তাবলিগী জামায়াতের গুপ্ত রহস্য

তাবলিগী জামায়াতের গুপ্ত রহস্য

মুফতী মুহাম্মদ গোলাম ছামদানী রেজভী
শিক্ষক, ছয়ঘরী আলিয়া মাদ্রাসা পোঃ—ছয়ঘরী, মুর্শিদাবাদ—৭৪২১০১

প্রকাশনায়ঃ
মুফতী মুহাম্মদ গোলাম সামদানী রেজবী
ইসলামপুর (কলেজ রোড), পোঃ—ইসলামপুর
জেলা—মুর্শিদাবাদ, পিন—৭৪৩২০৪

প্রথম প্রকাশঃ জানুয়ারি, ১৯৯৫
দ্বিতীয় সংস্করণ—জানুয়ারি, ২০০২

প্রাপ্তিস্থানঃ
কুতুবখানায় রেজবীয়া
রঘুনাথগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ।

এই পুস্তক লেখার পূর্বকথা

'তাবলিগী জামায়াত' কমবেশি প্রায় ভারতের সর্বত্র পৌঁছে গেছে। শত শত মানুষ এদের সম্পর্কে অবগত হতে না পেরে এবং এদের বাহ্যিক কিছু ভাল আমল দেখে আকৃষ্ট হয়ে পড়েছেন। এই জামায়াত প্রাথমিক অবস্থায় কোন মতভেদী মসলা সম্পর্কে আলোচনা করে না। অনুরূপ এরা নিজেদের আসল আক্বায়েদ কাউকেও জানতে দেয় না। কেবল কিছু ইসলামী আমল সম্পর্কে আলোচনা করে থাকে। এরা আরও বলে থাকে যে, আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হল কলমার দাওয়াত দেওয়া এবং নামাযী বানানো। কে কোন্ পর্যন্ত হাত তুলে থাকে এবং কে তোলে না, কে নাভীর নিচে হাত বাঁধে এবং কে বাঁধে না, কে আমীন জোরে বলে থাকে এবং কে আস্তে ইত্যাদি আমাদের দেখবার প্রয়োজন নেই। এই প্রকারে সাধারণ মানুষকে সহজে আকৃষ্ট করে ফেলে। কিন্তু যখন মানুষের উপর এদের পূর্ণ প্রভাব পড়ে যায়, তখন তাদের কাছে আক্বায়েদ প্রকাশ করে থাকে। এমতাবস্থায় মানুষ এমনই মত্ত হয়ে যায় যে, এদের বদ আক্বীদাহকে ইসলামী আক্বীদাহ বলে গণ্য করে ফেলে। শত শত মানুষ যারা মীলাদ, কিয়াম, উরূস ও ফাতিহা ইত্যাদি ইসলামী কাজ বলে পালন করতেন, তারা আজ এই কাজগুলিকে অন-ইসলামিক বলে ত্যাগ করে দিয়েছেন। আম্বিয়া ও আউলিয়াদের প্রতি যে ভক্তিশ্রদ্ধাকে ঈমানী জিনিস বলে গণ্য করতেন। আজ সেগুলিকে অনৈসলামিক বলে ধারণা করছেন। ফলে মিলনের পরিবর্তে সমাজে বিচ্ছেদ ও অশান্তির আগুন জ্বলতে আরম্ভ হয়েছে। গত ২৫শে অক্টোবর ১৯৯৪ সালে আমার পরম শ্রদ্ধেয় প্রাক্তন শায়খুল হাদীস মাওলানা মুমতাজুদ্দীন সাহেব কিবলা ও মুফতী অয়েজুল হক সাহেব কিবলা 'তাবলিগী জামায়াত' সম্পর্কে এক মাসের মধ্যেই একটি পুস্তক প্রণয়নের জন্য বাধ্য করেছেন। হাতে কয়েকটি জরুরী কাজ থাকা সত্ত্বেও আজ ৩১।১০।১৯৯৪, সোমবার সকালে শাহানশাহে দো জাঁহার প্রতি দরুদ, সালাম পাঠ করে মহান আল্লাহর নামে লিখতে আরম্ভ করলাম

মোহাম্মদ গোলাম ছামদানী রেজভী

সূচীপত্র

১। তাবলিগী জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা
২। আপনি অবশ্যই মনে রাখবেন!
৩। তাবলিগী জামায়াত কী বলতে চায়?
৪। মাওলানা ইলিয়াস সাহেব বলেছেন
৫। থানবী সাহেবের শিক্ষা সম্পর্কে
৬। এই সেই 'বেহেশতী জেওর'
৭। উলামায়ে ইসলামের ফতোয়া
৮। ইলিয়াস সাহেবের প্রথম পীর
৯। ইলিয়াস সাহেবের দ্বিতীয় পীর
১০। দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা 'কাসেম নানতুবী'
১১। তাবলিগী জামায়াতের গুপ্ত রহস্য
১২। সর্বত্র বিচ্ছেদের আগুন জ্বলছে
১৩। ওহাবী মতবাদ প্রচার করছে
১৪। ওহাবী সম্প্রদায়ের আবির্ভাব
১৫। ভারতে ওহাবী মতবাদ
১৬। উলামায়ে দেওবন্দের ওহাবী হবার স্বীকৃতি
১৭। নজদী ফিৎনা সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী
১৮। নজদের বাদশার সঙ্গে সঙ্গে চুক্তি
১৯। ইংরেজরা আর্থিক সাহায্য করেছিল
২০। হিন্দু মহাসভা ও জনসংঘের সঙ্গে সুসম্পর্ক
২১। কত বড় ধোঁকাবাজ
২২। একটি জটিল প্রশ্ন
২৩। তাবলীগের নামে বিদেশে ব্যবসা
২৪। শাহ সাহেবের শেষ কথা
২৫। আরও একটি গুপ্ত রহস্য
২৬। হজরতজীর চরিত্র দেখুন!
২৭। তাবলিগী জামায়াতের কৌশল
২৮। মাওলানা ইউসুফের নামে চিঠি
২৯। মাওলানা ইউসুফের উত্তর
৩০। একটি ছোট সমীক্ষা
৩১। তাবলিগী জামায়াতের জঘন্য পরিকল্পনা
৩২। এক ভুঁইফোড় ঐতিহাসিক
৩৩। ফুরফুরা পন্থীদের ধারণায় 'তাবলিগী জামায়াত'
৩৪। ফুরফুরা পন্থীদের বর্তমান অবস্থা
৩৫। এখন প্রতিরোধের উপায় কী?

তাবলিগী জামায়াতের প্রতিষ্ঠা

তাবলিগী জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস সাহেব গণ্য তখন

Comments

Popular posts from this blog

বালাকোট আন্দোলনের হাকীকত

সৈয়দ আহমদ বেরলভীর জম্ম ও পরিচয়

মওদুদীর ভ্রান্ত আক্বিদা ও ইসলামী আক্বিদা