখানে স্বয়ং দোজাহানের বাদশা আমাদের আকা ও মাওলা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই দাঁড়াতেন এবং মা ফাতেমা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা দাঁড়াতেন তখন কিভাবে দাঁড়ানোটা নিষেধ হতে পারে?
মাহফিলে মীলাদ মর্যাদার বাহক
মীলাদ মাহফিলের আয়োজনকারীগণ সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত পেয়ে থাকেন, ফেরেশতাগণ তাঁদেরকে সম্মান করেন এবং আল্লাহর নিকট তাঁদের মর্যাদার জন্য প্রার্থনা করেন।
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে -
যখন কোন সম্প্রদায় সভা করে বসে এবং আমার উপর দরূদ পাঠ করে তখন ফেরেশতাগণ পা হতে আকাশ পর্যন্ত তাঁদেরকে আচ্ছাদিত করে ফেলেন। তাঁদের হাতে থাকে রূপার কাগজ এবং স্বর্ণের কলম তা দ্বারা তাঁরা দরূদের সওয়াব লিখতে থাকেন এবং বলেন, তোমরা আরও বেশী করে দরূদ পাঠ কর। আল্লাহ তায়ালা তোমাদের উন্নত করুন।(হাদীস)
তিনি অন্য হাদিসে বলেছেন-
তোমাদের মজলিসকে দরূদ পাঠের দ্বারা সুসজ্জিত কর। কারণ তোমাদের দরূদ পাঠ কিয়ামতের দিনে তোমাদের জন্য নূরে পরিণত হবে। (দায়লমী)
মীলাদ শাফায়াত লাভের মাধ্যম
এ বিষয়ে আল্লামা ইবনে দাহইয়া প্রণীত 'তানবীর' কিতাবে দুররে 'মুনাজ্জাম' হতে গৃহীত দু'টো হাদীস পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছেঃ
(ক) حلت لكم شفاعتى
অর্থাৎ, তোমাদের জন্য (মীলাদ মাহফিল কারীগণের) শাফায়াত করা আমার ওয়াজেব।
(খ) ان الله تعالى فتح لكم ابوابا الرحمة والملائكة كلهم يستغفرون لك من فعل فعلك نجا نجانك
নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের জন্য রহমতের দ্বার সমূহ উম্মুক্ত করেছেন এবং সমস্ত ফেরেশতাবর্গ তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছে। যে কেহ অনুরূপ কার্য করবে তোমারই (মীলাদ পাঠকারী আবু আমের আনসারীর) মত সেও পরিত্রাণ লাভ করবে।
মীলাদ বিপদ মুক্তি ও কবরের আযাব লাঘবের সম্বল
এ সম্পর্কে অনেক উদাহরণ দৃষ্ট হয়ে থাকে। কবি (بوصرى) একবার বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েন, উল্লেখ্য যে, তিনি রাসূলে খোদা সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একজন আশেক ছিলেন, তিনি বিকলাঙ্গ অবস্থায় হুজুর সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে কাছায়েদ (কবিতা) লিখে তা অত্যন্ত ভক্তি সহকারে পাঠ করতে লাগলেন। একদা তিনি সে কাছায়েদগুলো পাঠ করতে করতে ঘুমিয়ে যান এবং দেখেন যে, রাসূলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর গায়ে একটি চাদর দিয়ে ঢেকে চলে গেলেন। অতঃপর ঘুম থেকে উঠে কবি দেখলেন যে সুবহানাল্লাহ! শুধুমাত্র রাসূলের শানে কিছু তাওয়াল্লোদ ও কাছায়েদ আমার রোগ মুক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ালো। তাইতো তাঁর সে কবিতার (কছিদায়ে বুরদা) এক পর্যায়ে এসে বলেছেনঃ-
هو الحبيب الذى ترجى الشفاعت
لكل هول من الاهوال مقتحم
হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ পাকের এমন পরম বন্ধু, একান্ত বিপদ সঙ্কুল অবস্থায় যাঁর সুপারিশ গৃহীত হয়ে থাকে।
মীলাদ শরীফে করণীয়
সম্পূর্ণ ইসলামী দর্শনে ভরপুর; ইমাম গাজ্জালী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থ, এহইয়ায়ে উলুমুদ্দীনে উদ্ধৃত হয়েছে- মীলাদ মাহফিলে সালাম করার সময় সালামকারী মনে মনে তেমনি ধারণা পোষণ করবে যা হুজুরের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দরবারে করা হয়। আর মনে করবে যে, আমি রাসুলে (সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম)পাকের দরবারে আছি। কাজেই এমন আদব রক্ষা করবে যা তাঁর দরবারে প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে করা হয়। আর এ ধারণা যদি এমনই সৃষ্টি হয় তাহলে ঈমানের পূর্ণতার লক্ষণ অর্থাৎ নবীকে হাজের-নাজের জেনে কিয়াম করতে হবে।
চিন্তা করুন, নামাজে যখন আত্তাহিয়্যাতুর সময় সালাম পেশ করা হয় আর সম্বোধনের সুরে বলা হয়-
السلام عليك ايها النبى و رحمة الله و بركاته
হে নবী! আপনার প্রতি সালাম এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত তখন সেখানে এ কথাও বলা হয়েছে যে-
واحضر فى قلبك صلى الله عليه وسلم و شخصه الكريم و قل السلام عليك ايها النبى
তোমার মনে নবীকে ভালভাবে ইয়াদ করে তাঁর সত্বাকে উপস্থিত করে বলবে, হে নবী! আপনার প্রতি সালাম। যখন নামাজের অবস্থাতেই এরূপ ধারণার কথা বলা হয়েছে তাহলে নামাজের বাইরে তো বটেই। আর এরূপ ধ্যান করা হলে তেমন আদবই রক্ষা পাবে যা তাঁর প্রকাশ্য দরবারে হয়ে থাকে।
মীলাদ শরীফ প্রচলন ও কারণ
মাহফিলে মীলাদ সর্ব প্রথম প্রচলন শুরু হয় হযরত শায়েখ আল্লামা ওমর ইবনে মুহাম্মদ রদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে। তাঁর সম্পর্কে মশহুর মুহাদ্দেস ইমাম হাফেজ আবু শামা নিজ কিতাব "আল বায়েছ আলা এনকারেল বেদায়ে আল হাওয়াদেছে" লিখেছেন যে, মাওছেল অধিবাসী হযরত ওমর ইবনে মুহাম্মদ রদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু সর্ব প্রথম মাহফিলে মীলাদ শুরু করেন এবং তিনি ছিলেন একজন খ্যাতনামা আল্লামা ও অলীয়ে কামেল ব্যক্তি এবং মাওছেলের বাদশাহ ও মো'মিন মুসলমানরা অনেকেই তার অনুসরণ করে মাহফিলে মীলাদের আয়োজন করতেন।
আল্লাহর পেয়ারা নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবায়ে কেরামগণের সাহচার্য্যে যাঁরা থাকতেন স্বভাবতঃ তাঁদের মন প্রাণ আল্লাহ ও তদীয় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুহাব্বতে রূহানী ফয়েজ হাছিলে পরিপূর্ণতা লাভে সমর্থ হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে কালের আবর্তন ও বিবর্তনে মুসলমানদের মন প্রাণ আল্লাহ ও রসূলের প্রতি গাঢ় মুহাব্বত আস্তে- ধীরে কমতে শুরু করলো। এ সব দিকে লক্ষ্য করে খ্যাতনামা মুহাক্কেক ওলামায়ে কেরাম এবং বুজর্গানগণ ইবাদত-বন্দেগীর দিকে আকৃষ্ট রাখার নিমিত্তে ওয়াজ নসীহতের মাহফিল বিশেষ করে মাহফিলে মীলাদের আয়োজন করেন। তা আজ বিশ্বের মুসলিম সমাজে ধর্মীয় পবিত্র অনুষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
সংক্ষেপে মিলাদ শরীফ
❉ আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতোয়ানির রাজীম
❉ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
❉ খুৎবা পাঠ।
❉ আল্লাহুম্মা ছাল্লে আ'লা পাঠ।
❉ ছালাতুন ইয়া রাসূলুল্লাহ আলাইকুম
ছালামুন ইয়া হাবীবাল্লাহ আলাইকুম পাঠ
❉ মারহাবা পাঠ।
❉ কেয়াম (দাঁড়িয়ে)।
❉ লাখো সালাম (দাঁড়িয়ে)।
❉ বালাগাল উলা বিকামালিহি পাঠ। (বসে)
❉ ফাতেহা পাঠ (ইছালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে)
❉ মুনাজাত।
❉ তাবরুক বিতরণ।
মিলাদ শরীফ
মিলাদ অনুষ্ঠানের বিবিধ নিয়ম-নীতি চালু রয়েছে তম্মধ্যে সহজ ও সংক্ষিপ্ত প্রচলিত নিয়মটি এখানে পেশ করছি-
সর্ব প্রথম ইমাম, আলেম সাহেব তায়ায়্যুজ তাসমিয়া ও সুরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করবেন-
اعوذ بالله من الشيطان الرجيم
উচ্চারণঃ আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতোনির রাজীম।
بسم الله الرحمن الرحيم
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
الحمد لله رب العالمين۞ الرحمن الرحيم۞ ملك يوم الدين۞ اياك نعبد واياك نستعين۞ اهدنا الصراط المستقيم۞ صراط الذين انعمت عليهم غير المغضوب عليهم ولا الضالين۞ امين
উচ্চারণঃ আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন। আররাহমানির রাহীম। মালিকি ইয়াওমিদ্দীন। ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন। ইহ্দিনাছ ছিরাত্বোয়াল মুস্তাক্বীমা ছিরাত্বোয়াললাযীনা আন্আমতা আলাইহিম, গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দোয়াল্লীন। আমীন।
অতঃপর ইমাম বা আলেম সাহেব পাঠ করবেন-
لقد جاءكم رسول من انفسكم عزيز عليه ما عنتم حريص عليكم بالمؤمنين رءوف رحيم فان تولو فقل حسبى الله لا اله الا هو، عليه توكلت وهو رب العرش العظيم
উচ্চারণঃ লাক্বাদ জা-আকুম রাছুলুম মিন আনফুছিকুম আযীযুন আ'লাইহি মা আনিত্তুম হারীছুন আলাইকুম্ বিল্ মুমিনীনা রাউফুর রাহীম ফাইন তাওয়াল্লাও ফাকুল হাছবিয়াল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লাহু, আলাইহি তাওয়াক্কুলতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।
পুনঃ বিস্মিল্লাহ পাঠ করে ইমাম বা আলেম সাহেব পড়বেনঃ
ما كان محمد اٰبا احد من رجالكم ولكن رسول الله و خاتم النبيين و كان الله بكل شيء عليما،وقال الله تعالى فى شان حبيبه و محبوبه و معشوقه مخبرا و اٰمرا ان الله و ملٰئكته يصلون على النبى يا ايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما
মা কা-না মুহাম্মাদুন আবা আহাদিম্ মির্ রিজালিকুম অলা কির্ রাসুলাল্লাহি ওয়া খাতামান্নাবিয়্যীন। ওয়া কানাল্লাহু বিকুল্লি শাইয়্যিন আলীম ওয়া কলাল্লাহু তা'আলা ফি শানি হাবিবিহি ওয়া মাহবুবিহি ওয়া মাশুকিহি মুখবেরাওঁ ওয়া আমেরা ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউসাল্লুনা আলান্নাবিয়্যি ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু ছাল্লু আলাইহি ওয়া ছাল্লিমু তাছলীমা।
অতঃপর সকলকে নিয়ে কয়েকবার নিম্নের দরূদ শরীফ পাঠ করবেনঃ
اللهم صل على سيدنا و نبينا وشفيعنا و مولانا محمد صلى الله عليه واٰله وأصحابه و بارك و سلم
আল্লাহুম্মা ছাল্লে আ'লা সাইয়্যেদিনা ওয়া নাবিয়্যিনা ওয়া শাফীয়িনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মদ, ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া আসহাবিহী ওয়া বারিক ওয়া ছাল্লিম।
আল্লাহুম্মা সাল্লেয়ালা সায়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ ওয়া আলা আলি সায়্যিদিনা মাওলানা মুহাম্মদ।
১। ইচ্ছা করলে দয়াল নবীজী থাকতে পারতেন আরশে
উম্মতেরই মায়ায় পড়ে শুয়ে আছেন মদীনায়। -ঐ
২। জুমার ঘরকে কা'বা বানাইয়া দেহের ঘরকে মদীনা
জায়নামাজে বসে বসে দেখব সোনার মদীনা। -ঐ
৩। গাছে চিনল বাঁশে চিনল, চিনল বনের হরিণে
মানব কূলে জন্ম নিয়ে নূর নবীকে চিনলি না। -ঐ
৪। আল্লাহ তুমি দয়া কর নছীব কর মদীনা
নূর নবীকে না দেখায়ে কবরেতে নিও না। -ঐ
৫। সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিতে পারলাম না
সে কারণে নূর নবীজীর যিয়ারত নসীব হল না। -ঐ
৬। নবীর আশিক ওয়ায়েছ ক্বরনী নবীর প্রেমে দিওয়ানা
বত্রিশ দান্দান শহীদ করলেন একটি মাত্র রাখলেন না। -ঐ
৭। আরশের নীচে সিজদায় পড়ে কান্দেন নবী জারে জার
মাফ করে দাও দয়াল প্রভু উম্মত আমার গুনাহগার। -ঐ
৮। ওগো নবী পরশ মনি পাক মুহাম্মদ রাসূল
সৃষ্টির মাঝে নাহি কি নবী আপনার সমতূল -ঐ
৯। আসমানেতে ফেরেশতারা কাতারে কাতারে খাড়া
দিন রজনী পড়েন তারা সাল্লে আ'লা মুহাম্মদ -ঐ
১০। সৃষ্টি কূলের সবাই বলে, বলে আজকে মোদের খুশির ঈদ
এ দুনিয়ায় তাশরীফ আনলেন রাহমাতুল্লিল আলামীন -ঐ
১১। কোথায় রইলেন প্রাণের নবী আমাদেরকে ছাড়িয়া
আপনি বিনে কি লাভ হবে এ মাহফিলে বসিয়া -ঐ
১২। দিন থাকিতে কর মুমিন পরকালের ভাবনা
আসছো একা যাইবে একা সঙ্গে কেহ যাইবে না -ঐ
১৩। আমার নবীর ইন্তেকালে চমকে উঠে ত্রিভূবন
আকাশ কান্দে বাতাস কান্দে, কান্দে মাওলানার সিংহাসন -ঐ
১৪। নবীর নামে দরূদ শুনে অন্তর যাদের কাঁদে না
কাল হাশরে ভাইজান তারা নবীর দেখা পাবে না -ঐ
১৫। আদম যখন মাটি ও পানি, আমার নবী তখন খোদার রসুল।
যার উপরে পড়েন দরূদ আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতা কুল -ঐ
১৬। শিশু নবী আগমনের পর কিসের নামায পড়িলেন
নামায শেষে কোন্ কারণে উম্মত বলে কাঁদিলেন -ঐ
১৭। আল্লাহ আল্লাহ জিকির কর দরূদ পড় সবজনায়
রোজ হাশরে শাফায়াত করবেন নবী মোস্তফায় -ঐ
১৮। যাঁর লাগিয়া কান্দরে মন, সে তো সোনার মদিনা
স্বপ্ন যোগে দেখতে পাবে, হলে তাঁহার দিওয়ানা। -ঐ
১৯। মদিনা মদিনা বলে, কান্দি আমি জারজার
দেখা দেন গো দয়াল নবী, ডাকি আপনার বারেবার। -ঐ
দরূদে জেহাদী
আল্লাহুম্মা ছল্লে ওয়াছল্লিম আলা ছৈয়্যেদেনা মুহাম্মদ
নবীয়েনা শফিয়েনা মৌলানা মুহাম্মদ
নুরুন্নবী না হইত আরশ কুরসী হইত না।
লাওলাকালামা খালাকতুল আফলাক হাদীসেপাকের ঘোষণা। -ঐ
নুরুন্নবী তশরীফ আনেন কা'বা ঝুঁকে সেজদা করেন
ওয়াতুজ্জেরূহ ওয়াতুয়া কেরুহ পাক কুরআনের ঘোষণা। -ঐ
নবীজির আগমনে খুশীর ঢেউ কুল জাহানে
মিলাদুন্নবীর জুলুছ দেখে শয়তানের দল বিরানা। -ঐ
নুরুন্নবী তশরীফ আনেন আরশ কুরসী ঝুকে পড়েন
মিলাদুন্নবীর জুলুছ দেখে বাতেলের দল বিরানা
ফালাইয়াফরাহ নবীর শানে কোরআনে হয় ঘোষণা। -ঐ
নুরুন্নবী না আসিলে আল্লাহ কেহ চিনতনা
নবী হলেন আল্লাহর সাক্ষী পাক কুরআনে ঘোষণা। -ঐ
রহমাতুল্লাহ বরকাতুল্লাহ শাহেদুল্লাহ প্রিয় নবীর শান
"নবীর চরিত্র কুরআন" মা আয়েশা (রাঃ) করেন বয়ান। -ঐ
কুলকায়েনাত খুশী হইল নবীর আগমনে
শয়তান কান্দে আবুল কোবায়েছ পাহাড়ের সামনে
নুরুন্নবীর দরূদ ছালাম শয়তান সইতে পারে না। -ঐ
গাছে চিনলো বাঁশে চিনলো চিনলো বনের হরিণী
মানব কুলে জন্ম নিয়ে নবীজিকে চিনলনা। -ঐ
নুরুন্নবীর নুরীকায়া ছিলনা সেই নূরের ছায়া
ওয়া আনজালনা ইলাইকুম নুরাম্ মুবিনা কুরআনে হয় ঘোষণা। -ঐ
দিন থাকিতে কর মোমেন পরকালের ভাবনা
খালি হাতে যাবেন চলে সঙ্গে কিছু যাবে না। -ঐ
কারলাগি তুমি কেঁন্দে মরো, কেউ তো সাথে যাবে না
কবরে-হাশরে পাবেন মদিনায় যার ঠিকানা। -ঐ
নবীর দরূদ ছালামকে যারা কীর্তন কয় তাদের ঈমান নাহি রয়,
দুনিয়াতে লাঞ্ছিত পরকালে জাহান্নামে ঠিকানা। -ঐ
ডানে মাটি বামে মাটি মাটি হবে বিছানা
অন্ধকার কবরে পাবেন নুরুন্নবীর ঠিকানা। -ঐ
নবীজিকে যারা শুধু বশর বলে তারা হলেন শয়তানের দলে
বশর বলা পাগল বলা দাস বলা জারজ সন্তানের নিশানা
"উতুল্লিম বাদা জালিকা জানিম" কুরআনে হয় ঘোষণা। -ঐ
লুরী
আল্লাহ্ আল্লা আল্লাহু লাইলাহা ইল্লাহু
আমেনা বিবিকে গুলশানমে আয়ীহে তাজবাহার
পড়তেহে ছল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম আজ দারাদিওয়ার (নবীজি ...)
বারায়ে রবিউল আউয়ালকো, ওয়ে আয়াহে দুর্র্যে এতিম
মাহে নবুওয়াত মোহরে রেছালাত ছাহেবে খুলকে আজিম (নবীজি...)
হামেদ ও মাহমুদ আওর মুহাম্মদ﴾ﷺ﴿ দোজাকা ছরদার
জানছে পেয়ারা রাজদুলারা রহমত কি ছরকার, (নবীজি...)
আয়াওয়ালী দোজাকা আওর আল্লাহ্কা মাকবুল
শাফিয়ে মাহ্শার ছাকিয়ে কাউছার পেয়ারা মুহাম্মদ রসুল (নবীজি...)
ইয়াছিন ও তোয়াহা কামলিওয়ালা কুরআন কি তফসীর
হাজের ও নাজের শাহেদ ও কাছেম আয়া সিরাজুম মুনির (নবীজি...)
আওয়াল ও আখের সবকুছ জানে দেখে বয়িদ ও করিব
গায়ব কি খবরী দেনেওয়ালা আল্লাহকা ওয়ে হাবিব (নবীজি...)
দরদ মন্দোকি শুন্নেওয়ালা বেকছকা গামখার
দুঃখিয়া দিলুকা হ্যায়ওয়ে ছাহাড়া হামিয়ে রোজে শুমার (নবীজি...)
হোছনে ছারাপা জাতকা মাজহার আল্লাহকি বোরহান
মুহছেনে আজম রহমতে আলাম হে ওয়ে ঈমান কি জান (নবীজি...)
ছবছে আকরম ছবছে আশরফ ছবছে হে ওয়ে আলা
মালেকে জান্নাত, কাশেমে নেয়ামত ছবছে হে ওয়ে বালা (নবীজি...)
দুরে বালয়ী করনে ওয়ালা উম্মাতকা গামখার
হাফেজওহামী শাফেও নাফে রহমাতকি ছারকার (নবীজি...)
চৈয়দে মক্কি শাহে মদিনা পেয়ারে নবীজি আয়
ছিনলিয়াদিল মনহনননে চাঁন্দছা মুকডাশুনায়ে (নবীজি...)
বাহারে সালামী সারে ফেরেস্তে আছমানুছে আয়ে
ছোবহে বেলাদাত পেয়ারে নবীপর ছালামতু সালাম পৌহছায়ে (নবীজি...)
পেয়ারী ছোরত হাছতা ছেহেরা মুছে ঝড়তে ফুল
নুরকা পুতলা চাঁদছা মুকড়া হক্কা পেয়ারা রছুল (নবীজি...)
কুফর ও শিরক কালি গাটায়ী হুগিয়ী ছারীদুর
মাশরিক ও মাগরিব ছারী দুনিয়া হুগিয়ে নূরহীনুর (নবীজি...)
জিবরীইল আয়ে জুলা জুলানে লুরী দিজিশান
ছোজা ছোজা রাহমাতে আলম দোজগকি সুলতানম (নবীজি...)
সালাতুন ইয়া পাঠ
সালাতুন ইয়া রাসূলাল্লাহ আলাইকুম
সালামুন ইয়া হাবিবাল্লাহ আলাইকুম
১। খা-তিমে পয়গাম্বরা পয়দা হুয়ে
ইফতিখা-রে ইনছো জাঁ পয়দা হুয়ে।
২। ওয়ো হুয়ে পয়দা কে জিনকে ওয়া'সতে
কুল যমীনো আ-সেমা পয়দা হুয়ে।
৩। যিনকে আনে কি খবর ঈসা-নে দি
ওয়ো নবী বা-ঈজ্জো শাঁ পয়দা হুয়ে।
৪। আউয়ালি-নো আখেরী কে পে-শওয়া
মুরতাদায়ে মুরসালাঁ পয়দা হুয়ে।
৫। হে মুহাম্মদ আউর আহমদ যিনকা নাম
ওয়ো শফীয়ে আছিয়া পয়দা হুয়ে।
৬। নছীমে জা-নিবে বতহা গুযর কুন।
যে আহওয়া-লম হাবীবে বা খবর কুন।
৭। তুয়ী সুলতা-নে আলম ইয়া হাবীবি
যেরু-য়ে লুতফে ছু-য়ে মন নযর কুন।
৮। ববর্ ইঁ জা নেমুশতা ক্বম দরাঁ -জা
ফিদা-য়ে রওযায়ে খাইরুল বশর কুন।
৯। শুদ ওয়াজু-দশ রাহমাতুল লিল আলামীন
মসজিদে ও শুদ হামা্ রুয়ে যমীন।
১০। আঁ-কে আ-মদ নু ফলক মি'রাজে ও
আম্বিয়া ও আউলিয়া মুহ্তাজে ও।
১১। হার দমাজ মা সদ দরুদো সদ সালাম
বর রাসূলে আ'লে আছহা'বশ তামাম।
১২। ইয়া রাসূলুল্লাহে উনজুর হালানা
ইয়া হাবিবাল্লাহে ইসমা ক্বালানা।
১৩। জে মাহজুরী বর্ আমদ জান-এ আলম
তারা হাম ইয়া নবী আল্লাহ তারা হাম।
১৪। মুশাররফ গরচে গুদ জামী জে লুৎফশ
খোদা ইঁয়ে করম বারে দিগর কুন।
১৫। ওয়া ছাল্লাল্লাহু আলা নুরীনজেকু শুদ নূরহা পয়দা
জমিন আজ হুব্বে আওশাকিন ফলক দর ইশকে ও শায়দা।
১৬। দো আলম কেউ নাহো কোরবাঁ উছী পর
খোদা ভি হ্যায় রেজা জুয়ে মুহাম্মদ (ﷺ)।
১৭। গাউছুল আজম দরমিয়ানে আউলিয়া
চুঁ জনাবে মোস্তফা দর আম্বিয়া
১৮। মা হামা মুহতাজে ত হাজত রাওয়া
আল মদদ আয় গাউসুল আজম সৈয়্যদাঁ।
১৯। মুশকিলী আতে বে আদ্বদা রিমো মা
শাইয়ান লিল্লাহ গাউসে আজম পীরে মা।
২০। ব হক্বে শাহা আবদুর রহমান ছোহরভী
মদদ কুন ইয়া সৈয়্যদ আহমদ আল কাদেরী।
২১। মুহাম্মদ ছে ছিফাত পুছো খোদা কি
খোদা ছে পুছি ও শানে মুহাম্মদ (ﷺ)
২২। মুহাম্মদ মুস্তফা জানে খোদা কো
খোদা জানে মুহাম্মদ মোস্তফা কো।
২৩। খোদা খোদ হ্যায় খরিদারে মুহাম্মদ (ﷺ)
খোদা মিলতা হ্যায় দরবারে মুহাম্মদ (ﷺ)।
২৪। খবর লো ইয়া রাসূলাল্লাহ খবর লো
মেরে মাওলা মেরে আক্বা খবর লো।
২৫। খবর লো ইয়া রাসূলাল্লাহ খবর লো
মসিবত ছে গোলামো কো বাঁচা লো।
২৬। বু হানীফা বুদ ইমামে বা ছফা
আঁ ছেরাগে উম্মতানে মোস্তফা।
২৭। কাহা হো ইয়া রাসূলাল্লাহ কাহা হো
মেরে আঁকা মেরে মাওলা কাহা হো।
২৮। জলামতু সুন্নাতে মান আহা ইয়াজ্জলানে ইলা
ইনিশ্ তাক্বাত ক্বদমাহুদ দুররা মিও ওরামী।
২৯। ওয়া শাদ্দা মিন সাগাবিন আহশা আহু ওয়া তাওয়া
তাহতাল হিজারাতে কাশহান মুতরা ফাল আদামী।
৩০। মুহাম্মাদিন সায়্যিদুল কাওনাইনি ওয়াছ ছাক্বালাইন
ওয়াল ফরিক্বাইনি মিন আরাবিও ওয়া মিন আজামী।
৩১। নাবিয়্যুনাল আ'মেরুন নাহি ফালা আহাদুন
আবাররা ফি ক্বাওলি লা মিনহু ওলা নায়ামী।
৩২। হুয়াল হাবীবুল লাজী তুরজা শাফায়াতু হু
লিকুল্লি হাওলিন মিনাল আহওয়ালী মুক্বতাহিমী।
৩৩। দা'আ ইলাল্লাহি ফাল মুসতামসিকুনা বিহি
মুসতামসিকুনা বিহাবলিন গাইরি মুনফাছামী।
৩৪। ফাক্বান্ নাবিয়্যিনা ফি খলকিন ওয়া ফি খুলুকিন
ওয়া লাম ইউদানুওহু ফি ইলমিন ওয়ালা কারামী।
৩৫। ওয়া কুল্লুহুম মির রাসূলিল্লাহি মুলতামিসুন্
গরফাম মিনাল বাহরে আও রাশফাম মিনাদ দিয়ামী।
৩৬। মুনাজ্জাহুন আন শরীকিন ফি মহা সিনিহি
ফাযাওহারুল হুছনে ফিইহী গাইরু মুনক্বাসিমী।
৩৭। ফা ইন্না ফাদলু রাসূলিল্লাহি লাইসা লাহু
হাদুদন ফাইউরাবু আনহু নাতেকুন বিফামী।
৩৮। হাবীবে খোদা আশরাফে আম্বিয়া
কেহ আরশে মজীদশ বুওয়াদ মুত্তাকা।
৩৯। হারকে ওরা মা'রেফাত বখ্শাদ খোদায়ে
গাইরে হক্বরা দর দিলে ও নিস্ত জায়ে।
৪০। দর জাওয়ারে আম্বিয়া দারাস্ সালাম
হামনসীনী আউলিয়া বাশদ মদাম।
৪১। সায়্যিদুল কাওনাইনি খতমুল মুরছালীন
আখেরে আমদ বুওয়াদ ফকরুল আউওয়ালীন।
৪২। ছুদ হাজারা রহমতে জা আফরী
বরুয়ে ওয়া বর আলে পাকে তাহেরী।
৪৩। ফলক হ্যায় যেরে ফরমানে মুহাম্মদ (ﷺ)
বড়ী হ্যায় আরশ ছে শানে মুহাম্মদ (ﷺ)।
৪৪। করেঙ্গে আম্বিয়া মাহ্শর বে নাফছী
উঠেঙ্গে উম্মতী গোয়া মুহাম্মদ (ﷺ)।
৪৫। আবু বকর ও ওমর ওসমান ও হায়দার
বেলাশক চার হ্যায় ইয়ারে মুহাম্মদ (ﷺ)।
৪৬। কতীলে খনজ্বরে বোঁররা নেহী দিল
মগর ক্বোরবানে আব রুয়ে মুহাম্মদ (ﷺ)।
৪৭। মানচেহ গোয়াম শরহে ওয়াছফে আঁ জনাব
আফতাব আস্ত আফতাব আস্ত আফতাব।
৪৮। চশমে রওশন কুনজে খাকে আউলিয়া
তা-ব বীনি এবতেদা তা-ইন্তেহা।
৪৯। গরতু খাহী হামনশীনি বা খোদা
গো নশিনী দর হুজুরে আউলিয়া।
৫০। এক জামানা ছোহবতে বা আউলিয়া
বেহতরে আজ ছদ ছালাহ তা আতবেরিয়া।
৫১। তু-সবাশ আছলান কামাল আস্তও বছ
তু-দরো গোম শো বেছাঁলী আস্তও বছ।
৫২। আঁ-না-কে খাকরা বনজর কীমিয়া কুনন্দ
আয়াঁ বুয়াদ কেহ গোশায়ে চশম বমাঁ কুনন্দ।
৫৩। আফতাব আমদ দলীলে আফতাব
গর দলীলত বায়দ আজ ওয়াই বো মতাব।
৫৪। গঞ্জে বখশ ফয়জে আলম মাজহারে নূরে খোদা
নাক্বেছাঁরা কামেলা কামেলারা রাহনুমা।
৫৫। হাবীবে কিবরিয়া তুম হো ইমামে আম্বিয়া তুম হো
হামী-ন বাহর হ্কব খোদা ছে মিলাঁও ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)।
৫৬। শফীয়ে আছিয়া তুম হো ওছিলাহে বে কসাঁ তুম হো
তুমহী-ন ছোড় কর আর কাহাঁ জাউওঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)।
৫৭। পিয়াছা হে তুমহারে শরবত দীদারে কা আলম
করম কা আপনা পিয়ালাহ্ তুম পিলাঁও ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)।
৫৮। খোদা আশেক তুমহারা আউর তুম মাহবুব হু উসকী
হে এইসা মরতবা কিসকা বাতাঁও ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)।
৫৯। উঠহা কর যুলফে আক্বাদস ক্বো দজররাহ ছেহরাহ মুবারক ছে
মুজহে দিওয়ানা আউর ওহ্শী বানাঁও ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)।
৬০। কর ও নূরে মুনাওয়ার ছে মেরী আখোঁকো নূরানী
মুজহে ফরক্বত কী জুলমত ছে বাঁচা ও ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)।
৬১। নূরে রাসূল মিন নূরে খোদা ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)
হুব্বে রাসূল হুব্বে খোদা ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)।
৬২। যিকিরে রাসূল যিকিরে খোদা ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)
বায়াতে রাসূল বায়াতে খোদা ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)।
৬৩। মুহাম্মদ মোস্তফা নূরুন আ'লা নূর
হাবীবে ক্বিবরিয়া নূরুন আ'লা নূর।
৬৪। মুহাম্মদ মুস্তাহিক কাউলে লাউলাহ
মুহাম্মদ মবদায়ে আওয়ানে আফলক।
৬৫। যে নুরশা শুদ ওয়াজুদে নূরে আহমদ (ﷺ)
ব-ক্বউলেউ কে কুন নূরে মুহাম্মদ (ﷺ)।
৬৬। বহক্বে খাজাঁ ওসমান হারুনী
মদদ কুন ইয়া মঈনউদ্দীন চিশতী।
এরপর.......................... পড়ে-
মারহাবা ইয়া মারহাবা ইয়া মারহাবা
রাহমাতুল লিল আলামীনা মারহাবা
মারহাবা পাঠ
১। আসসালাম আয় মওযেদে খুলক্বে আযীম
আসসালাম আয় ক্বা-সেমে খুলদে যহীম।
২। আসসালাম আয় মুকতাদা-য়ে ইনছো জাঁ
আসসালাম আয় খা-তিমে পয়গাম্বরাঁ
৩। আসসালাম আয় বা-ঈছে শাক্বকুল ক্বমর
আসসালাম আয় নূরে মা-যা গাল বাশার।
৪। আসসালাম আয় রা-যেদা-রে কা-ছে হক্ব
ইফ্তিখা-রে আম্বিয়া-য়ে মা ছবক।
৫। আসসালাম আয় বআজআমআল বাকামাল
আসসালাম আয় বেনজীর ও বে মেছাল।
৬। আসসালাম আয় ছাহেবে খুলকে আজীম
আসসালাম আয় মায়া দানে লুৎপে আমিন।
৭। আসসালাম আয় মুকতাদায়ে মুরছালীন
আসসালাম আয় রাহমাতুললিল আলামীন।
৮। আসসালাম আয় নূরে জনাবে ইয়াকীন
আসসালাম আয় ইয়া শাইয়্যল মুজনবীন।
৯। জল ওয়া গর হো ইয়া ইমামাল মুরছালীন
জল ওয়া গর হো রাহমাতুল লিল আলামীন।
১০। জল ওয়া গর হো গ্বমযাদুঁ কি দসতগীর
জল ওয়া গর হো হা-দিয়ে রউশন যমীর।
১১। জল ওয়া গর হো মীম, হা ও মীম দাল
জল ওয়া গর হো বে-নজীর ও বে-মেছাল।
১২। জল ওয়া গর হো আম্বিয়াকে মোকতাদা
জল ওয়া গর হো আউলিয়াকে পেশোয়া।
১৩। জল ওয়া গর হো জল ওয়ায়ে নূরে খোদা
জল ওয়া গর হো ইয়া মুহাম্মদ মোস্তফা।
১৪। জল ওয়া গর হো আয় মেরে শামসুদ্দোহা
জল ওয়া গর হো আয় মেরে বদরুদ্দোজা।
১৫। জলওয়া গর হো সৈয়্যদে খায়রুল বশর
জল ওয়া গর হো আয় মেরে নূরে নজর।
১৬। আস্ সালাম আয় নূরে চশমে আম্বিয়া
আস সালাম আয় বাদশাহে আউলিয়া।
১৭। আস্ সালাম আয় নূরে জাতে আহদিয়াত
আস সালাম আয় আয়নায়ে মাহবুবিয়াত।
১৮। আস্ সালাম আয় সুবজে গুম্বিদ কি মঁকি
আস্ সালাম আয় রাহমাতুল লিল আলামীন।
অতঃপর ফেরেস্তোঁ কি সালামী দেনে ওয়ালী ফউজ আতি থি জানাবা আমেনা শুনতিথি হয়ে আওয়াজ আতিথি" হয়ে বলে সবাই একসাথে দাঁড়িয়ে যাবেন কিয়াম করার জন্য এবং বলবেন-
ইয়ানবী সালাম আলাইকা
ইয়া নবী সালাম আলাইকা ইয়া রাসূল সালাম আলাইকা
ইয়া হাবীব সালাম আলাইকা সালওয়া তুল্লাহি আলাইকা
১। তালা'আল বাদরু আলাইনা, মিন ছানি ইয়াতিল বিদা-য়ী
ওয়াজাবাশ শুকরু আলাইনা, মা-দা'আ লিল্লাহি দায়ী।-ঐ
২। আশরাক্বাল বাদরু আলাইনা, ওয়াখ তাফাত মিনহুল বুদুরু
মিছলা হুছ নিকা মা রা আইনা, কততু ইয়া ওয়াজহাছ ছুরুরী।-ঐ
৩। আনতা শামছুন আনতা বদরুন, আনতা নুরুন ফাউক্বা নূ-রী
আনতা একছিরু ওয়াগা-লী আনতা মিছবা হুছ ছুদু-রী।-ঐ
৪। ইনদাকাল মিছকীনু ইয়ারুজু, ফাদলুকাল যাম্মাল গাফিরু
ফীকা ক্বাদ আহছান তুযাননি, ইয়া বশীরু ইয়া নযীরু।
৫। ইয়া হাবিবী ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ), ইয়া উরুসাল হা-ফিক্বাইনি
ইয়া মুয়াইয়াদ, ইয়া মুহাম্মদ (ﷺ), ইয়া ইমামাল ক্বিবলাতাইনি।
৬। আতাকাল উ-দু ইয়াবকীয়, ওয়া তাজাললাল বাইনা ইয়াদায়কা
ওয়াছতাজারাত ইয়া হাবিবী, ইন্দাকায যবীয়্যুন নুফুরু।
৭। ছালাওয়া তুল্লাহি আ'লা আহমদ, ইদ্দাতা আহরুফুস্ সুতুরি
আহমাদুল হা-দী মুহাম্মদ, ছাহেবিল ওয়াজহিল মুনিরী।
৮। মাই ইয়ারা ওয়াজহাকাই ইউছআদ, ইয়া কারীমাল হায়ালি দাইনি
হাওধুকাছ, ছাফীল মোবাররাদ, ওয়া রদুনা ইয়াওমান নুশুরী।
৯। ইনদামা শাদ্দুল মহামিল, ওয়া তানা দাওলির রাহিলী।
জিতুহুম ওয়াদ্দামযু দায়িল, কুলতুক্বিফলি ইয়া দালীলু।
১০। আশা উহাম্মিলুকুম রসায়েল, হাশ্ উহাস শাওকুল জাজিলু
নাহ্ ওয়াহাতি কাল মানাজিল, বিল আশা ইয়া ওয়াল বুকুরু।
১১। আরশে আয়ম কা ছিতারা ফরশ ওয়া লুঁ কা ছাহারা
আমিনা বিকা দুলারা, হক্ব তা'আলা কা পিয়ারা।
১২। আ-পকে হো কর জিঁয়ে হাম, নামে নামি পে-মঁরে হাম
জব ক্বিয়া-মত মেউঠে হাম, আরজ ইস তরহা করে হাম।
১৩। জাঁ কুনী কে ওয়াক্ত আ-না, চেহরায়ে আন ওয়ার দিখানা
কলমায়ে তাইয়্যাবা পড়া-না আপনি দা-মন মে চুপা-না।
১৪। আ-প ছুলতা-নে মদীনা, মাহরতে ওয়াহীয়ু-ছ ছফীনা
নূর ছে মা'মর ছীনা, মিশ্বক ছে হেবতর পছীনা।
১৫। কা-শ হাছেল হো হুযু-রী, দূর হো যা-য়ে ইয়ে দূ-রী
দিল কি ইয়ে হাছরত হো পূ-রী, দে কঁলু ওয়ো শিক্বলে নূরী।
১৬। ওয়া-ছেতা আলে নবী কা, ছদক্বায়ে খাইরিন নিছা কা
আউর শহীদে কারবালাকা, গম না হো রো-জে যজাকা,
১৭। আয় তুফাইলে গাউছে আজম বা-দে শাহে হার দু আলম
ছদক্বায়ে ইমামে আযম, দূরহো ছবহি রঞ্জোগম।
১৮। আরশ কা কাবা মদিনা, পরশ কা কাবা মদীনা
কাবা কা কাবা মদীনা জান্নাতুল মাওয়া মদীনা।
১৯। কালি কালি কামলী ওয়ালে রুখছে জুল ফক ওহাঠালে
দেখ-এ কর জলওয়া নিরালে জান দিল করদো হাওয়ালে।
২০। জলওয়ায়ে খাইরিল বশর হো উনকা দর আওর মে-রাসর হো
ইস্ জাহাছে যব সফর হো সবজে গুমবাদ পর নজর হো।
২১। আপ তৈয়্যবা মে বুলালো হাছরাতে দিলকি মিঠালো
আপনে কদমোমে বুলালো, হাম বঁদৌ কো ভি চুনালো।
২২। সৈয়্যদে সরওয়ারে আলম সোনেছে গম খারে আলম
মালেক ও মোখতারে আলম রওনকে বাজারে আলম।
২৩। মাখজানে আসরারে সিনা। ইলম ও হিকমত কা খজিনা
আতর হায় আপকে পছিনা আয় গুলে বাগে মদিনা।
২৪। সৈয়্যদে সরওয়ারে তুমহি হো নবীউকে আফসার তুমহি হো
ছাকিয়ে কাওসার তুমহি হো শাফিয়ে মাহশার তুমহি হো।
২৫। গেরনে ওয়ালু কো উঠালো মরণে ওয়ালু কো বাছালো
ক্বয়েদছে হামকো ছোড়ালো, আব মদিনামে বুলালো।
২৬। হোগী যব বরপা কিয়ামত উদ ঘড়ি তব মেরে হযরত
পেহেন কর তাজে শাফায়াত দেখেঙ্গে ফের ছুয়ে উম্মত।
২৭। হউ কেহেঙ্গে ইয়া ইলাহী তুনেদি হায় মুজকো শাহী
কর না উম্মত কি তাবাহী দেখো কিউঁ কর উও পানাহী।
২৮। পুছেগা আল্লাহ আদেল হায় ইয়ে আলেম ইয়াকে জাহেল
থে এতাআত মে গাফেল লায়ে হ্যায় আপনি শামেল।
২৯। লেকে উম্মত পে শেদা ওয়ার জাহেদ ওয়া আবেদ কা আকছার
বোকে ফরমায়েঙ্গে ছরওয়ার মেহেরবান কি নজর কর।
৩০। জোশ মে আয়েগী রহমত হোগা আলকা ছুয়ে হযরত
আয় মেরে গমখারে উম্মত যাও বঁখশে তো কো জান্নাত।
৩১। বাএছে ইজাদে আলম মোজে বে হাওয়া ও আদম
হ্যায় তেরে জাতে মোকাররম ছালা ওয়াতুল্লাহ আলাইকা।
৩২। হাশেমী তেরা নছব হ্যায় আবতাহী তেরা লকব হ্যায়
তুমহি ফখরে আরব হ্যায় ছালাওয়াতুল্লাহ আলাইকা।
৩৩। তোম কো হো রফআত মোবারক তোমকো হো হাসমত মোবারক
তোমকো হো উম্মত মোবারক ছালাওয়াতুল্লাহ আলাইকা।
৩৪। সৈয়্যদে আলম মুহাম্মদ (ﷺ) কেবলায়ে আজম মুহাম্মদ (ﷺ)
নূহকে হামদম মুহাম্মদ (ﷺ) ছালা ওয়াতুল্লাহ আলাইকা।
৩৫। আপ হ্যায় আল্লাহকা পেয়ারা, আশেক হ্যায় আল্লাহ তোমহারা
শোকর হ্যায় দোনো হামারা, ছালাওয়াতুল্লাহ আলাইকা।
৩৬। ছবজে গোম্বিদ কো দেখানা, হাজরে আসওয়াদ কো চুমানা
আবে জমজম ছে পিলানা, নারে দোযখ ছে বাঁচা না।
৩৭। বাহরে ইস্ ইয়ামে সফীনা, আগেয়া মুশকিল হ্যায় জিনা
পার হো নিক্বা ক্বরীনা হো আতা শাহে মদীনা।
৩৮। মাওতুকা ওয়াক্ত আনা চেহরায়ে আনওয়ার দেখানা
কলমায়ে তৈয়্যবা পড়ানা, আপনি দামান মে চুপানা।
৩৯। স্বাদরে যেতে মদীনা রাত দিন এহি ভাবনা
মদীনা মোদের ভোলাও না ইয়া শাহেন শাহ মদীনা।
৪০। মা-বাবা যাদের কবরে আকা দেখিবেন মায়ার নজরে
আর শাফায়াত করিবেন রাসূল এ আরজ আপনার চরণে।
৪১। যা দেখি ভবে নিরালা তোমারী নূরে উজ্বালা
কাহর কি শান হে মাওলা ছালাওয়াতুল্লাহ আলাইকা।
৪২। অন্তিমে কবরে হাসরে ভুলোনা ভুলোনা দাসেরে
রাখিও স্মরণ সবারে এ আরজ আপনার চরণে।
৪৩। তুমি যে নূরের রবি নিখিলের ধ্যানের ছবি
তুমি না এলে দুনিয়ায় আঁধারে ডুবিত সবি।
৪৪। চাঁদ সুরুজ আকাশে আসে, সে আলোয় হৃদয় না হাকে
এলে তাই হে নব রবি মানবের মনের আকাশে।
৪৫। তোমারি নূরের আলোকে জাগরণ এল ভুলোকে
গাহিয়া উঠিল বুলবুল হাসিল কুসুম পুলকে।
৪৬। নবী না হয়ে দুনিয়ার না হয়ে ফেরেস্তা খোদার
হয়েছি উম্মত তোমার তার তরে শোকর হাজার বার।
৪৭। নেহারী ও রূপ মনোহর সকলি হইল সুন্দর
লভি অপরূপ পরশন ধন্য মানিল চরাচর।
৪৮। হে রাসূল! মদিনা হতে সব কিছু পারেন দেখিতে
মোদের লাশ কবরে রাখিলে লইবেন আপন কোলে।
৪৯। হে নবী! আপনি সৃষ্টির মূল সব কিছু আপনার নূরের ফুল
চাঁদ সুরুয আপনার তাবেদার বানাইলেন আল্লাহ পরোয়ার।
৫০। সাধ্য নাই যেতে মদীনা দিন রাত এই তো ভাবনা
দেখা দেন নবী স্বপনে এই আরজ আপনার চরণে।
৫১। হাশর মে জবহো পুকারনা নফছী নফছী কা তারানা
জব কঁহী না হো ঠিকানা তব শাফায়াত ছে বাঁচানা।
৫২। বখ্তকা ছমকে সেতারা, হাজেরী কাহো ইশারা
দেখকর রওজা পিয়ারা পের কহে খাদেম তোমহারা।
৫৩। আপহী মাশকিল কোশ্যা হ্যায়, খলক্বকে হাজত রওয়া হ্যাঁয়
শফিয়ে রোযে জযা হ্যাঁয়, জো কঁহু উসসে ওরার হ্যাঁ।
৫৪। রহমত কে তাজ ওয়ালে দো জাহা কে রাজ ওয়ালে
আরশ কী মি'রাজ ওয়ালে, হাম আছিয়োঁ কে লাজ্ব ওয়ালে।
৫৫। বাদশাহে আম্বিয়া হো, নূর জাতে কিবরিয়া হো
খলক্বকে মুশকিল কোশা হো যো কহু উসসে ওয়ারা হো।
৫৬। সীরী রূহীল মদীনা, কুব্বাতাল খাদরা মদীনা
মাহবাতুর রুহীল আমীনি, সাকিনুন ফিহা নাবীনা।
৫৭। কিবরীতুল আহমারা তুরা বো, আঞ্জুমান আহদা আসহাবো
কুহলুন ফি আইনী আ ওছাখোহু জান্নাতুল মা'ওয়া মদীনা।
৫৮। ইকনেসী জাফনী হাসাহু, কাব্বালী শাফায়াত আবওয়াবাহ
ফা ইযা হাব্বাজা উয়ূনী, তা'মী সেওয়া মদীনা।
৫৯। সোবহানুল আশেক হারিকুন, শাদ্দাবি নারুল ফিরাক্বী
লাইসাত ফি ক্বালবী সাকিনা রাব্বিহাব মলজা মদীনা।
৬০। ফখরে আদম ফখরে হাওয়া, ফখরে নূহ ফখরে ইয়াহইয়া
ফখরে ইব্রাহিম ওয়া মূসা, ফখরে ইসমাইল ওয়া ঈসা।
৬১। হ্যায় ইয়ে হাসরত দরপে আয়ী, ইশক কি দরিয়া বাহারী
দাগ সীনে কি দেখাহায়ী সামনে হো কর সুনায়ী।
৬২। পূরী ইয়ারব ইয়ে দোয়া কর, হাম দরে মাওলা জা কর
পহেলে কুছ না'তীয়া সুনাকর ইয়ে পড়হী সবকো জুকা কর।
৬৩। স্বাকীয়ে কাউসার তোমহো, শাফিয়ে মাহশর তোমহো
বেকছুঁকা মালজা তোমহো, মালিকে কাওনাইন তোমহো।
৬৪। আপকা দর হো মেরা সের, সামনে হো রওজা আনওয়ার
গাউছ কা ছদকা করম কর চশমে দিল কার দো মুনাওয়ার।
৬৫। ওয়াসতাঁ আলে আবাকা, ছদকায়ে খাইরুন নিসা কা
আওর শহীদে কার বা'লাকা গম না হোঁ রোজে জযা কা।
৬৬। আশিকে মা'ইকল কে সুনলো, সাহেবে দা'ওয়াত কে সুনলো
হাজেরীন কে দিল কে সুনলো, আযীযে না তাওয়াঁ কে সুনলো।
৬৭। জানে কর কা'ফি সাহারা, লে লিয়া হায়-দর তোমহারা
খনকে কে ওয়ারিস খোদারা লও সালাম আব তো হামারা।
৬৮। দূর জহয়ে ইয়ে দূরী, হাছেল হো জায়ে হুজুরী
দেখলো ওয়ো শেখলে নূরী দিলকী হাছরতী হো পূরী।
৬৯। বাজিছে বীনা মদিনায়, উঠেছে ধ্বনী মদিনায়
মদিনা আসবেন নবীজি, থাকিবেন তিনি মদিনায়।-ঐ
৭০। হাসিছে কুসুম মদিনায়, ছুটেছে মানুষ মদিনা
খোশ আমদেদ জানাইতে নবীকে গাহিছে কিশোর মদিনার।-ঐ
৭১। রাখিলেন কদম কা'বাতে, দিলনা তথায় থাকিতে
মদিনা তাঁহার পথ চায়, আসন দিবে নবীকে বুকেতে।-ঐ
৭২। ওহে সেই নূরের নবী, কুসুমে যাহার সুরভী
না পেলে নূরে নবুওয়াত, ভুলোকে থাকে না রবী।-ঐ
৭৩। এসেছি বহু দেরিতে, দেশটিও বহু তফাতে
পেয়েছি তথ্য উজ্জল, এনেছি ঈমান আপনাতে।-ঐ
৭৪। নয়নের প্রদীপ যে আপনি, কুলুবের তবীব যে আপনি
কতিত দিলেন ছাহারা, অন্তরে হাবীব যে আপনি।-ঐ
৭৫। আমি যে উম্মত আপনার, করেছি জুলুম বেশুমার
না পেলে আপনার শাফায়াত, ডুবিবে তরণী আমার।-ঐ
৭৬। আপনি সেই নূরের রবি, মানবের ধ্যানের ছবি
তাড়াতে তিমীর ভূলকে আসিলেন ভূ-বনে নবী।-ঐ
মোস্তফা জানে রহমত
মোস্তফা জানে রহমত পে লাখোঁ সালাম শময়ে বজ্মে হেদায়ত পে লাখোঁ সালাম।
১। মোহরে ছরখে নবুয়ত পে রওশন দরুদ
গুলবাগে রিসালাত পে লাখোঁ সালাম।
২। আরশ কী জেবো জিনত আরশী দরূদ
পরশ কী তিবো নুজহাত পে লাখোঁ।
৩। শবে আছরা কে দুলহা পে দায়েম দরূদ
নাও শায়ে বজমে জান্নাত পে লাখোঁ সালাম।
৪। রাব্বে আলা কি নেয়ামত পে আলা দারূদ
হক্ব তায়ালা কি মিনত পে লাখোঁ সালাম।
৫। হাত জিস তরফ উঠা-গনী কর দিয়া
মৌজে বাহরে ছাখাওয়াত পে লাখোঁ সালাম।
৬। হাম এয়াঁছা ছে ফুকারে আকাঁ মদীনা ওয়ালে হার জাগাহ ছে ছুনে
মুস্তফা কি সামাআত পে লাখোঁ সালাম।
৭। জিন কি হার হার আদা সুন্নতে মোস্তফা
এইছে পীরে তরীকত পে লাখোঁ সালাম।
৮। আলে নবী আসহাবে নবী শুহাদায়ে কেরাম
গুলে বাগে রিসালাত পে লাখোঁ সালাম।
৯। কামেলানে তরীক্বত পে কামেল দরূদ
হামেলানে শরীয়ত পে লাখোঁ সালাম।
১০। নূর কি চশকে লওহ রায়ে দরিয়া বহে
আঙ্গুলী কি কারামত পে লাখোঁ সালাম।
১১। জিসকি মিম্বার হুয়ি গরদানে আউলিয়া
উচ কদম কি কারামত পে লাখোঁ সালাম।
১২। আয় মদীনে কি আকা মুজে মদীনা ভূলা
জিস তরফ সিজদা কিয়া হেরম ও আরশে আজম
জিন কি সিজদে কো মেহরাবে কাবা ঝুকি
উন বা উকি লতাফত পে লাখোঁ সালাম।
১৩। পহেলে সজদাহ পে রোজে আজ্বল ছে দরূদ
ইয়াদ গারিয়ে উম্মত পে লাখোঁ সালাম।
১৪। উনকে মাওলাকে উপর কারোডোঁ দরূদ
উনকে আসহাব ও ইতরত পে লাখোঁ সালাম।
১৫। এক মেরাহী রহমত পে দাওয়া নেহী
শাহ কি ছারী উম্মত পে লাখোঁ সালাম।
১৬। ওহ করম কি গহ্টা গীছুয়েঁ মিশক ছা
লাকেহ আবর বা ফত পে লাখোঁ সালাম।
১৭। নীচী নজর ও কী শরম ওয়া হায়াপর দরূদ
উঁছি বীনী কী রফআত পে লাখোঁ সালাম।
১৮। ছাঁন্দ ছে মুখ পে তাবাঁ দর খাশাঁ দরূদ
নিমক আগী ছাবাহত পে লাখোঁ সালাম।
১৯। জিস কী মাথ হে শাফায়াত কা ছাহরা রহা
উস্ জবীনে সাআদাত পে লাখোঁ সালাম।
২০। জিস তরফ উঠগায়ী দম মে দম আগায়া
উস নিগাহে এনায়ত পে লাখোঁ সালাম।
২১। কিস্ কো দেখা ইয়ে মূসা সে পূছে কোয়ী
আখঁ ওয়ালোঁ কি হিম্মত পে লাখোঁ সালাম।
২২। আউর কোয়ী গাইব কিয়া তুম ছে নাহা হো বলা
যব নাহ খোদা হি ছুহপা তুম পে লাখোঁ সালাম।
২৩। দূর ওয়া নয্দীক কে সুননে ওয়ালে উয়া কান
কানে লা'লে কারামত পে লাখোঁ সালাম।
২৪। পাতলী পাতলী গোলে কুদস্ কী পাওীয়াঁ
উন লবোঁ কী নাযক তো পে লাখোঁ সালাম।
২৫। জিনকে গুচ্ছে সে লাচ্ছে ঝড়ী নূর কে
উন সিতাঁরো কী নুয্হাত পে লাখোঁ সালাম।
২৬। উয়া দাহান জিস কী হার বা'ত ওহীয়ে খোদা
চাশমায়ে উলম ওয়া হিকমত পে লাখোঁ সালাম।
২৭। জিসকে পানীছে শা'দা'ব জান -অ- জিনাঁ
উস্ দাহান কী তারাওয়াট পে লাখোঁ সালাম।
২৮। জিসছে খা'রে কূঁয়ে শিরায়ে জাঁ বনে
উস্ যুলালে হালাওয়াত পে লাখোঁ সালাম।
২৯। উয়া যুবাঁ জিস কো সব কুন কি কুঞ্জী কহেঁ
উস কী নাফিযে হুকূমাত পে লাখোঁ সালাম।
৩০। উস কী পিয়ারী ফাসাহাত পে বে-হদ দরূদ
উস্ কী দিলকাশ বালাগাত পে লাখোঁ সালাম।
৩১। উস্ কী বাতোঁ কী লযযত পে লাখো দরূদ
উস্ কী খোৎবে কী হায়বত পে লাখোঁ সালাম।
৩২। রে'শে খোশ মু তাদিল মরহম রে 'শে দিল
হালায়ে মাহে নুদরাত পে লাখোঁ সালাম।
৩৩। খত্কী গিরদ দাহান উয়া দিল আ'রা ফবন
সবুযায়ে নাহরে রাহমত পে লাখোঁ সালাম।
৩৪। জিসমে নাহঁরে শি'র অ-সাহার কী রাওয়াঁ
উসগলে কী নাদারত পে লাখোঁ সালাম।
৩৫। দোশ বর দোশ হ্যায় জিনকে শানে শরফ
এইছে শানোঁ কী শওকত পে লাখোঁ সালাম।
৩৬। হাজরে আসওয়াদে কা'বা জান অ-দিল
য়া'নী আহরে নবুওয়াত পে লাখোঁ সালাম।
৩৭। জিসকো বারে দো আলমকী পরওয়া নেহী
এইছে বাযো কী কুওয়াত পে লাখোঁ সালাম।
৩৮। হাত জিস তরফ উঠা গণী কর দিয়া
মৌজে বাহরে সামাহাত পে লাখোঁ সালাম।
৩৯। নূরকে চাশমে লহরায়ে দরয়া বহেঁ
উঙ্গলীয়োঁ কী কারামত পে লাখোঁ সালাম।
৪০। ঈদে মুশকিল কোশায়ীকে চমকে হেলাল
নাখনোঁ কী বেশারত পে লাখোঁ সালাম।
৪১। জিস্ কী তা্সকীন ছে রোতে হঁয়ে হান্স ফুটি
উস্ তাবাসসুম কি আদত পে লাখোঁ সালাম।
৪২। রাফ'ই যিক'রে জালালত পে আরফা' দরূদ
শরহে সদরে সদারত পে লাখোঁ সালাম।
৪৩। দিল সামাঝ ছে ওয়ারা হ্যায় মগর য়ূঁ কহোঁ
গুণচায়ে রাযে ওয়াহদাত পে লাখোঁ সালাম।
৪৪। কুল জাহাঁ মিলক আওর জাওকী রুটি গেযা
উস্ শেকম কী কানাআত পে লাখোঁ সালাম।
৪৫। জু-কে আযমে শাফাআত পে খেঁচকর বানধী
উস্ কোমর কী হিমায়ত পে লাখোঁ সালাম।
৪৬। আম্বিয়া তহ্ করেঁ যানু উন্ কে হুজুর
যানুউঁ কী ওয়াজহাত পে লাখোঁ সালাম।
৪৭। সাকে আসলে কদম শাখে নাখলে করম
শময়ে রাহে ইসাবত পে লাখোঁ সালাম।
৪৮। খায়ী কুরআঁনে খামে গুযার কী কসম
উস্ কফে পা কী হুরমত পে লাখোঁ সালাম।
৪৯। কদে বে সায়া কে সায়ায়ে মারহামত
যিল্লে মামদূদ -অ- রাফত পে লাখোঁ সালাম।
৫০। তায়েরানে কুদস্ জিস কী হেঁ কমরিয়াঁ
উস্ সাহী সার -অ- কামন পে লাখোঁ সালাম।
৫১। জিস কি আগে সর সরোরাঁ খম রহি
উস্ সরতাজে রফআত পে লাখোঁ সালাম।
৫২। শবনম বাগে হক য়া'নী রুখ কা আরাক
উসকী সাচ্চী বুররাকত পে লাখোঁ সালাম।
৫৩। ভীনী ভীনী মাহাক পর মাহাকতী দরূদ
পেয়ারী পেয়ারী নফাসত পে লাখোঁ সালাম।
৫৪। সিদহী সিদহী রওশ পর কুরোডো দরূদ
সাদী সাদী তবীআত পে লাখোঁ সালাম।
৫৫। জিস্ ছুহানী গঁড়ী ছমকা তৈয়বা কা চান্দ
উস্ দিল আফরো জেসাআত পে লাখোঁ সালাম।
৫৬। লায়লাতুল ক্বদরমে মাতলায়ীল ফজরে হক্ব
মাঙ্গকি এস্তেকামত পে লাখোঁ সালাম।
৫৭। হাজরে আসওয়াদে কা'বায়ে জানো দিল
ইয়ানে মুহরে নবুওয়াত পে লাখোঁ সালাম।
৫৮। শাফেয়ী মালেকী আহমদে ইমাম হানিফ
চারে বাগে ইমামত পে লাখোঁ সালাম।
৫৯। গাউসে আজম ইমা মুত্তাকা ওয়ান নূকা
জলওয়ায়ে শানে কুদরত পে লাখোঁ সালাম।
৬০। ডালদি ক্বলরোমে আজমতে মোস্তফা (ﷺ)
হেকমতে আলা হযরত পে লাখোঁ সালাম।
৬১। খাজায়ে খাজেগান খাজাঁ গরীবে নেওয়াজ
উস্ মঈনুদ্দীন মিল্লাত পে লাখোঁ সালাম।
৬২। আশেক্বে মোস্তফা আল্লামা গাজী শেরে বাঙ্গাল।
উস্ ইমামে আহলে সুন্নাত পে লাখোঁ সালাম।
৬৩। ছৌহরভী হযরতে খাজা আবদুর রহমান
উস নগীনে বেলায়েত পে লাখোঁ সালাম।
৬৪। বানিয়ে জামেয়া ক্বেবলা সৈয়্যদ আহমদ শাহ
পেশ ওয়ায়ে আহলে সুন্নাত পে লাখোঁ সালাম।
৬৫। বানিয়ে জশনে জুলুস আঁকা তৈয়্যব শাহ
হাদিয়ে দ্বীন ও মিল্লাত পে লাখোঁ সালাম।
৬৬। মুর্শেদি হযরতে ক্বেবলা তাহের শাহা
জি-নতে ক্বাদেরীয়ত পে লাখোঁ সালাম।
৬৭। আশেকে মোস্তফা ক্বেবলা ছাবের শাহা
রওনকে আহলে সুন্নাত পে লাখোঁ সালাম।
আসসালাম আয় ছবজে গুমবদকে মকীন,
আসসালাম আয় রাহমাতাল্ লিল্ আলামীন।
হাবীবী ইয়া রাসুলাল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তু ছখী তেরা ছখী দরবার হ্যায়
গর করম করদো তো বেড়া পার হ্যায়।
দসত বসতাহ্ হ্যাঁয় কাড়ে হাজের গোলাম
পেশ করতে হ্যাঁয় গুলামানা সালাম।
আয় খোদাকে লাড়লে পেয়ারে রসুল।
ইয়ে সালামী আজেযানা হো কবুল।
মদীনেকে চাঁন্দ হাজারোঁ সালাম।
মদীনেকে চাঁন্দ লাখোঁ সালাম।
মদীনেকে চাঁন্দ কোড়ো ড়োঁ সালাম।
মদীনেকে চাঁন্দ বেহদ সালাম।
এরপর সবাই বসে বসে পড়বে-
বালাগাল্ উলা বিকামালিহী, কাশাফাদ্ দুজা বিজামালিহী।
হাসুনাৎ জামিউ খিছালিহী, ছল্লু আলাইহি ওয়া আলিহী।
বালাগাল উলা পাঠ
১। ইননিলতিয়া রীহাছ্ ছবা ইয়া ওমন ইলা আরদ্বিল হারাম
বাল্লিগ ছালামী রওযাতান, ফীহান, নবীয়্যুল মুহাতারাম।
২। মা জাতুহু শামছুদ, দুহা, মান খাদ্দুহু বাদরুদ্দোজা
মান ওয়াজ হুহু নূরুল হুদা মান জিসনুহু দুরারো হিকাম।
৩। মা ওয়াজ হুহু শামছুদ্দোহা, মান খাদ্দুহু বাদরুদ্দোজা
মান জাতুহু নূরুল হুদা, মান কাফ্ফুহু বাহরিল হিকান।
৪। কুরআনুহু বুরহানুনা নাছখাল লি আদইয়ানে সাদ্দাত
ইজ জা আনা আহকামুহু কুল্লুছ্ছহফে ছারা আ'দাম।
৫। কাবাদুনা মাজরুহাতুন মিন সাইফি হিজরিল মোস্তফা
তুওয়া লিআহলে বদলা তিন ফীহান, নবীয়্যুল মুহশাতাম।
৬। ইয়া মুস্তফা ইয়া মুজতবা ইরহাম আলা ঈদুয়া নিনা
মাজবু রাতুন আ'মা-লিনা, তনআন ওয়া যাম্বান ওয়ায্ যুলাম।
৭। লাছতু বিরা-হিম মুপরাদান, বাল ইক্বরাবা ই কুল্লুহুম
ফিল ক্বাবরে ইশফা ইয়া নবী, বিছ্ছা-দে ওয়ান, নূনিল ক্বলম।
৮। ইয়া রাহমাতুল লিল আলামীন, আনতা শফীউল মুযনাবীন
আকরিম লানা ইয়াউমাল হাযীন, ফাদলাও ওয়াজুদান ওয়াল করম।
৯। ইয়া রাহমাতুল লিল আলামীন আদরিক লিযাইনিল আবেদীন
মাহবু'ছুন আইদিয যা-লিমীন, ফী মারকাদিন ওয়াল মুযদাহাম।
১০। মানতু শুদম তু মান শুদি মান তন শুদি তু জান শুদি
তাকস নাহ গো ইয় বা'দ আযিন মান দীগরম তু দীগরী।
১১।ওয়া ছল্লাল্লাহু আলা নূরে গর ওয়া শুদ নূরে হা পয়দা
জমিন আজ হুব্বে সাকিন ফলক দর ইশক উ সয়দা।
১২। মুহাম্মদ আহমদ ওয়া মাহমুদ ওয়াইরা খালেক্বশ বুসতাওয়াদ
কজ্ ওয়াশুদ বুওয়াদ হার মওজুদ আজ ওয়া শুদ দীদাহা বী-না।
১৩। আগর নামে মুহাম্মদ রা না ওরদে শফীয়ে আদম
নাহ আদম ইয়াফতে তাওবাহ নাহ নূহ আজ গরক্বে নাজী-না।
১৪। সারে খোদাই মেরে নবী, রওশন কিয়ে বিজামালিহি
সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহি, সাল্লু আলাইহি ওয়ালিহি।
১৫। চড়হে ফালাক বি কামালিহি, রওশন কিয়ে জামালিহি
আহসান হুয়ে বি খিসালিহি, সাল্লু আলাইহি ওয়ালিহি।
১৬। শামসে মোবি ফালাক ও ক্বামার ফরসে জামি মালাক ও বাশর
রওশন হুয়ে বি জামালিহি সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহী।
১৭। সিখহে আদাব খোদা সেসব, কই হুয়া তুনা এয়সা কাব
আহসান হুয়ে বি খিসালিহি, সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহী।
১৮। সাল্লু আলাইহি ওয়াসাল্লিমু পড়হো কুরআন মে মো'মেনা
মামুরে হো বি সালাতিহি, সাল্লু আলাইহি ওয়ালিহি।
১৯। সোবহা কামিনা গোলাম হো, ভেজে দরূদ সালাম কো
কাহতা খোদা বি সালাম সাল্লু আলাইহি ওয়া আলিহী।
২০। মোবারক বাদে দুনিয়া মে ওয়োশাহে মুরসালী আয়া
কেহ, জিনছে বড়কর কুয়ী পয়গাম্বর নিহি আয়া নিহি আয়া।
২১। খোদা বাদ উনকি শানে আ'লা ছবরে বরতর হে
শাহীন শাহে জামান আয়া শাহীন শাহে জমীন আয়া।
২২। জামিনু জমা তোমারে লিয়ে মকিনো মকা তোমারে লিয়ে
ছুনীওয়াছুনা তোমারে লিয়ে বনে দো জাহান তোমারে লিয়ে।
২৩। শৌরেছে চান্দকো টুকটে কিয়ে ডুবে গুয়ে খোরাকা বোলা লিয়ে
গিয়ে হয়ে নিকো অচর কিয়ে ইয়ে তাবো তোয়ান তোমারে লিয়ে।
২৪। ইচাল কুল ইমামতে কুল ছায়াদতে কুল ইমারতে কুল
হুকুমতে কুল, বেলায়তেকুর খোদাকে ইয়া তোমারে লিয়ে।
২৫। না, রূহে আমিন না আরশে বরী না লাওহে মুবিন কূয়ীবীহ কাঁহী
খবর হী বিহি জো রামজু কোনেল আসল কি নাহান তোমার লিয়ে।
ইছালে ছাওয়াবের উদ্যেশে ফাতিহা পাঠ করে মুনাজাত সহকারে মিলাদ সমাপ্ত
--------------- সমাপ্ত ---------------
Comments
Post a Comment