Posts

Showing posts from January, 2024

নজদী খারেজী ওহাবীদের ফতোয়াবাজীর প্রতিবাদ

নজদী-খারেজী-ওহাবীদের ফতুয়াবাজীর প্রতিবাদ প্রণেতাঃ মাওলানা আকবর আলী রেজভী ছুন্নী আল ক্বাদেরী রেজভীয়া দরবার শরীফ সতরশ্রী পোঃ— ঠাকুরাকোণা, জিলা— ময়মনসিংহ। টেক্সট্ রেডীঃ মুহাম্মদ আব্দুল খালেক বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম "নাহমাদুহু ওয়ানুছাল্লি আলা-রাছুলিহিল কারিম" বেরাদরানে-ই-ইসলাম! বিগত ১৪০৩ হিজরী সনের ১লা রমজান কিশোরগঞ্জ হইতে 'ভক্তদের ক্রিয়াকাণ্ড' নামে ওহাবী খারেজী লা মাজহাবী রচিত (পদ্যাকারে) একটি ক্ষুদ্র পুস্তিকা আমার হস্তগত হয়। কতিপয় অজ্ঞাত পরিচয় (ঠিকানা বিহীন) ব্যক্তি উহা প্রকাশ করে। উহাতে আটরশীর পীর সাহেবকে উদ্দেশ্য করিয়া লিখিতে গিয়া বড় পীর দাস্তগীর হজরত মাহবুবে ছোবহানী আব্দুল কাদের জিলানী রাদিয়াল্লাহু আনহু হইতে শুরু করিয়া হজরত শাহ্জালাল ইয়ামানী সিলহেটী রাদিয়াল্লাহু আনহু পর্যন্ত পাক-ভারতের বহু আওলিয়ায়ে কেরামকে পারিলাম না। সরলপ্রাণ নিরীহ মুসলমানের ঈমান রক্ষার্থে প্রতিবাদ লিখিতে বাধ্য হইলাম। (১) নজদী অনুচর ওহাবী লা-মজহাবী প্রথমেই লিখিয়াছে—পীর-পূজা, কবর পূজা শিরিক, যেমন— দুর্গাপূজা। এক্ষণে আমি (মাওঃ রেজভী সুন্নী আল ক্বাদেরী) জিজ্ঞাসা করি বিশ্ব-জগতের ক...

ওহাবীরা ইংরেজদের দালাল

ওহাবীরা ইংরেজদের বেতনভুক্ত দালাল (একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য) মূল মুহাম্মদ নওশাদ আলম চিশতী অনুবাদক অধ্যক্ষ হাফেজ এম.এ. জলিল (রহঃ) টেক্সট্ রেডীঃ মুহাম্মদ আব্দুল খালেক প্রকাশকাল ১ম প্রকাশ: ১২ জুন ১৯৯৯ইং মোতাবেক ২৭ সফর ১৪২০ হিজরী ২য় প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০১৬ইং মোতাবেক ০৩ মহররম ১৪৩৮ হিজরী প্রকাশকের কথা ---------------------- নাহমাদুহু ওয়া নুছাল্লী আলা রাসূলিহিল কারীম, খোদার খোদায়ীত্বকে ধুলায় দোষরীতে করার জন্য তাঁরই রাজত্বে বহু নরাধম জন্মে ছিল আজ তারা নেই; নাম আছে কিন্তু সৃষ্টিকুল নাক সিটকানো ভঙ্গিমায় স্মরণ করে। রাসূলে মকবুল নূরে মোজাচ্ছাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম'র আগমন তথা ইসলাম আসার পর থেকে এই শান্তির ধর্মকে অনেক বিষধর ধ্বংসের সাথে মোকাবেলা করতে হয়েছে। কিন্তু খোদার লাখো শুকরিয়া যে, এ বাগান এখনো পূর্ববৎ সজীব ও প্রাণবন্ত রয়েছে। এ ধর্ম কখনো কুখ্যাত ইয়াজিদ দ্বারা মেঘাচ্ছন্ন হয়েছে। কখনো হাজ্জাজের আমলের নির্যাতনে মানুষ দিশেহারা ছিল। কখনো খলিফা মামুনের আমলে বাতিল পন্থীদের আক্রমনের শিকার হয়েছে। আবার খারেজী-রাফেজী, শিয়া, মোতাজেলা, সালাফী আহলে হাদীস তাদের সাথে যোগ হয়েছে দেওবন্দী ওহ...

ফুরফুরাপন্থীদের হাক্বীক্বত

ফুরফুরাপন্থীদের হাক্বীক্বত লেখক আযীযে মিল্লাত মুফতী মুহাম্মাদ আব্দুল আযীয কালিমী বড় বাগান, মানিকচক, মালদহ। Mob: 9734135362 –ঃঃ শাইখুল হাদীসঃঃ– মাদ্রাসা গাওসিয়া ফাসিহীয়া মাদীনাতুল উলূম সাং— খালতিপুর,  থানা—কালিয়াচক , জেলা — মালদা। —ঃঃপরিমার্জনায়ঃঃ—। ডাঃ মোহা জাহাঙ্গীর আলাম সাং— কাহালা, উত্তর লক্ষীপুর, কালিয়াচক, মালদহ। প্রথম প্রকাশঃ– এপ্রিল, ২০১৭ –ঃঃঅক্ষরবিন্যাসঃঃ– আশরাফিয়া কম্পিউটার প্রইন্ট প্রোঃ মওহআঃ সামিম আখতার স্থানঃ মোথাবাড়ী (লাবু মোড়), মালদা। মোবাইলঃ– ৯৮৫১৭৮৪৫৭৭/৮৭৫৯১৪৯৯৯০ প্রকাশকঃ সেরাজিয়া দারুল ইশায়াত। বড় বাগান, মানিকচক, মালদহ। টেক্সট রেডীঃ মুহাম্মদ আব্দুল খালেক অভিমত বাংলার গৌরব শেরে রাযা মুনাযিরে আহলে সুন্নাত ফাক্বীহে বাঙ্গাল হযরত আল্লামা মাওলানা মুফতি মোঃ আলিমুদ্দিন রেজবী (আতালাল্লাহু তা-আলা উমরাহু অ-ফাযলাহু) এফ. ডি. এন., এম. এম., এম. এ., বি. এড.। শিক্ষকঃ নাইত শামসেরিয়া হাই মাদ্রাসা রঘুনাথগঞ্জ, জঙ্গীপুর, মুর্শিদাবাদ। ______________________________ بسم الله الرحمن الرحيم مبسملا وحامدا ومصليا و مسلما পশ্চিম বাংলার তরুণ সু-লেখক ও ইসলামী গবেষক আযীযে মিল্লাত হযরতুল আ...

সৈয়দ আহমদ

মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর আন্দোলনের সাথে সৈয়দ আহমদ বেরলভীর গোপন যোগাযোগ সোলায়মান আযহার -এর স্বীকৃতি টেক্সট্ রেডীঃ মুহাম্মদ আব্দুল খালেক সৈয়দ আহমদ বেরেলভীর আক্বিদা সংক্রান্ত বিষয়ে এবং আন্দোলন সম্পর্কে জানতে হলে তার দীর্ঘ হজ্বের সফর সম্পর্কে জানা থাকা উচিত। তিনি ইসমাঈল দেহলভীসহ ৭৫০ লোকের বিরাট কাফেলা নিয়ে হজ্ব করতে যান ১৮১৬ খৃষ্টাব্দে। দীর্ঘ ৪ বছর আরবে অবস্থান করে ১৮২০ খৃষ্টাব্দে দেশে ফিরে আসেন। এই দীর্ঘ সময় তিনি কী করেছিলেন? কোথায় গিয়েছিলেন? কার সাথে দেখা করেছিলেন? কার সাথে মিলিত হয়েছিলেন? কার নিকট থেকে ওহাবী আন্দোলনের শিক্ষা ও পদ্ধতি গ্রহণ করেছিলেন? -সে সম্পর্কে স্বয়ং সউদী বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ কর্তৃক সমর্থিত ও প্রকাশিত আরবী গ্রন্থ "শেখ মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব" গ্রন্থে বিস্তারিত বিবরণ লেখা আছে। সুলায়মান আযহারের স্বীকৃতিঃ শেখ আব্দুল গফুর আত্তার কর্তৃক আরবীতে লিখিত এবং শেখ আহমদ সাদেক খলীল কর্তৃক উর্দূতে অনূদিত উক্ত গ্রন্থের "মুখবন্ধ" লিখেছেন সৈয়দ ভক্ত আহলে হাদীস নেতা মুহাম্মদ সুলায়মান আযহার ১৩৯৫ হিজরী শাবান মাসে। উক্ত "মুখবন্ধ" -এ ...

কথিত আহলে হাদিস থেকে ফিরে আসা জনৈক ব্যক্তির চেপে রাখা ক্ষোভের বিস্ফোরণ

Image
কথিত আহলে হাদিস থেকে ফিরে আসা জনৈক ব্যক্তির চেপে রাখা ক্ষোভের বিস্ফোরণ : ---আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। কথিত আহলে হাদিস থেকে ফিরে আসা জনৈক ব্যক্তি বলতে লাগলেন, আমি জানতাম আমরা হানাফী মাজহাবেরই অনুসারী। বেশ ওই পর্যন্তই। এর বেশী কিছু নয়। হানাফী মাজহাব কী, তা আমাদের নিকট ভাল করে জানা ছিলনা।~আজ থেকে দশ বছর আগে একটি পুস্তক পড়লাম। পড়ে আমি খুব মুগ্ধ হলাম। তাতে লিখা ছিল রাসুলের কোনো মাজহাব ছিলনা, সাহাবাগণ কোনো মাজহাব অনুসরণ করেন নি। রাসুল ছাড়া আর কারো তাকলীদ বা অন্ধ অনুসরণ করা যাবে না। যেখানে কুরআন ও সহীহ হাদিস মওজুদ আছে সেখানে আবার মাজহাব তাজহাব মানতে হবে কেন ? ~মাজহাব নাকি ধর্মকে খন্ডবিখন্ডিত করে ফেলেছে। আমি মনে মনে ভেবে দেখলাম কথাগুলো তো বাস্তব সত্য। এমন অবাক করার মতো তথ্যগুলো তো আগে কখনো শুনি নাই! মাজহাব নিয়ে মানুষ পড়ে আছে কেন! সেটাই আমাকে ভাবিয়ে তুলেছিল।~এক সময় মনে মনে আমি নিজেকে লামাজহাবী ভাবতে শুরু করলাম। ইহার পর ফেইসবুকে মতিউর রহমান মাদানী, আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ, আমানুল্লাহ মাদানী, আকারামুজ্জামান, মুরাদ বিন আমজাদ, মুজাফ্ফর বিন মহসিন প্রমুখের চ্যালেঞ্জিং বক্তব্যগুলো শ...

শায়খ নাছির উদ্দিন আলবানী প্রসঙ্গে কিছু কথা

Image
শায়খ নাছীরুদ্দীন আলবানী প্রসঙ্গে কিছু কথা আরব বিশ্বে ও বর্তমান দুনিয়ায় কথিত আহলে হাদীস মতবাদ বিস্তারের রূপকার শায়খ নাছীরুদ্দীন আলবানী (মৃত ১৯৯৯ ইং)। রাসূল সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীসকে বিকৃত করে মুসলমানদেরকে বিব্রত করার মূল নায়ক তিনি। তিনিই সহীহ হাদীসকে যয়ীফ, আর যয়ীফ হাদীসকে সহীহ্ বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার মূলমন্ত্র শিখিয়েছেন কথিত আহলে হাদীসদেরকে। চির মীমাংসিত বিষয়ে উস্কানীমূলক বক্তব্য তিনিই সূচনা করেছেন। শিক্ষা দিয়েছেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় আকাবিরগণের প্রতি বেআদবীমূলক আচরণ। হানাফী মাযহাবের দলীল হিসেবে কোনো হাদীস পাওয়া মাত্রই মনগড়া যুক্তি তর্কের মাধ্যমে দুর্বল হাদীসের তালিকায় ফেলে দেয়াই তার প্রধান পেশা। তার জীবনী শীর্ষক কয়েক খ-ে বই প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু কার নিকট তিনি পড়ালেখা করেছেন এর কোন বিবরণ কোথাও উল্লেখ নেই। আমাদের উস্তাদ ড. আনিস তাহের ইন্দোনেশী মদীনা ইউনিভার্সিটির ক্লাসে আলবানীর জীবনী শীর্ষক দু’সপ্তাহ ব্যাপী আলোচনা পেশ করেছেন, এতেও তিনি শায়খ আলবানীর শিক্ষা ডিগ্রি বিষয়ক কিছুই বলতে পারেন নি। আমরা তার জীবনী গ্রন্থে যা পেয়েছি, তারই লিখিত বই “সিফাতুসসালাত” এবং “সালা...