ইকামতে দাঁড়াবার সঠিক নিয়ম

সহীহ হাদিসের আলোকে
ইকামতে দাঁড়াবার সঠিক নিয়ম

গ্রন্থনা ও সংকলনে:
মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর

সম্পাদনায়:
মাওলানা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জোবাইর রযভী
খতিব, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া দায়েম নাজির জামে মসজিদ, চট্টগ্রাম।
আরবী প্রভাষক, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা, ষোলশহর, চট্টগ্রাম।

নিরীক্ষণে:
আল্লামা হাফেয আশরাফুজ্জামান আল কাদেরী (মা.জি.আ.)
মুহাদ্দিস, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা, ষোলশহর, চট্টগ্রাম।

পৃষ্ঠপোষকতাঃ
পীরজাদা মাওলানা খন্দকার গোলাম মোস্তফা আল কাদেরী
গোড়াই নাজিরপাড়া দরবার শরীফ, উপজেলা, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল।

পরিবেশনায়
ইমাম আযম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি রিসার্চ সেন্টার, বাংলাদেশ।


ভূমিকা
আল্লাহ তা'য়ালার মহান দরবারে অসংখ্য কৃতজ্ঞতাসহ সিজদা আদায়ের পর, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম উপঢৌকন মহানবী হযরত মুহাম্মদ﴾ﷺ﴿ এর পুণ্যময় চরণে লক্ষ কোটি দরুদ ও সালাম পেশ করছি। সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! আমার এই পুস্তকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করছি, যেটি যুগযুগ ধরে সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায় সত্য বলে মেনে এসেছে। আর তা হল ইকামত চলাকালিন ইমাম উপস্থিত না থাকলে কেহ ইমাম আগমনের আগ পর্যন্ত দাঁড়াবে না এবং ইমাম উপস্থিত থাকলে ইমাম ও মুসল্লিগণ 'হাইয়্যা আলাচ্ছালাহ' বা হাইয়্যা আলাল ফালাহ বলার সময় দাঁড়াবে। অর্থাৎ মূল কথা ইকামত দিলেই দাঁড়াবে না নির্দিষ্ট সময় ছাড়া। আধুনিক সভ্যতার এই যুগে এসে কিছু কথিত জ্ঞানপাপী ইমাম ও মুসল্লিগণ সহীহ হাদিসের দোহাই দিয়ে নিজেই সহীহ হাদিস বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে পড়েছেন। তারা ইকামত দিয়ে দেলেই মুসল্লিদেরকে কাতার সোজার নসিহত করেন! অথচ আমরা রাসূল ﴾ﷺ﴿ এর আদর্শে দেখি তিনি ইকামতের পরে কাতার সোজার তাগিদ দিতেন যা আমি এ কিতাবে দীর্ঘ আলোকপাত করেছি। তাই আমি (যারা সুন্নাত বিরোধী এ কাজে লিপ্ত) তাদেরকে বলবো আপনারা কী কৌশলে নবীজী থেকেও ইসলাম বেশী বুঝার দাবী করছেন? আমাদের দেশের দেওবন্দী ওলামায়ে কেরামগণ নিজেদেরকে সব সময় কট্টর হানাফী মাযহাবের অনুসারী হওয়ার দাবীদার হওয়া সত্ত্বেও দেখি এই মাস'য়ালায় ইমাম আযম আবু হানিফা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি)'র এবং তার সাথীদের অনুসরণের কোন গুরুত্ব নেই। অথচ তিন ইমামের (আবু হানিফা, আবু ইউসুফ, মুহাম্মদ এর) ফাতওয়া হল ইকামতে 'হাইয়্যা আলাচ্ছালাহ' বলার সময় ইমাম ও মুসল্লিগণ দাঁড়াবেন। এ সব দীপ্তমান আক্বিদার বিষয়গুলির প্রতি নানা অভিযোগ উত্থাপন করে সরলমনা মুসলিম জাতিকে বিভ্রান্ত করছে প্রতিনিয়ত। এই বিভ্রান্তি থেকে সহজ সরল মুসলমানদের সতর্কতার লক্ষ্যে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আমার শ্রদ্ধেয়া বোন সৈয়দা হাবিবুন্নেছা দুলন এ পুস্তকের নামকরণ করেছেন 'সহীহ হাদিসের আলোকে 'ইকামতের দাঁড়াবার সঠিক নিয়ম'। গ্রন্থকারে রূপদেয়ার পর বইজুড়ে অনুপম নজর দিয়ে আমাকে চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ করে রেখেছেন, আমার পরম শ্রদ্ধেয় উস্তাদ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা হাফেয আশরাফুজ্জামান আল-কাদেরী এবং আল্লামা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জোবাইর রযভী (মা.জি.আ.)। বইয়ের বাংলা বানান সংশোধনীতে কৃতার্থ করেছে, মাওলানা আব্দুল আজিজ রজভী ভাই।
প্রিয়পাঠক! আশা করি, নাতিদীর্ঘ এই পুস্তকটি পুরোপুরি পড়ে বিবেকের আদালতে মুখোমুখি হবেন। এতে আপনার অন্তর চক্ষু খোলে যাবে, ইনশাআল্লাহ! সফলতার মুখ দেখবে আমার পরিশ্রম।

অধম রচয়িতা মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ বাহাদুর
তারিখ.৯.০২.১৭ইং

সূচিপত্র
ভূমিকা

Comments

Popular posts from this blog

বালাকোট আন্দোলনের হাকীকত

সৈয়দ আহমদ বেরলভীর জম্ম ও পরিচয়

মওদুদীর ভ্রান্ত আক্বিদা ও ইসলামী আক্বিদা