আমীরে মুয়াবিয়া (রা:) এর প্রতি আনীত অভিযোগের জবাব

আমীরে মুয়াবিয়া (রা:) এর প্রতি আণিত অভিযোগের জবাব

বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আমিরে মুয়াবীয়া (রা.)

সংকলনঃ সুন্নি-বিশ্বকোষ

ইমাম হুসাইন (رضي الله عنه) এর হত্যাকারী পাপিষ্ঠ ইয়াজিদের পিতা বিশিষ্ট সাহাবা খলিফা হযরত আমিরে মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) এর সমালোচকদের প্রতি হেদায়াত মুলক পোস্ট !!! অসংখ্য শান ও মর্যাদার অধিকারি ছিলেন কুরাইশ বংশের অভিজাত পরিবারের সন্তান হযরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)। দুরাচার ইয়াজিদকে কেন্দ্র করে কিছু অতি উৎসাহী আশেক মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) কে ইজিদের জন্মদাতা হিসাবে গালিগালাজ, জঘন্য কুটুক্তি করতেও দ্বিধা করেনা !!

মনে রাখুন, সাহাবা কেরামের মধ্যে যা ভুলবুঝাবুঝি হয়েছে তা ছিলো ইজতিহাদি ভুল !!!

আমাদের কারো যোগ্যতা নাই উনাদের ভুল ধরা বা সমালোচনা করার !!

উনার প্রতি মিথ্যাচারের পূর্বে সংক্ষেপে লিখিত নিম্নোক্ত অভিমত সমূহ জানা উচিত !!!

▶তিরমিজী শরীফে বর্ণিত হয়েছে, নবীজী (ﷺ) একবার তাঁকে এভাবে দুয়া করেছেন- “হে আল্লাহ তাঁকে পথ প্রদর্শক ও পথপ্রাপ্ত করে দাও এবং তাঁর মাধ্যমে মানুষকে হেদায়াত দান করো।"-(জাওয়ামিউস সাহীহ খঃ ২ পৃ-২৪৭)

▶অন্য হাদীসে এরশাদ হয়েছেঃ হে আল্লাহ ! মুয়াবিয়াকে হিসাব ও কিতাবের জ্ঞান দান করো এবং (জাহান্নামের) আযাব থেকে তাঁকে রক্ষা করো। -(উসদুল গাবাহ খঃ ৪ পৃ-৩৮৬)

▶নবি করীম (ﷺ)- এর লেখকদের মধ্যে হযরত যায়েদ বিন সাবেত (رضي الله عنه) সর্বাধিক হাজির থাকতেন। দ্বিতীয় স্থান ছিল হযরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)-এর। দিন-রাত এদুজন ছায়ার মত নবীজীর সঙ্গে সঙ্গে থাকতেন। এ ছাড়া আর কোন দায়িত্ব তাঁদের ছিল না। -(জাওয়ামিউস সাহীহ : পৃ-২৭)

▶সাহাবা কেরামের চোখে মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) :

"হযরত উমর (رضي الله عنه)-এর উপস্থিতিতে একবার হযরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) সম্পর্কে বিরূপ আলোচনা শুরু হলে সবাইকে থামিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, যে কুরায়েশী যুবক চরম ক্রোধের মুহূর্তেও হাসতে পারে, যার হাত থেকে স্বেচ্ছায় না দিলে কিছু ছিনিয়ে আনা সম্ভব নয় এবং যার শিরস্ত্রাণ পেতে হলে পায়ে লুটিয়ে পড়া ছাড়া উপায় নেই, (অর্থাৎ, সহনশীলতা, সাহসিকতা ও আত্মসম্মানবোধে যে যুবক অতুলনীয়) তোমরা তারই সমালোচনা করছ?" -(আল ইসত’আব : খ-৩, পৃ-৩৭৭)

▶আল্লামা হাফেজ ইবনে কাসীর বর্ণনা করেছেন, সিফফীন যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে আপন অনুগামীদের লক্ষ্য করে হযরত আলী (رضي الله عنه) বলেছিলেন, হে লোক-সকল ! মুয়াবিয়ার শাসনকে তোমরা অপছন্দ করো না। কেননা তাঁকে যেদিন হারাবে সেদিন দেখবে, ধড় থেকে মুন্ডগুলো হানযাল ফলের মত

কেটে কেটে পড়ে যাচ্ছে। -(আল বিদায়া : খঃ ৮, পৃ-১৩১)

▶রইসুল মুফাসসিরীন নবী (ﷺ) এর আপন চাচাতো ভাই হযরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) একবার ফিকাহ সংক্রান্ত বিষয়ে হযরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) এর সমালোচনা কারীদের সাবধান করে বলেছিলেন, তিনি একজন ফকীহ (সুতরাং, তার সমালোচনার অধিকার তোমার নেই) -(আল বিদায়া : খঃ ৮, পৃ-৩১)

▶সমালোচনাকারীকে আরও বলেছিলেন, তিনি তো রাসূল (ﷺ)- এর সান্নিধ্য লাভ করেছেন। (অর্থাৎ, তিনি একজন সাহাবী তাই কোন অধিকারে তুমি তাঁর সমালোচনা করছো?) (আল ইসাবাহ : খঃ ৩, পৃ-৪১২, বুখারী : খ-১, পৃ-৫৩১)

▶তাবেয়ীনদের চোখে হযরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) : “হযরত উমর বিন আব্দুল আজীজকে আমি কখনও কাউকে দোররা লাগাতে দেখিনি। তবে হযরত মুয়াবিয়ার সমালোচনা করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে দোররা লাগাতে দেখেছি”। -(আল বিদায়া : খঃ ৮, পৃ-১৩৯)

▶আল্লামা হাফেজ ইবনে কাসীর বলেন,

সুপ্রসিদ্ধ তাবেয়ী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মুবারককে হযরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) সম্পর্কে মন্তব্য করতে বলা হলে তিনি বললেন, বাহ ! এমন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি সম্পর্কে আমি কি মন্তব্য করতে পারি, যিনি দোযাহানের সর্দার রাসূল (ﷺ) এর পিছনে নামায পড়েছেন এবং তাঁর সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদার জবাবে রাব্বানা লাকাল হামদ বলেছেন?

▶তাঁকেই (আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারাক) আরেকবার জিজ্ঞেস করা হল, উত্তম কে? মুয়াবিয়া না খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আজিজ? প্রশ্নকারি, একদিকে সেই সাহাবীকে রেখেছেন যার বিরুদ্ধে ইতিহাসের আদালতে রয়েছে জঘন্যতম সব অভিযোগ। অন্যদিকে রেখেছেন খিলাফতে রাশেদার প্রতিবিম্ব সেই মহান তাবেয়ীকে উম্মাহর প্রতিটি সদস্য যার মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের সামনে শ্রদ্ধাবনত। কিন্তু প্রশ্ন শোনা মাত্র হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক ক্রোধে জ্বলে উঠলেন। তিনি বললেন হযরত মুয়াবিয়ার সাথে তুমি উমর বিন আব্দুল আজিজের তুলনা করছো ? "আল্লাহর কসম ! নবী করীম (ﷺ)– এর সাথে জিহাদে গিয়ে হযরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه)-এর নাকের ছিদ্রে যে ধুলাবালি প্রবেশ করেছে সেগুলোও উমর ইবনে আব্দুল আজিজের (رضي الله عنه) তুলনায় হাজার গুণে উত্তম।”

▶একই ধরণের প্রশ্ন করা হয়েছিল হযরত মুয়াফা বিন ইমরানকে (رضي الله عنه)। তিনিও রাগত স্বরে প্রশ্নকারীকে জবাব দিয়েছিলেন, আশ্চর্য ! একজন তাবেয়ী কোন সাহাবীর চেয়ে উত্তম হতে পারেন কি করে? তদুপরি হযরত মুয়াবিয়া (رضي الله عنه) হলেন, নবী করীম (ﷺ)- এর বিশিষ্ট সাহাবীদের একজন। তাঁর বোন হলেন নবীর স্ত্রী এবং মুমিনদের মা। আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ ওহী লিপিবদ্ধকরণ ও সংরক্ষণের দায়িত্ব তিনি আঞ্জাম দিয়েছেন। সুতরাং মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বের যে স্বর্ণশিখরে তিনি সমাসীন, কোন তাবেয়ীর পক্ষে তা কল্পনা করাই বা সম্ভব কিভাবে ? তারপর প্রশ্নকারীকে তিনি নিম্নোক্ত হাদীস শুনিয়ে দিলেন- “আমার সাহাবা ও আহলে বায়াতকে যারা গালমন্দ করে তাদের প্রতি আল্লাহর আভিশাপ” -(আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া : খঃ ৮, পৃ-১৩৯)

হযরত হাসান (رضي الله عنه) ও আমিরে মুয়াবিয়া (রা.) এর মধ্যে সমঝােতাঃ

হযরত আবু বকর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম (ﷺ) এর একদিন হযরত হাসান (رضي الله عنه) কে নিয়ে বেরিয়ে এলেন এবং তাঁকেসহ মিম্বরে আরােহণ করলেন। তারপর বললেন, আমার এ ছেলেটি (নাতী) সাইয়্যেদ তথা সরদার। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা এর মাধ্যমে বিবাদমান দু’দল মুসলমানের আপােস (সমঝােতা) করিয়ে দেবেন।

এখানে লক্ষ্যনীয় যে, স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (দ.) দুইটি মুসলমান দল বলেছেন। তিনি কোন দলকে মুনাফিক বলে সম্বোধন করেন নি। এ হাদিস দ্বারা শিয়াদের কাফির মুনাফিক ফতোয়ার জবাব দেয়া যায়।

আমীরে মুয়াবিয়া (রা.) কি মদ্যপ ছিলেন?

নাউযুবিল্লাহ..? এই অপবাদ রাফেজিরা দিয়ে থাকে। তাদের বক্তব্যের দলিল হলো নিম্নোক্ত মুসনাদে আহমাদের হাদীস।

  حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنِي حُسَيْنٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ بُرَيْدَةَ قَالَ: دَخَلْتُ أَنَا وَأَبِي عَلَى مُعَاوِيَةَ فَأَجْلَسَنَا عَلَى الْفُرُشِ، ثُمَّ أُتِينَا بِالطَّعَامِ فَأَكَلْنَا، ثُمَّ " أُتِينَا بِالشَّرَابِ فَشَرِبَ مُعَاوِيَةُ، ثُمَّ نَاوَلَ أَبِي، ثُمَّ قَالَ: مَا شَرِبْتُهُ مُنْذُ حَرَّمَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " ثُمَّ قَالَ مُعَاوِيَةُ: كُنْتُ أَجْمَلَ شَبَابِ قُرَيْشٍ وَأَجْوَدَهُ ثَغْرًا، وَمَا شَيْءٌ كُنْتُ أَجِدُ لَهُ لَذَّةً كَمَا كُنْتُ أَجِدُهُ وَأَنَا شَابٌّ غَيْرُ اللَّبَنِ، أَوْ إِنْسَانٍ حَسَنِ الْحَدِيثِ يُحَدِّثُنِي

আমাকে হাদীস বয়ান করেছন যাইদ হাবাব, হুসাইন বিন ওয়াকদ হইতে বর্ণিত তিনি বলেন আমাকে হাদীস বর্নণা করেছেন আব্দুল্লাহ বিন বুরাইদাহ তিনি বলেন আমি এবং আমার পিতা আমীরে মুয়াবীয়ার দরবারে দাখিল হলাম... তারপর আমার পিতা সেখানে বিছানায় বসে,পড়লেন এবং তিনি (আমীরে মুয়াবীয়া) কিছু খাবার পরিবেষন করলেন তারপর আমরা তা খেলাম।অতঃপর আমীরে মুয়াবীয়া সারাব নিয়ে এলেন এবং তিনি তা পান করলেন এবং আমার পিতাকে দিলেন তখন আমার পিতা বললেন রসুল হারাম করে দেওয়ার পর ইহা আমি কখনও পান করেননি। অতঃপর আমীরে মুয়াবীয়া ফরমালেন..... আমি যে জিনিশে স্বাদ পেয়েছি, আমি যখন কিশোর ছিলাম সেই সময় শুধু লসসিতে পেতাম। আজ যেমন স্বাদ পেয়েছি তেমন পুর্বেও স্বাদ পেয়েছিলাম।

মুসনাদে আহমাদ, খন্ড-৩৮, হাদীস নং-২২৯৪২

উপরি উক্ত হাদীসের উপর আমার জবাব। প্রথমে তো উক্ত হাদীসে শারাব বলতে পানীয় বোঝায় কারণ আরবী শারাব ( شرابٍ)অর্থ যে কোন ধরণের পানীয়। কিন্তু মুর্খ রাফজিরা পাণীয়কে মদ বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে মাত্র। মুর্খ রাফজিদের জানা উচিৎ মদের আরবী হলো -الْخَمْر।যাইহোক উক্ত হাদীসে যেহেতু নিম্নোক্ত লাইন আছে

 ثُمَّ نَاوَل َ أَبِي، ثُمَّ قَالَ: مَا شَرِبْتُهُ مُنْذُ حَرَّمَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থঃ অতঃপর আমীরে মুয়াবীয়া শারাব নিয়ে এলেন এবং তিনি তা পান করলেন এবং আমার পিতাকে দিলেন তখন আমার পিতা বললেন রসুল হারাম করে দেওয়ার পর ইহা আমি কখনও পান করেননি। রাফজি -শিয়ারা উক্ত লাইনটিই দলিল হিসাবে নেয়। তাই উক্ত লাইনের জবাব দেওয়া প্রয়োজন মনে করি ।জবাব হিসাবে বলা যায় উক্ত হাদীসের সনদ সহি হলেও তা গরীব অর্থাৎ

ইহা খাবরে ওয়াহিদ থেকে প্রমাণিত।খাবরে ওয়াহিদের মতন তেমন নিক্ষুঁত নাও হতে পারে গরীব হাদীসের কথা তো বাদই দিলাম । উপরিউক্ত মুসনাদে আহমাদের বর্ণনার মতন যে নিক্ষুঁত নয় বরং তাতে ক্ষুঁত আছে তা প্রমাণ করে নিম্নোক্ত মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবার বর্ণনা ।  

حدثنا زيد بن الحباب، عن حسين بن واقد، قال: حدثنا عبد الله بن بريدة، قال: قال: دخلتُ أنا وأبي على معاوية، فأجلس أبي على السرير وأُتيَ بالطعام فطعمنا، وأُتِيَ بشرابٍ فشرب، فقال معاوية: «ما شيء كنت أستلذه وأنا شباب فآخذه اليوم إلا اللبن – فإني آخذه كما كنت آخذه قبل اليوم –

والحديث الحسن

আমাকে হাদীস বয়ান করেছন যাইদ হাবাব, হুসাইন বিন ওয়াকদ হইতে বর্ণিত তিনি বলেন আমাকে হাদীস বর্নণা করেছেন আব্দুল্লাহ বিন বুরাইদাহ তিনি বলেন আমি এবং আমার পিতা আমীরে মুয়াবীয়ার দরবারে দাখিল হলাম... তারপর আমার পিতা সেখানে বিছানায় বসে,পড়লেন এবং তিনি (আমীরে মুয়াবীয়া) কিছু খাবার পরিবেষন করলেন তারপর আমরা তা খেলাম।এবং সঙ্গে পানীয় ( شرابٍ) নিয়ে এলেন তিনি তা পান করলেন আমরাও পান করলাম...অতঃপর আমীরে মুয়াবীয়া ফরমালেন..... আমি যে জিনিশে স্বাদ পেয়েছি, আমি যখন কিশোর ছিলাম সেই সময় শুধু লসসিতে পেতাম। আজ যেমন স্বাদ পেয়েছি তেমন পুর্বেও স্বাদ পেয়েছিলাম।

মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, খন্ড-১৬, পৃষ্ঠা-৩১২০১

উক্ত কিতাব দ্বয়ের সনদ লক্ষ করলে বোঝা যায় উভয়ের হাদীসের সনদ একি। কিন্তু দুটো হাদীসের মতন লক্ষ করলে বোঝা যায় মুসানাদে আহমাদে অতিরিক্ত সংযোজন হিসাবে নিম্নোক্ত অংশ যোগ করা আছে

 ثُمَّ نَاوَلَ أَبِي، ثُمَّ قَالَ: مَا شَرِبْتُهُ مُنْذُ حَرَّمَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

অর্থ আমার পিতাকে দিলেন তখন আমার পিতা বললেন রসুল হারাম করে দেওয়ার পর ইহা আমি কখনও পান করেননি। কিন্তু উক্ত অংশটি মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাতে নেই । অতএব বলা যেতে পারে উক্ত উদ্ধৃতিটি মুসনাদে আহমাদে অতিরিক্ত সংযোজন করা হয়েছে। যেমন ইমাম হাইসামি নিজের কিতাব মাজমাউজ জাওয়াইদে বলেন মুসনাদে আহমাদের উক্ত লইনটি অতিরিক্ত সংযোজন এবং ইহার মতন মুনকার । নিচে তার দলিল

وهذه الزيادة المشكلة في المتن والتي نجدها في مسند أحمد لانجدها في مصنف ابن أبي شيبة وهي مروية عنده بنفس الطريق.ولهذا نجد الهيثمي استغرابه من هذه النكارة في المتن

ইহার মতনের মধ্যে অতরিক্ত বিভ্রান্তিকর সংযোজন রয়েছে যাহা মুসনাদে আহমাদে আমরা পেয়েছি কিন্তু মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহতে তাহা পাইনি। এবং তার নিকট একি তুরুক হইতে বর্ণিত হয়েছে।অতএব আমরা পেয়েছি, ইমাম হাইশামি ইহাকে গারিব মনে করেছেন যাহার মতন মুনকার।

মাজমাউজ জাওয়ায়িদ, খন্ড-৫ পৃষ্ঠা -৪২

এইবার দেখা যাক আমীরে মুয়াবিয়ে মদ পান সম্পর্কে কি বলেন যাতে প্রমাণ হবে আমীরে মুয়াবীয়া উপর মদ্যপ হওয়ার অভিযোগ মিথ্যা এবং অপবাদ মাত্র।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَنَّهُ سَمِعَ عَاصِمَ بْنَ بَهْدَلَةَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ مُعَاوِيَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا شَرِبُوا الْخَمْرَ فَاجْلِدُوهُمْ ثُمَّ إِذَا شَرِبُوا فَاجْلِدُوهُمْ ثُمَّ إِذَا شَرِبُوا فَاجْلِدُوهُمْ ثُمَّ إِذَا شَرِبُوهَا الرَّابِعَةَ فَاقْتُلُوهُمْ

হাদীস বর্ণনা করেছেন মুহাম্মাদ বিন জাফার তিনি বলেন আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন সুয়েবাহ তিনি আসিম বিন বাহদালা থেকে শুনেছেন তিনি হাদীস বর্ণনা করেন আবু স্বলেহ থেকে তিনি বলেন আমীতে মুয়াবীয়া বর্ণনা করে বলেন নবীএ আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরমান যে কেও মদ পান করে তো তাদের এক শত চাবুক মারো। এবং পুনরায় পান করলে পুনরায় তাদের চাবুক মারো এরপরও যদি এমনকি চুতুর্থবার পান করে তাদের কতল করে দাও।

মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৪৮

উক্ত হাদীসে মদপানের বিরোধী মূলক বক্তব্য প্রমাণ করে রাফজিরা বিভিন্নভাবে আমীরে মুয়াবিয়ার উপর অপবাদ দিতে চায় যা তাদের একটা কুকৌশল মাত্র।










Comments

Popular posts from this blog

বালাকোট আন্দোলনের হাকীকত

সৈয়দ আহমদ বেরলভীর জম্ম ও পরিচয়

মওদুদীর ভ্রান্ত আক্বিদা ও ইসলামী আক্বিদা