"দাওয়াতে ইসলামী" হতে সাবধান

ফত্ওয়া বিভাগ,
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া

৭ নং বেতাগী ইউনিয়ন শাখার পক্ষ থেকে মাওলানা মোজাম্মেল হক কর্তৃক - আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শরয়ী ফত্ওয়া নিম্নে প্রদান করা হলো -

আমাদের সিলসিলার খতমে গাউছিয়া শরীফ দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চলতেছে গাউছিয়া কমিটির কিছু লোকজনকে সম্পৃক্ত করে দাওয়াতে ইসলামের লোকজন সেটা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পায়তারা করতেছে, আর বর্তমান দাওয়াতে ইসলামীর কর্মকান্ডের ব্যাপারে আমাদের হুজুরের দরবার থেকে সতর্কবানী আসছে। তাদের কর্মকান্ড আসল ত্বরিকতের কর্মকান্ডের সাথে গরমিল পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখন তাদের সমস্ত কর্মকান্ড রিয়া, লোক দেখানো ও অধিক প্রচার বান্ধব হয়েছে, যা কারো নিকট অস্পষ্ট নয়। তাদের কিছু কিছু বই পুস্তক সুন্নি আকায়েদ বিরোধী এবং আ'লা হযরতের দর্শন বিরোধী এদেশের ইমামে আহলে সুন্নত গাজী ইমাম শেরে বাংলা (র.) ও অন্যান্য মুহাক্বিক সুন্নি ওলামাদের মতবিরোধী কথা তাদের কিতাবে পরিলক্ষিত হয়। তাছাড়া ভারত – পাকিস্তানের মুহাক্বেক আলেমগনের পক্ষ থেকে বর্তমানের দাওয়াতে ইসলামের বিপক্ষে ফতোয়া জারি হয়েছে। বিভিন্ন বই পুস্তক ছাপানো হয়েছে, বিভিন্ন মিডিয়াতে এসেছে, বিশেষ করে তাজুশ শরিয়া আল্লামা আখতার রেজা আজহারী (র.)'র পক্ষ থেকে ফতোয়া জারি হয়েছে। এবং ভারত জামেয়া নঈমীয়া মুরাদাবাদের মুফতী আইয়ূব খাঁন নঈমী মাঃ জীঃ আঃও ফত্ওয়া দেওয়া হয়েছে। দাওয়াতে ইসলামী ইজতেমার নাম দিয়ে এদেশের সুন্নি মুসলমান যারা বিভিন্ন পীরের হাতে মুরিদ হয়েছে। এদেরকে সুন্নাত শিক্ষার নাম দিয়ে এজতেমা বসিয়ে অনলাইন ও টিভির মাধ্যমে দাওয়াতে ইসলামে পীরের হাতে বাইয়াত করিয়ে দেন। অথচ তারা বিভিন্ন পীরের হাতে মুরিদ হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশে সুন্নিয়তের প্রাণকেন্দ্র জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া এবং শাহেনশাহ সিরিকোটের দরবারের পক্ষ থেকে বর্তমান প্রচলিত ইলিয়াসী দাওয়াতে ইসলামী সম্পর্কে সতর্ক বাণী দেওয়া হয়েছে। সুতরাং হুজুর কেবলা শাহেন শাহ সিরিকোটির মুরিদ নিয়ে এবং গাউছিয়া কমিটির ভাইয়েরা আমাদের হুজুর ক্বিবলার সিলসিলার আলেম দ্বারা এলাকা ভিত্তিক দাওয়াতে খাইয়ের খতমে গাউছিয়া পরিচালনা করবেন। অন্যত্বার কার লোকজন দিয়ে এগুলো আদায় করলে তার যথাযথভাবে হক আদায় হবে না। যেমনিভাবে অন্য ধর্মের লোক দিয়ে পশু জবাই করলে, তাযেমন শরীয়ত সম্মত হয় না, তেমনিভাবে অন্য ত্বরিকার লোকদের দিয়ে গাউছিয়া শরীফ ও দাওয়াতে খায়ের করালে তা সহীহ হবে না। আমাদের হুজুর কেবলার তরিকত ও সিলসিলার কর্মকান্ড, গাউছিয়া কমিটির মাধ্যমে এবং জামেয়ার হুজুরদের পরামর্শক্রমে পালন করা। তরিকতের ধারা অনুযায়ী অপরিহার্য, সুতরাং দাওয়াতী ইসলামের কোনো কর্মকান্ডে আমাদের সিলসিলার কোনো ভাইবোন যেন সম্পৃক্ত যেন না হয়। ইহাই শরীয়তের ফায়সালা।


ফত্ওয়া প্রদানে,
আল্লামা মুফতী কাজী আব্দুল ওয়াজেদ
প্রধান ফকীহ্
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া।




------------------------------------------


Comments

Popular posts from this blog

বালাকোট আন্দোলনের হাকীকত

সৈয়দ আহমদ বেরলভীর জম্ম ও পরিচয়

মওদুদীর ভ্রান্ত আক্বিদা ও ইসলামী আক্বিদা