প্রিয় নবী (ﷺ) এর মুজিযা ও শান

প্রিয় নবী (ﷺ) এর মুজিযা ও শান
____________________
প্রিয় নবী (ﷺ) এর মুজিযা ও শান

🖋মাসুম বিল্লাহ সানি

❏ প্রথমে একটা কথা না বললেই নয়।

বহু সাহাবীগনের সনদে এই হাদিস গুলো সব বর্নিত হয়েছে যা বিষয়বস্তু অনুসারে মুল বাক্যগুলোই শুধু একসাথে দেয়া হল :

হযরত মুহাম্মাদ(ﷺ) বলেন ,”

....তোমাদের কে আছো আমার মত ?”

......”আমি তোমাদের কারো মত না! “

.......”তোমাদের কেহ আমার অনুরূপ (সাদৃশ, শামিল, এ­ক রকম) না,

আমি যখন রাতে ঘুমাই তখন আল্লাহ্‌ আমাকে আহার করান এবং পান করান! “
তথ্যসূত্র:

সহিহ বুখারী ৩: ১৮২, ১৮৩, ১৮৪, ১৮৫, ১৮৭, ১৮৮

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারা মুবারকের মুজিযা
____________________
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর চেহারা মুবারকের মুজিযাঃ

❏ হযরত আবু রামাসা তামীমী (رضي الله عنه) হুযুর (ﷺ)কে দেখা মাত্রই তাৎক্ষনিকভাবে হুযূরের নবুওয়াতকে সত্য বলে মেনে নিয়ে মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন “আমি নবীকরীম (ﷺ) এর পবিত্র দরবারে হাযির হলাম, আমার সাথে আমার এক পুত্রও ছিল।

فلما رأيته قلت هذا نبى الله

অর্থাৎ- “আমি যখন উনাকে দেখলাম, তখনই বলে ফেললাম, ইনি আল্লাহর নবী।”

(শিফা শরীফ ১ম খন্ড ১৫৮ পৃঃ, জাওয়াহিরুল বিহার ১ম খন্ড ৫৫ পৃঃ)

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর হাত/ আংগুল মুবারকের শান ও মুজিযা
____________________
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর হাত/ আংগুল মুবারকের শান ও মুজিযাঃ

❏ হযরত কাতাদাহ্ (রা.) বর্ণনা করেন, বদর যুদ্ধে তার একটি চক্ষু আঘাতপ্রাপ্ত হল। এক পর্যায়ে চক্ষু খুলে মুখের উপর এসে ঝুলে পড়ল। সাহাবীগণ ঐ চক্ষু কেটে ফেলার ইচ্ছা পোষন করলেন। বিষয়টি নবীজি (ﷺ) এর দরবারে উপস্থান করা হলে তিনি তা নিষেধ করেন। বরং তাঁকে ডেকে পাঠালেন আর উক্ত চক্ষু রাসুলুল্লাহ (ﷺ) নিজ হাত মুবারক দিয়ে যথাস্থানে প্রতিস্থাপন করে দিলেন। এতে করে চক্ষু এমনভবে সুস্থ হয়ে গেল যেন তিনি বুঝতেই পারছেন না যে, কোন চোখে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছিলেন।

[তথ্যসূত্রঃ- দালায়েলুন নবুয়্যত, খন্ড ৩, পৃঃ ১০০ : কৃত-ইমাম বায়হাকী রহ.; মুসনাদে আবু ইয়ালা, খন্ড ৩, পৃঃ ১২০; তারিখে ইবনে কাছির, খন্ড ৩, পৃঃ ২৯১]

প্রায় তেরটি স্থানে মহানবী (ﷺ) এর বরকতময় আঙ্গুল সমূহ থেকে পানির ফোয়ারা প্রবাহিত হয়েছিল। তন্বধ্যে একটি ঘটনা বর্ণনার প্রয়াস নেব।

❏ হযরত জাবের (رضي الله عنه) বলেন, হুদায়বিয়ায় সাহাবায়ে কেরাম পিপাসার তিব্রতায় অত্যন্ত্ম চিন্ত্মিত হয়ে পড়লেন। তখন নবীকরীম (ﷺ) এর সম্মুখে একপাত্র পানি ছিল। উহা হতে তিনি অযু করলে সামান্য পানি বাকি রইল। সাহাবায়ে কেরাম নবীকরীম (ﷺ) এর সমীপে আরয করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার সম্মুখস্থ পাত্রের মধ্যে যে সামান্য পরিমাণ পানি রয়েছে তা ব্যতীত আমাদের কাছে আর কোন পানি নেই। যা আমরা পান করব এবং অযু করব।

فوضع النبى صل الله على وسلم يده فى الركوة فجعل الماء يفور بين اصابعه كأمثال العيون قال فشربنا وتوضأنا قيل لجابر كم كنتم؟ قال لوكنا مائة ألف لكفانا كنا خمس عشرة مائة(بخارى شيرف)

অর্থাৎঃ- “অতঃপর নবীকরীম (ﷺ) স্বীয় পবিত্র হাত ঐ পাত্রে রাখলেন। সাথে সাথে তার বরকতময় আঙ্গুলগুলো থেকে ঝরনাধারার মত পানি প্রবাহিত হতে লাগল। আমরা সকলে বিপুল পরিমাণে পানি পান করে আত্মতৃপ্তিবোধ করলাম এবং অযু করলাম। হযরত জাবের (رضي الله عنه) কে জিজ্ঞাসা করা হল- আপনারা কতজন লোক পানি পান করেছেন এবং অযু করেছেন। তিনি বললেন যদি আমরা একলক্ষও হতাম তাহলেও ঐ পানি আমাদের জন্য যথেষ্ট হত। কিন্তু সে সময় আমরা ছিলাম দেড়হাজার জন।” (বুখারী শরীফ প্রথম খন্ড ৫০৫ পৃঃ ২য় খন্ড ৫৯৮ পৃঃ)

❏ এ প্রসঙ্গে আ’লা হযরত শাহ আহমদ রেযা খান (রঃ) কতই না সুন্দর বলেছেন-

نورکے چشمے لہرائیں دریا بہیں – انگلیوں کی کرامت پہ لاکھو ں سلام

অর্থাৎঃ- “নূরের ঝর্ণা সমূহে ঢেউ তুলে নদী প্রবাহিত করেছে, আঙ্গুল সমূহের অলৌকিক শক্তির প্রতি লাখো সালাম।”

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর পা মুবারকের শান ও মুজিযা
____________________
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর পা মুবারকের শান ও মুজিযাঃ

তাঁর চরণ মুবারকের অনেক মু’জিযা রয়েছে। হুযুর আকরাম (ﷺ) এর পবিত্র পদদ্বয় যখন পাথরের উপর পড়ত তখন পাথর নরম হয়ে যেত।

❏ হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) ও আবু উমামা (رضي الله عنه) বলেন-

إنه صلى الله عليه وسلم كان إذا مشى على الصخر غاصت قدماه فيه

অর্থাৎ- “যখন মহানবী (ﷺ) পাথরের উপর চলতেন তখন এতে তাঁর পা মুবারকের চিহ্ন বসে যেত।” অর্থাৎ তাঁর পায়ের নীচে তা নরম হয়ে যেত। (বায়হাকী, ইবনে আসাকির, যুরকানি ৪র্থ খন্ড ১৯৭ পৃঃ)

❏ হযরত আমর ইবনে শুয়াইব (رضي الله عنه) বলেন- বিশ্বকুল সরদার হুযুর আকরাম (ﷺ) একবার তাঁর চাচা আবু তালিবের সঙ্গে ‘যুলমাজায’ নামক স্থানে ছিলেন। এ স্থানটি আরফা থেকে তিন মাইল দুরুত্বে অবস্থিত। এখানে প্রত্যেক বৎসর মেলা বসত। রাসূলের চাচা আবু তালিব পিপাসী হয়ে পড়েন। তখন-

قال للنبى صلى الله عليه وسلم عطشت وليس عندى ماء فنزل النبى صلى الله عليه وسلم وضرب بقدمه اﻷرض فخرج الماء فقال إشرب

অর্থাৎঃ- “তিনি হুযুর (ﷺ)কে বললেন- হে ভাতিজা! আমি পিপাসার্ত এবং আমার কাছে কোন পানি নেই। এটা শুনে প্রিয়নবী (ﷺ) তাঁর বাহন থেকে অবতরণ করলেন এবং তার পা মুবারক যমীনে মারলেন। অতপর যমীন থেকে পানি বের হতে লাগল। তিনি ফরমালেন, হে চাচা! পানি পান করুন।” (ইবনে সা’দ, ইবনে আসাকির, শিফা শরীফ, যুরকানী ৫ম খন্ড ১৭০ পৃঃ)

❏ এ ছিল পা মুবারকের মু’জিযা যে, যমীন পা মুবারকের ইঙ্গিত বুঝে পানির ঝর্ণা প্রবাহিত করে দিয়েছে। আবু তালিব বলেন, আমি পরিতৃপ্ত হয়ে পানি পান করলাম। যখন আমার পান শেষ হয়, তিনি ঐ স্থানে (যেখান থেকে পানি বের হচ্ছিল) তাঁর পা মুবারক রেখে চাপ দিলেন, তখন পানি বন্ধ হয়ে যায়। (ইবনে আসাকির, ইবনে সা’দ)

❏ হুযুর আকরাম (ﷺ) একবার হযরত আবু বকর, হযরত ওমর ও হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুমকে সাথে নিয়ে উহুদ পর্বতে আরোহন করলেন। তখন ঐ পর্বত কাঁপতে লাগল-

فضربه النبى صلى الله عليه وسلم برجله وقال أثبت فإنما عليك نبى وصديق وشهيدان (بخارى شريف)

অর্থাৎঃ- “নবী করীম (ﷺ) উহুদ পাহাড়ের উপর পদাঘাত করলেন এবং ফরমালেন, থেমে যা, কারণ তোমার উপর রয়েছেন একজন নবী, একজন সিদ্দীক ও দু’জন শহীদ।” (বুখারী শরীফ ১ম খন্ড ৫১৯, ৫২১, ৫২৩ পৃঃ)

❏ এ প্রসঙ্গে আ’লা হযরত শাহ আহমদ রেযা খান (রঃ) চমৎকার মন্ত্মব্য করেছেন-

ایک ٹھوکر سے احد کا زلزلہ جاتا رہا – رکھتی ہیں کتنا وقار اللہ اکبر ایڑیاں

অর্থাৎঃ- “এক পদাঘাতে উহুদের কম্পন চলে যায়, আল্লাহু আকবার। কতই গাম্ভীর্য্যময় ক্ষমতার অধীকারী হয় পায়ের গোড়াল্লিয়।”

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবনশক্তি মুবারকের শান ও মুজিযা
____________________
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবনশক্তি মুবারকের শান ও মুজিযাঃ

❏ এ বিবরণ দিতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা কুরআনুল করীমে এভাবে উল্লেখ করেছেন-

مازاغ البصر وما طغى

অর্থাৎঃ- “মে’রাজ রজনীতে তাঁর চক্ষু (দৃষ্টি) আল্লাহর নিদর্শনাবলী অবলোকনে বিভ্রম ও লক্ষ্যচ্যুত হয়নি।” (সুরা-নজম-১৭)

❏ নবীজীর চোখের মু’জিযা সম্পর্কে স্বয়ং তিনি ইরশাদ করেছেন-

إنى لأنظر ٳلى ما ورائى كما أنظر ٳلى ما بين يدى

অর্থাৎঃ- “নিশ্চয়ই আমি আমার পিছনেও সেরূপ দেখি, যেরূপ আমার সম্মুখে দেখি।” (দালায়িলুন নবুওয়াহ-আবু নাঈম, খাসায়েসে কুবরা ১ম খন্ড ৬১ পৃঃ)

❏ হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন-

إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال هل ترون قبلتى ههنا فوالله ما يخفى على ركوعكم ولاخشوعكم إنى لأراكم من وراء ظهرى (بخارى شريف)

অর্থাৎঃ- “রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, তোমরা কি আমার মুখ কিবলার দিকেই দেখছ? আল্লাহর কসম! আমার কাছে না তোমাদের রুকু লুকায়িত, আর না তোমাদের একাগ্রতা ও নম্রতা। নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে আমার পিছন হতেও দেখি।” (বুখারী ১ম খন্ড ৫৯ পৃঃ)

❏ হযরত আয়েশা (رضي الله عنه) বর্ণনা করেন-

كان رسول الله صلى الله صلى عليه وسلم يرى فى الظلماء كما يرى فى الضوء

অর্থাৎঃ- “হুযুর (ﷺ) যেমনি ভাবে আলোতে দেখতে পান, তেমনিই অন্ধকারেও দেখতে পান।” (খাসায়েসে কুবরা ১ম খন্ড ৬১ পৃঃ)

❏ মূতার যুদ্ধে নবীকরীম (ﷺ) হযরত যায়েদ বিন হারেসার হাতে যুদ্ধের পতাকা প্রদান করে সেনাপতি নিয়োগ করেছিলেন এবং অন্যান্য মুজাহিদীনদের উদ্দেশ্যে ইরশাদ করলেন-

যদি যায়েদ বিন হারেসা (رضي الله عنه) শাহাদত বরণ করেন তাহলে হযরত জাফর (رضي الله عنه) সেনাপতি হবেন। আর যদি তিনিও শহীদ হন তাহলে আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা (رضي الله عنه) সেনাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। আর যদি তিনিও শাহাদতের মর্যাদা লাভ করেন, তাহলে মুজাহিদীনগণ অন্য কাউকে সেনাপতি নির্বাচন করবেন।

অতঃপর যখন উক্ত সৈন্যবাহিনী মুতার যমীনে পদার্পন করলেন এবং যুদ্ধ শুরু হল, তখন রহমতে আলম নূরে মুজাসসাম (ﷺ) মদীনায়ে মুনওয়ারা থেকে উক্ত যুদ্ধের চিত্র পর্যবেক্ষন করছেন। অতঃপর হুযুর (ﷺ) উপস্থিত সাহাবাদের উদ্দেশ্যে ইরশাদ করলেন,

যুদ্ধের পতাকা যায়েদ বিন হারেসা (رضي الله عنه) হাতে নিয়েছেন। কিন্তু তিনি শহীদ হয়ে গেলেন।

অতঃপর নবীজী বললেন, এখন যুদ্ধের পতাকা হযরত জাফর (رضي الله عنه) উত্তোলন করলেন। কিন্তু তিনিও শাহাদত বরণ করলেন।

অতঃপর হুযুর (ﷺ) বললেন এখন আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা (رضي الله عنه) এর হাতে ইসলামের পতাকা আসছে। কিন্তু তিনিও শাহাদতের সুরা পান করলেন।

অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সর্বশেষ আল্লাহর একটি তরবারি (খালেদ বিন ওয়ালিদ (رضي الله عنه)) যুদ্ধের পতাকা হাতে নিলেন। আর সুস্পষ্ট বিজয় ছিনিয়ে আনলেন। রাহমাতুল্লিল আলামীন মূতার মাঠে সংঘটিত যুদ্ধের অবস্থাদি সাহাবাদের শুনাচ্ছেন। যেই মূতা মদীনায়ে তৈয়্যেবা থেকে একমাস বা তারও অধিক দুরুত্ব পথে অবস্থিত। আর এ অবস্থায় রহমতে আলম (ﷺ) এর নয়ন যুগল অশ্রম্নসিক্ত হয়ে মুক্তা ঝরাচ্ছিল।

(বুখারী ১ম খন্ড ১৬৭ পৃঃ)

❏ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর ফারুক (رضي الله عنه) বলেন-

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ٳن الله قد رفع لى الدنيا فأنا أنظر ٳليها وٳلى ما هو كائن فيها ٳلى يوم القيامة كأنما أنظر ٳلى كفى هذه

অর্থাৎঃ- “রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা আমার জন্য দুনিয়ার পর্দা সমূহ তুলে দিয়েছেন। অতঃপর আমি দুনিয়া এবং তাতে কিয়ামত পর্যন্ত্ম যা সংঘটিত হবে সব বিষয়কে এভাবে দেখছি, যেভাবে এই আমার হাতের তালুকে দেখছি।” (যুরকানী আলাল মাওয়াহিব)

❏ আ’লা হযরত চমৎকার বলেছেন-

دور و نزدیک کے سننے والے وہ کان – کان لعل کرامت پہ لاکھوں سلام

অর্থাৎঃ- “সেই কর্ণ মুবারক দুরে ও নিকটে সমান ভাবে শ্রবণকারী। সেই মুক্তাময় কর্ণের অলৌকিক শক্তির প্রতি লাখো সালাম।”

❏ সরকারে দো আলম (ﷺ) নিজেই ইরশাদ করেছেন-

ٳنى أرى ما لا ترون وأسمع ما لا تسمعون

অর্থাৎঃ- “আমি তা দেখি, যা তোমরা দেখ না এবং আমি তা শুনি যা তোমরা শুনতে পাও না।”

(তিরমিযী, ইবনে মাঝাহ, খাসায়েসে কুবরা ১ম খন্ড ৬৭ পৃষ্ঠা)

❏ উম্মুল মু’মিনীন হযরত মায়মূনা (رضي الله عنه) বলেন,

একরাত্রে হুযুর (ﷺ) আমার হুজরায় উপস্থিত ছিলেন। তিনি যথারীতি তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য উঠলেন এবং অযু করার জন্য গমন করলেন। অতঃপর আমি শুনতে পেলাম যে, তিনি অযু খানায় তিনবার “লাব্বাইক” (আমি তোমার কাছে উপস্থিত) এবং তিনবার “নুসিরতা” (তোমাকে সাহায্য করা হল) ফরমায়েছেন। যখন হুযুর (ﷺ) অযু করে বের হলেন তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি শুনতে পেলাম- আপনি অযু খানায় তিনবার ‘লাব্বাইকা’ এবং তিনবার ‘নুসিরতা’ বলেছেন। যেন আপনি কোন মানুষের সাথে কথা বলছিলেন। আপনার কাছে আমি ব্যতীত কেউ ছিল কি? তখন নবীকরীম (ﷺ) ফরমালেন- ইতি রাজেয, আমার কাছে ফরিয়াদ করছে। উল্লেখ্য যে, তখন রাজেয ছিল মক্কায়, আর রসূল (ﷺ) ছিলেন মদীনায়। কিন্তু হুযুর (ﷺ) তাঁর ফরিয়াদ শুনেছেন এবং তাকে সাহায্য করেছেন।

❏ আল্লামা যুরকানী উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় বলেন-

لا بعد فى سماعه صلى الله عليه وسلم من مسيرة ثلاث فقد كان يسمع أطيط السماء

অর্থাৎঃ- “হুযুর (ﷺ) তিন মাসের দুরুত্বের পথে একজন ফরিয়াদির ফরিয়াদ শুনা তো অসম্ভব নয়। কারণ তিনি যমীনে বসে আসমানের চড় চড় শব্দও শুনে থাকেন।” বরং আরশের নীচে চন্দ্রের সিজদাবনত হওয়ার আওয়াজ পর্যন্তও শুনছিলেন।

❏ দালায়েলুন খায়রাত শরীফে বর্ণিত একটি হাদীসে রাসূলে খোদা (ﷺ) ইরশাদ করেছেন-

 أسمع صلٰوة أهل محبتى وأعرفهم

অর্থাৎঃ- “আমি আমার মুহাব্বত সম্পন্ন লোকদের দরূদ স্বয়ং শুনি এবং তাদেরকে চিনি।” (দলায়েলুল খয়রাত)

 ❏ মিশকাত শরীফের ‘মুজিযাত’ অধ্যায়ে হযরত আবু হোরায়রা (রাদিয়াআল্লাহ আনহু) থেকে বর্ণিত আছে-

فَقَالَ رَجُلُ تَاللهِ اِنْ رَئَيْتُ كَالْيَوْمِ ذِئْبٌ يَتَكَلَّمُ فَقَالَ الذِّئْبُ اَعْجَبُ مِنْ هذَا رَجُلٌ فِى النَّخْلَاتِ بَيْنَالْحَرَّتَيْنِ يُخْبِرُ كُمْ بِمَا مَضى وَمَاهُوَ كَائْنٌ بَعْدَكُمْ

জনৈক শিকারী আশ্চর্য হয়ে বললো নেকড়ে বাঘকে আজ যেরুপ কথা বলতে দেখলাম সেরুপ ইতিপূর্বে আর কখনো দেখিনি। তখন নেকড়ে বাঘ বলে উঠলো এর চেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো-ঐ দুই উন্মুক্ত প্রান্তরের মধ্যবর্তী মরুদ্যানে (মদিনায়) একজন সম্মানিত ব্যাক্তি (হুজুর আলাইহিস সালাম) আছেন, যিনি তোমাদের নিকট বিগত ও অনাগত ভবিষ্যতের বিষয় সম্পর্কে সংবাদ পরিবেশন করেন।

❏ মিশকাত শরীফের ‘ফযায়েলে সায়্যিদুল মুরসালীন’ শীর্ষক অধ্যায়ে ‘মুসলিম শরীফের’ বরাত দিয়ে হযরত ছওবান (রাদিয়াআল্লাহু তাআলা আনহু) থেকে বর্ণনা করা হয়েছেঃ-

اِنَّ اللهَ زَوى لِىَ الْاَرْضَ فَرَءَيْتُ مَشَارِقَ الْاَرْضِ وَمَغَارِبَهَا

অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা আমার সম্মুখে গোটা পৃথিবীকে এমনভাবে সঙ্কুচিত করেছেন, যে আমি পৃথিবীর পূর্বপ্রান্ত ও পশ্চিমপ্রান্ত সমূহ স্বচক্ষে অবলোকন করেছি।

❏ বুখারী শরীফের بَدْءِ الْخَلْقِ শীর্ষক আলোচনায় ও মিশকাত শরীফের দ্বিতীয় খণ্ডের بَدْءِ الْخَلْقِ وَذِكْرُ الْاَنْبِيَاءِ শীর্ষক অধ্যায়ে হযরত উমর (রাদিয়াআল্লাহু আনহু) থেকে বর্নিতঃ

قَامَ فِيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَامًا فَاَخْبَرَنَا عَنْ بَدْءِ لْخَلْقِ حَتَّى دَخَلَ اَهْلُ الْجَنَّةِ مَنَازِ لَهُمْ وَ اَهْلُ النَّارِ مَنَازِ لَهُمْ حَفِظَ ذلِكَ مَنْ حَفِظَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيَهُ

অর্থাৎঃ হুযুর আলাইহিস সালাম এক জায়গায় আমাদের সাথে অবস্থান করেছিলেন সেখানে তিনি ((ﷺ)) আমাদেরকে আদি সৃষ্টির সংবাদ দিচ্ছিলেন এমন কি বেহেশতবাসী ও দোযখবাসীগণ নিজ নিজ মনযিলে বা ঠিকানায় পোঁছে যাওয়া অবধি পরিব্যাপ্ত যাবতীয় অবস্থা ও ঘটনাবলীর বর্ণনা প্রদান করেন। যিনি ওসব স্মরন রাখতে পেরেছেন তিনি তো স্মরন রেখেছেন, আর যিনি স্মরণ রাখতে পারেননি তিনি ভুলে গেছেন।

❏ এখানে হুযুর আলাইহিস সালাম দু’ধরনের ঘটনাবলীর খবর দিয়েছেনঃ

১) বিশ্ব সৃষ্টির সূচনা কিভাবে হলো এবং

২) এর সমাপ্তি কিভাবে হবে।

অর্থাৎ রোযে আযল (সৃষ্টির ঊষালগ্ন) থেকে কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক অণু-পরমাণুর পুঙ্খাণুপুঙ্খরূপে বর্ননা দিয়েছেন।

❏ মিশকাত শরীফের اَلْمُعْجِزَاتِ অধ্যায়ে মুসলিম শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে আযর ইবনে আখতাব থেকে একই কথা বর্নিত, তবে এতে এতটুকু অতিরিক্ত আছেঃ

فَاَخْبَرْنَا بِمَاهُوْ كَائِنٌ اِلى يَوْمِ الْقِيَمَةِ فَاعْلَمْنَا اَخْفَظُنَا

(আমাদেরকে সেই সমস্ত ঘটনাবলীর খবর দিয়েছেন যে গুলো কিয়ামত পর্যন্ত ঘটতে থাকবে। আমাদের মধ্যে সব চেয়ে আলিম হলেন তিনি, যিনি এ সব বিষয়াদি সর্বাধিক স্মরন রাখতে পেরেছেন।)

❏ মিশকাত শরীফের اَلْفِتنٌ শীর্ষক অধ্যায়ে বুখারী ও মুসলিম শরীফের বরাত দিয়ে হযরত হুযাইফা (রাদিয়াআল্লাহু আনহু) থেকে বর্নিত হয়েছেঃ

مَاتَرَكَ شَيْأً يَكُوْنُ فِىْ مَقَامِه اِلَى يَوْمِ الْقِيمَةِ اِلَّا حَدَّثَ بِه حَفِظَهُ مَنْ حَفِطَهُ وَنَسِيَهُ مَنْ نَسِيْهُ

অর্থাৎ হুযুর আলাইহিস সালাম সে জায়গায় কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে, সব কিছুর খবর দিয়েছেন, কোন কিছুই বাদ দেননি। যাদের পক্ষে সম্ভব, তারা সব স্মরন রেখেছেন, আর অনেকে ভুলেও গেছেন।

❏ মিশকাত শরীফের ‘মাসাজিদ’ অধ্যায়ে হযরত আবদুর রহমান ইবন আয়েশ (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছেঃ-

আমি আল্লাহ তা’আলাকে সুন্দরতম আকৃতিতে দেখেছি। তিনি স্বীয় কুদরতের হাতখানা আমার বুকের উপর রাখলেন, যার শীতলতা আমি স্বীয় অন্তঃস্থলে অনুভব করেছি। ফলে, আসমান যমীনের সমস্ত বস্তু সম্পর্কে অবগত হয়েছি।

❏ শহরে মাওয়াহেবে লদুনিয়ায়’ (হযরত আল্লামা যুরকানী (রহতুল্লাহে আলাইহে) প্রণীত) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর থেকে বর্ণিত আছেঃ-

اِنَّ اللهَ رَفَعَ لِىْ الدُّنْيَا فَاَنَا اَنْظُرُ اِلَيْهَا وَاِلى مَهُوَ كَائِنٌ فِيْهَا اِلى يَوْمِ الْقِيَمَةِ كَاَنَّمَا اَنْظُرُ اِلَى كَفِّىْ هذَا

অর্থাৎঃ আল্লাহ তা’আলা আমার সামনে সারা দুনিয়াকে তুলে ধরেছেন। তখন আমি এ দুনিয়াকে এবং এতে কিয়ামত পর্যন্ত যা’কিছু হবে এমন ভাবে দেখতে পেয়েছি, যেভাবে আমি আমার নিজ হাতকে দেখতে পাচ্ছি।

❏ মিশকাত শরীফের মাসাজিদ অধ্যয়ে তিরমিযী শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণিত আছেঃ

 فَتَجَلَّى لِىْ كُلُّ شَيْئٍ وَعَرَفْتُ

তখন প্রত্যেক কিছু আমার কাছে উন্মুক্ত হয়েছে এবং আমি এগুলো চিনতে পেরেছি।

❏ মসনদে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলে হযরত আবুযর গিফারী (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছেঃ-

لَقدْ تَرَكْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ وَما يُحَرِّكُ طَائِرٌ جَنَاحَيْهِ اِلَّا ذَكَرَلَنَا مِنْهُ عِلْمًا

(হুযুর আলাইহিস সালাম আমাদেরকে এমনভাবে অবহিত করেছেন যে, একটা পাখীর পালক নড়ার কথা পর্যন্ত তার বর্ণনা থেকে বাদ পড়েনি।

❏ মিশকাত শরীফের ‘ফিতনা’ নামক অধ্যায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে হযরত হুযাইফা (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছেঃ- (হুযুর আলাইহিস সালাম পৃথিবীর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য কোন ফিতনা পরিচালনাকারীর কথা বাদ দেননি যাদের সংখ্যা তিনশত কিংবা ততোধিক হবে এমন কি তাদের নাম তাদের বাপের নাম ও গোত্রের নামসহ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন।)'

❏ বুখারী শরীফের-

 كِتَابُ الْاِعْتِصَامِ بِالْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ এ ও খাযেনে لَا تَسْئَلُوْا عَنِ الْاَشْيَاءِ اِنْ تُبْدَ لَكُمْ আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখিত আছে- (একদিন হুযুর আলাহিস সালাম মিম্বরের উপর দাঁড়ালেন। অতপর কিয়ামতের উল্লেখপূর্বক এর আগে যে সমস্ত ভয়ানক ঘটনাবলী ঘটবে, সে সম্পর্কে বর্ণনা দিলেন। এরপর তিনি রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘যার যা খুশি জিজ্ঞাসা করতে পার।’ খোদার শপথ, এ জায়গা অর্থাৎ এ মিম্বরে আমি যতক্ষণ দন্ডয়মান আছি, ততক্ষণ তোমরা যা জিজ্ঞাসা কর না কেন, আমি অবশ্যই উত্তর দেব।’ জনৈক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে আরয করলেন, ‘পরকালে আমার ঠিকানা কোথায়?’ ইরশাদ ফরমালেন জাহান্নামের মধ্যে।

আবদুল্লাহ ইবনে হুযাফা’ দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন ‘আমার বাপ কে’? ইরশাদ করেন, হুযাফা।’ এর পর তিনি (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বার বার ইরশাদ ফরমান, জিজ্ঞাসা করো, জিজ্ঞাসা করো।

❏ মিশকাত শরীফের ‘মাসাজিদ’ অধ্যায়ে হযরত আবদুর রহমান ইবন আয়েশ (রাদিআল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত আছেঃ-

আমি আল্লাহ তা’আলাকে সুন্দরতম আকৃতিতে দেখেছি। তিনি স্বীয় কুদরতের হাতখানা আমার বুকের উপর রাখলেন, যার শীতলতা আমি স্বীয় অন্তঃস্থলে অনুভব করেছি। ফলে, আসমান যমীনের সমস্ত বস্তু সম্পর্কে অবগত হয়েছি।

❏ শহরে মাওয়াহেবে লদুনিয়ায়’ (হযরত আল্লামা যুরকানী (রহতুল্লাহে আলাইহে) প্রণীত) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর থেকে বর্ণিত আছেঃ-

اِنَّ اللهَ رَفَعَ لِىْ الدُّنْيَا فَاَنَا اَنْظُرُ اِلَيْهَا وَاِلى مَهُوَ كَائِنٌ فِيْهَا اِلى يَوْمِ الْقِيَمَةِ كَاَنَّمَا اَنْظُرُ اِلَى كَفِّىْ هذَا

অর্থাৎঃ আল্লাহ তা’আলা আমার সামনে সারা দুনিয়াকে তুলে ধরেছেন। তখন আমি এ দুনিয়াকে এবং এতে কিয়ামত পর্যন্ত যা’কিছু হবে এমন ভাবে দেখতে পেয়েছি, যেভাবে আমি আমার নিজ হাতকে দেখতে পাচ্ছি।

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) দন্ত মুবারকের শান ও মুজিযা
____________________
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) দন্ত মুবারকের শান ও মুজিযাঃ

❏ হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন-

إن النبى صلى الله عليه وسلم إذا ضحك يتلألؤ فى الجدر لم أرمثله قبله ولا بعده

অর্থাৎ- “নবীকরীম (ﷺ) যখন হাসতেন তখন দন্ত্ম সমূহ থেকে নূরের কিরণ বের হত, যা থেকে দেওয়াল সমূহ আলোকিত হয়ে উঠত। আর আমি হুযুর (ﷺ) এর মত তার পূর্বে ও পরে কাউকে দেখিনি। (তিরমিযী)

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘাম মুবারকের সুগন্ধ ও মুজিযা
____________________
রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘাম মুবারকের সুগন্ধ ও মুজিযাঃ

❏ হযরত আনাস বিন মালেক (رضي الله عنه) বলে, "

 একবার সরকারে দো জাহান (ﷺ) দুপুর বেলায় আমাদের ঘরে আরাম করছিলেন। তখন হযরত উম্মে সুলাইম (رضي الله عنه) একটি শিশির মধ্যে রাসূল (ﷺ) এর নূরানী বদন মুবারকের নির্গত ঘাম এর বিন্দুগুলো জমা করতেছিলেন। হুযুর (ﷺ) তাকে এ রকম করতে দেখে ফরমালেন- হে উম্মে সুলাইম এ কি করছ? তিনি আরয করলেন- এটা হল আপনার ঘাম, যা আমরা আতরের সাথে মিশিয়ে নিব। আর এটা তো সমস্ত্ম আতর এবং সুগন্ধি অপেক্ষা অধিক সুবাসিত। (বুখারী ও মুসলিম)

❏ হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) বলেন,

এক ব্যক্তি বিশ্বকুল সরদার হুযুর (ﷺ) এর খেদমতে আরয করল- ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে নিজ কন্যা বিবাহ দিতে হবে। অথচ আমার কাছে কোন সুগন্ধি নেই। আপনি কিছু সুগন্ধি দান করুন। তিনি ফরমালেন- আগামীকাল খোলা মুখ বিশিষ্ট একটি শিশি নিয়ে আসবে। দ্বিতীয় দিন লোকটি একটি শিশি নিয়ে এল। হুযুরে আকরাম (ﷺ) তাঁর উভয় বাহু থেকে শিশিতে ঘাম ঢালতে লাগলেন। এমনকি তা ভরে যায়। অতঃপর ইরশাদ করলেন, এটা নিয়ে যাও। আর তোমার কন্যাকে বলবে যেন এ থেকে সুগন্ধি ব্যবহার করে।

 فكانت إذا تطيبت به يشم اهل المدينة رائحة ذٰلك الطيب فسموا بيت المطيبين

অর্থাৎ- “যখন উক্ত মহিলা নবীজীর ঘাম মুবারক সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করত, তখন সমস্ত্ম মদীনা বাসীর কাছে তার সুগন্ধি পৌঁছে যেত। এমনকি তাঁরা ঐ ঘরকে “বায়তুল মুতায়্যেবীন” (সুবাসিতদের ঘর) নামে আখ্যায়িত করল।”

(আবু ইয়ালা, তাবরানী, যুরকানী, খাসায়েসে কুবরা)।

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর ছায়া বিহীন দেহ মুবারকের শান ও মুজিযা
____________________

রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর ছায়া বিহীন দেহ মুবারকের শান ও মুজিযাঃ

❏ হযরত যাকওয়ান (رضي الله عنه) বলেন-

لم يكن يٰرى له ظل لا فى الشمس ولا فى القمر

অর্থাৎঃ- “নবীকরীম (ﷺ) এর ছায়া দেখা যেত না। না সূর্যের আলোতে, আর না চন্দ্রের কিরণে।”

(হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামীন, যুরকানী আলাল মাওয়াহিব)

__________ সমাপ্ত __________



Comments

Popular posts from this blog

বালাকোট আন্দোলনের হাকীকত

সৈয়দ আহমদ বেরলভীর জম্ম ও পরিচয়

মওদুদীর ভ্রান্ত আক্বিদা ও ইসলামী আক্বিদা