ইয়া রাসুলুল্লাহ (ﷺ) স্লোগান দেওয়া

ইয়া রাসুলুল্লাহ (ﷺ) স্লোগান দেওয়া

ব্যক্তিগত আহবানে "ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)" বলে সমস্বরে আওয়াজ তোলা অথবা মিছিলে স্লোগান দেয়া

(বিদেশী লেখা থেকে অনূদিত)

অনুবাদঃ সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারী

এটা জায়েজ নয় কোন ব্যক্তির জন্য যে তার সামনে যখন কেউ আল্লাহ তায়ালার দ্বীনকে বিকৃত করবে আর সে নিরব থাকবে, বিশেষত যখন তার ক্ষমতা আছে রুখে দাঁড়ানোর। মুসলমানদেরকে সঠিক পথ না দেখিয়ে, তাদেরকে দ্বীন বিকৃত করে এরকম মানুষদের থেকে সতর্ক না করে ছেড়ে দেয়া জায়েজ নাই, বিশেষত যখন তার ক্ষমতা আছে।

এটা সেই আবশ্যক উপদেশের ক্যাটাগরিতে পড়বে যার সম্পর্কে হুজুর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। যদি কোন মানুষ সৎকাজের আদেশ দেয়া ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা বন্ধ করে দেয়, যখন তা তার ওপর আবশ্যক, তাহলে সে গোনাহ করল। আহলে সুন্নাতের উলামাগন, সেসব লোকের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে গিয়ে অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন, যারা দ্বীনকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে।

এর অনেক প্রতিদান আছে তাদের জন্য। যদি এই আবশ্যক কাজটি কোন এলাকার সকল মানুষ যদি বাদ দিয়ে দিত তবে তারা সকলেই আল্লাহ তায়ালার সাহায্য হারাত।

সতর্ক হোন! যদি কাউকে বলতে শুনেন "ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)" বলা জায়েজ নাই তবে তার কথাতে কান দিবেন না। জবাব দিন। তাকে অন্ধ সাহাবি আতাবি (رضي الله عنه)র হাদিসখানা শুনান। এটা ধর্মের পক্ষে আপনার একটা সেবা হবে।

আমরা এখন একগুচ্ছ দলিল দেব এটা প্রমাণ করতে যে ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)বলা সাহাবায়ে কেরাম, তাবিইন, মুজতাহিদ ইমামগনের ও আওলিয়াগন রাদিয়াল্লাহু আনহুম এর এবং সুন্নি উলামা ও নেতৃত্বের সুন্নাত।


কুরআন মাজিদের আলোকেঃ

-------------------------------------------

হুজুর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে তাঁর মনোযোগ আকর্ষনের নিয়তে আহবান করা কুরআন মাজিদে উল্লেখিত ফেরেশতা এবং উম্মাতের রুসুম রেওয়াজ উল্লেখের মাধ্যমে প্রমাণিত।

কুরআন মাজিদ অনেক জায়গায় হুজুর রাসুলুল্লাহ (ﷺ)কে মনোযোগ আকর্ষনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্যে এবং পরিস্থিতিতে ডেকেছে, যখন কোন বিষয়ে হুজুর রাসুলুল্লাহ (ﷺ)র দৃষ্টি আকর্ষণ জরুরী ছিল কোন সমস্যা সমাধানের জন্য অথবা কিছু বাস্তবায়ন করার প্রয়োজনে। আহবান করার সেই বাক্যগুলো হচ্ছে, ইয়া আইয়্যুহাল মুজ্জাম্মিল, ইয়া আইয়্যুহাল মুদ্দাসসিরু, ইয়া আয়্যিউহান নাবিয়্যু, ইয়া আইয়ুহার রাসুল ইত্যাদি।

ঠিক একইভাবে অন্যান্য সম্মানিত নবীগন যাদেরকে ইয়া শব্দ দ্বারা আহবান করা হয়েছে তারা হলেন, ইয়া মুসা, ইয়া ইসা, ইয়া ইয়াহিয়া, ইয়া দাউদ, ইয়া নুহু (আলাইহিমুস সালাম) ইত্যাদি।


হাদিস শরিফ থেকে স্বাক্ষ্যঃ

হাদিস ০১-০২

হাদিস ১.

ইমাম তাবরানী (رحمة الله) (ওফাত ৩৬০ হিঃ, ৯৭০ খ্রী) তার মু'জামে নিম্নবর্ণিত ঘটনাটি বর্নণা করেনঃ

أن رجلا كان يختلف إلى عثمان بن عفان رضي الله عنه في حاجة له ، فكان عثمان لا يلتفت إليه ، ولا ينظر في حاجته ، فلقي عثمان بن حنيف ، فشكا ذلك إليه ، فقال له عثمان بن حنيف : ائت الميضأة فتوضأ ، ثم ائت المسجد فصل فيه ركعتين ، ثم قل : اللهم ، إني أسألك وأتوجه إليك بنبينا محمد صلى الله عليه وآله وسلم نبي الرحمة يا محمد إني أتوجه بك إلى ربك عز وجل فيقضي لي حاجتي ، وتذكر حاجتك ، ورح إلي حتى أروح معك ، فانطلق الرجل ، فصنع ما قال له عثمان ، ثم أتى باب عثمان فجاء البواب حتى أخذ بيده ، فأدخله على عثمان بن عفان ، فأجلسه معه على الطنفسة ، وقال : حاجتك ؟ فذكر حاجته ، فقضاها له ، ثم قال له : ما ذكرت حاجتك حتى كانت هذه الساعة ، وقال : ما كانت لك من حاجة ، فأتنا ، ثم إن الرجل خرج من عنده ، فلقي عثمان بن حنيف ، فقال : له جزاك الله خيرا ، ما كان ينظر في حاجتي ، ولا يلتفت إلي حتى كلمته في ، فقال عثمان بن حنيف : والله ، ما كلمته ولكن شهدت رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم وأتاه ضرير ، فشكا عليه ذهاب بصره ، فقال : له النبي صلى الله عليه وآله وسلم : أفتصبر ؟ ، فقال : يا رسول الله ، إنه ليس لي قائد ، وقد شق علي ، فقال له النبي صلى الله عليه وآله وسلم : ائت الميضأة، فتوضأ ، ثم صل ركعتين ، ثم ادع بهذه الدعوات قال عثمان بن حنيف : فوالله ، ما تفرقنا وطال بنا الحديث حتى دخل علينا الرجل كأنه لم يكن به ضرر قط

এক লোক খলিফতুল মুসলিন আমিরুল মুমিনিন হজরত ওসমান ইবনে আফফান (رضي الله عنه) এঁর দরবারে যেত কোন একটা প্রয়োজনে। কিন্তু ওসমান (رضي الله عنه) তার দিকে তাকাতেন না। তার প্রয়োজনের দিকেও দৃষ্টি দিতেন না। অতঃপর ঐ ব্যক্তির সাক্ষাৎ হয় অপর সাহাবি হজরত ওসমান বিন হানিফ (رضي الله عنه) এঁর সাথে। ঐ ব্যক্তি ওসমান বিন হানিফ (رضي الله عنه) এঁর কাছে এই বিষয়টি বললেন। অতঃপর ওসমান বিন হানিফ (رضي الله عنه) ঐ ব্যক্তিকে বললেন, তুমি ওজুখানায় যাও, ওজু কর, অতঃপর মসজিদে যাও, দুই রাকায়াত নামাজ পড়, তারপর বল, "হে আল্লাহ! আমি আপনার দিকে মুখ করছি আমাদের নবী মুহাম্মদ (ﷺ) র মাধ্যমে যিনি রহমতের নবী, ইয়া মুহাম্মাদ(ﷺ)! আমি আপনার মাধ্যমে আপনার প্রভূ আজ্জা ওয়া জাল্লার দিকে মুখ করছি, অতঃপর প্রয়োজনটি পূরণ করুন।" এখন তুমি তোমার প্রয়োজনটি উল্লেখ কর। অতঃপর তুমি যাও আমিও তোমার সাথে যাব। ঐ লোকটি গেল, ওসমান ইবনে হানিফ (رضي الله عنه) যা বলেছিলেন তা করল এবং খলিফা ওসমান ইবনে আফফান (رضي الله عنه) এঁর দরজার কাছে আসল।

দারোয়ান ঐ ব্যক্তিকে হাতে ধরে সরাসরি ওসমান (رضي الله عنه) এঁর কাছে নিয়ে গেল। তিনি অনেক সম্মান পেলেন, এবং খলিফা ঐ ব্যক্তিকে নিজের পাশে বসালেন, ধৈর্যের সাথে তার কথা শুনলেন এবং তার প্রয়োজন পুরা করলেন এবং বললেন, "তুমি আগে কেন তোমার প্রয়োজনের কথা বলনি? ভবিষ্যতে কিছু প্রয়োজন হলে সরাসরি আমার কাছে চলে আসবে।"

হজরত ওসমান (رضي الله عنه) এঁর দরবার ত্যাগের পর ঐ ব্যক্তি ওসমান বিন হানিফ (رضي الله عنه) কে ধন্যবাদ দিলেন, তার ব্যাপারে ওসমান (رضي الله عنه) এঁর কাছে সুপারিশ করার জন্য। যাউহোক ওসমান বিন হানিফ (رضي الله عنه) বললেন, আমি আপনার ব্যাপারে ওসমান (رضي الله عنه) এঁর কাছে কিছুই বলিনি, কোন সুপারিশ করিনি।

ওসমান বিন হানিফ (رضي الله عنه) বললেন, আল্লাহর কসম! আমি হুজুর রাসুলুল্লাহ (ﷺ)কে এক অন্ধ ব্যক্তিকে(সাহাবি) এই দোয়া শেখাতে দেখেছি। অতঃপর অলৌকিকভাবে অন্ধ ব্যক্তির চোখ ভাল হয়ে গেল। অতঃপর সে আমাদের নিকট আসল এমনকি আমরা আমাদের আলোচনাও শেষ করতে পারলাম না। এমন মনে হলো যেন সে কখনো অন্ধ ছিলই না।

তথ্যসূত্রঃ

১. তিরমিজি, হাদিস নং, ৩৫৭৮,

২.ইবনু মাজাহ, হাদিস নং-১৩৮৫,

৩.মুসনাদ আহমদ ৪/১৩৮ ,

৪.বোখারি, তারিখুল কাবিরে, ৬/২১০,

৫.সহিহ ইবনে খোজায়মা, হাদিস নং-১২১৯

৬.মুজামুল কাবির, তাবরাবি, খন্ডঃ৭, পৃষ্ঠা ৪১০, হাদিস নং ৮২৩২

৭.মুজামুস সাগির, তাবরাবি, খন্ডঃ২, পৃষ্ঠা ১০৬, হাদিস নং ৫০

৮.মাজমাউজ যাওয়ায়েদ, দারুল কুতুব, খন্ডঃ ২৷ পৃষ্ঠা, ২৭৯)

হাদিস ২.

২.من طريق أَبِي صَالِحٍ ، عَنْ مَالِكِ الدَّارِ، قَالَ:

أَصَابَ النَّاسَ قَحْطٌ فِي زَمَنِ عُمَرَ ، فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، اسْتَسْقِ لِأُمَّتِكَ فَإِنَّهُمْ قَدْ هَلَكُوا ، فَأَتَى الرَّجُلَ فِي الْمَنَامِ فَقِيلَ لَهُ : " ائْتِ عُمَرَ فَأَقْرِئْهُ السَّلَامَ، وَأَخْبِرْهُ أَنَّكُمْ مسْقِيُّونَ وَقُلْ لَهُ : عَلَيْكَ الْكَيْسُ ، عَلَيْكَ الْكَيْسُ "، فَأَتَى عُمَرَ فَأَخْبَرَهُ فَبَكَى عُمَرُ ثُمَّ قَالَ : يَا رَبِّ لَا آلُو إِلَّا مَا عَجَزْتُ عَنْهُ .

আবু সালিহ থেকে বর্ণিত, মালিক আদ দার (رحمة الله) বলেন, যখন ওমর (رضي الله عنه) এঁর জমানাতে দুর্ভিক্ষ হলো (খড়া) এক ব্যক্তি হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার কবর শরীফের কাছে আসলেন এবং বললেন, "ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)!" আপনার উম্মতের জন্য বৃষ্টি প্রার্থনা করুন, তারা নিশ্চয়ই ধ্বংসের সম্মুখীন হয়ে গেছে। অতঃপর হুজুর রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ঐ ব্যক্তির স্বপ্নে আসলে এবং ঐ ব্যক্তিকে বলা হলো, তুমি ওমরের কাছে যাও, তাকে সালাম দাও এবং তাকে খবর দাও যে তোমরা অচিরেই বৃষ্টিপ্রাপ্ত হবে এবং তাকে বল তাকে আরো চতুর হতে হবে, তাকে আরো চতুর হতে হবে। ঐ ব্যক্তি ওমর (رضي الله عنه) এর কাছে আসলেন এবং ঐ বিষয়ে অবহিত করলেন অতঃপ ওমর (رضي الله عنه) কাঁদতে শুরু করলেন এবং বললেন, হে আমার প্রভূ! আমার সামর্থ্যের বাহিরে যা আছে তা ছাড়া আমি কোন কিছু ত্যাগ করি না।

তথ্যসূত্রঃ 

১.মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, ৬/৩৫৬, হাদিস নং-৩২০০২,

২.ইমাম বোখারী সংক্ষেপে তার তারিখুল কাবিরে এনেছেন, ৭/৩০৪,

৩.ইমাম বাইহাকি, দালায়েলুন নুবুয়্যাহ, ৭/৪৭,

৪.ইবনু আসাকির, তারিখ, ৪৪/৩৪৫

প্রসঙ্গতঃ ইমাম আবু বকর ইবনে আবি শাইবাহ যিনি ইমাম বোখারি ও ইমাম মুসলিম এবং ইমাম আবু দাউদসহ আরো বহু বিখ্যাত মুহাদ্দিসের সরাসরি ওস্তাদ তাঁর বিখ্যাত হাদিসের কিতাব এই মুসান্নাফ। এতে আমাদের আকিদা ও হানাফি মাজহাবের আমলের বহু সহিহ ও হাসান হাদিস রয়েছে।

শায়খ আলবানি এই হাদিসখানার ওপরেও জুলুম করেছেন। যেমনটা তিনি আরো অনেক সহিহ হাদিসের ওপরে করেছেন।

 তিনি বলেছেন, যেহেতু মালিক আদ দার মজহুল বা অপরিচিত তাই এই হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। অথচ ফতহুল বারিতে ইমাম ইবনে হাজর (رحمة الله) মালিক আদ দার (رحمة الله) এঁর পরিচয় দিয়েছেন তিনি ওমর (رضي الله عنه) এঁর বায়তুল মালের উজির বলে, যেই লোক প্রিয় নবিজির (ﷺ) রউজা শরিফে গিয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া চেয়েছিলেন উনার নাম উল্লেখ করেছেন হজরত বিলাল ইবনে হারিস আল মুজনি (رضي الله عنه) বলে। এই হাদিসের সনদের কেউই মজহুল বা অপরিচিত নন।

এক সনদে হাদিসখানা আ'মাশ (رحمة الله) থেকে আন আনা দ্বারা তাদলিস হয়েছে। কিন্তু ইমাম আমাশ (رحمة الله) দ্বিতীয় পর্যায়ের মুদাল্লিস ছিলেন তাই উনার আন আনাতে কোন সমস্যা নেই। উনার তাদলিস বর্ননা গ্রহনযোগ্য এতে ইমামগন একমত।

হাদিস ৩.

حديث ابن عمر أنه خَدِرَت رِجْله، فقيل له: ما لِرِجْلِك؟ قال: اجتمعَ عَصَبُها. قيل له: اذْكُر أحَبَّ النَّاسِ إليك قال: يا محمدُ، فَبَسَطَها

ইমাম বোখারী (رحمة الله) তার আদাবুল মুফরাদে একখানা হাদিস এনেছেন হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه) থেকে, যখন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (رضي الله عنه)র পায়ে ঝিঝি ধরল তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো যে আপনার পায়ে কী হয়েছে। তিনি বললেন, রগগুলো সব এক হয়ে গেছে (রগে টান পড়েছে), তখন তাকে বলা হলো, আপনার সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তিকে স্মরণ করুন। তিনি বললেন, "ইয়া মুহাম্মাদ (ﷺ)!" অতঃপর পা বিছিয়ে দিলেন। (আদাবুল মুফরাদ, ইমাম বোখারী, হাদিস নংঃ ৯৬৪ অথবা ৯৭৫ এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন খেয়ানত করেছে। আদাবুল মুফরাদের মূল কয়েকটি আরবি নুসখাতে ইয়া মুহাম্মাদ বলা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদে ইয়া কেটে দিয়ে শুধু মুহাম্মদ বলা হয়েছে। এটা ইলমি আমানতের খেয়ানত)

হাদিস ৪.

ইমাম নববী (رحمة الله) তার বিখ্যাত সহিহ মুসলিম শরিফের ব্যাখ্যাতে এবং কিতাবুল আজকারেও বর্ননা করেছেন, সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)'র সামনে কিছু মানুষ বসেছিলেন। হঠাৎ একজনের পায়ে ঝি ঝি ধরলে, একজন সাহাবি বললেন, আপনার সবচাইতে প্রিয় ব্যক্তিকে স্মরণ করুন। তিনি বললেন, ইয়া মুহাম্মাদ(ﷺ)! সাথে সাথে ভাল হয়ে গেলেন। এরকম আরো বহু আসার সাহাবাগন থেকে বর্ণিত হয়েছে। (আল আজকার, দারুল কিতাব আল আরাবি, বৈরুত লেবানন, পৃষ্ঠা নং-২৭১)

প্রমাণ ৫.

৫. আল্লামা শাহাবুদ্দিন খাফজি মিসরি (رحمة الله) তার বিখ্যাত শিফা শরিফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ নাসিমুর রিয়াদে উল্লেখ করেন, এটা মদীনাবাসীদের একটা সাধারণ চর্চিত রীতি ছিল। মদীনাবাসীরা বিপদে ও দুঃখ কষ্টে ইয়া মুহাম্মাদ বলে আহবান করতেন। (নাসিমুর রিয়াদ, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা নং-৫৫)


হাদিস ০৬-০৭

হাদিস ৬.

উম্মুল মুমিনিন সায়্যিদাহ আয়েশা সিদ্দিকা (رضي الله عنه) বলেন, হুজুর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যখন জিবরিল আলাইহিস সালাম প্রথম ওহী নিয়ে আসলেন, গাছ-বৃক্ষ পাথর সকলেই বলতে লাগল আসসালাতু আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুলাল্লাহ।

(মাজমাউজ জাওয়াইদ, খন্ড নং-৮, পৃষ্ঠা নং-২৬০)

হাদিস ৭.

মুসলিম শরিফের সহিহ হাদিসে এসেছে যে, হিজরতের দীর্ঘ হাদিসে বলা হচ্ছে, হজরত বারা ইবনে আজিব (رضي الله عنه) বর্ননা করেছেন, যখন হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাতুল মুনাওয়ারাতে প্রবেশ করলেন তখন,

فصعد الرجال والنساء فوق البيوت وتفرق الغلمان والخدم فى الطرق ينادون يا محمد يا رسول الله يا محمد يا رسول الله

নারী পুরুষ সবাই ছাদের ওপরে ওঠে গেল, শিশু ও দাসদাদীরা রাস্তায় নেমে স্লোগান দিতে লাগল, ইয়া মুহাম্মাদ(ﷺ) ইয়া রাসুলাল্লাহ! (সহিহ মুসলিম, খন্ড, ১৯, পৃষ্ঠা নং-১১২, হাদিস নং ৭৭০৭)


---------- সমাপ্ত ----------

Comments

Popular posts from this blog

বালাকোট আন্দোলনের হাকীকত

সৈয়দ আহমদ বেরলভীর জম্ম ও পরিচয়

মওদুদীর ভ্রান্ত আক্বিদা ও ইসলামী আক্বিদা